কবিতা - সন্তোষ ভট্টাচার্য
Posted in কবিতাদেখিনি অনেকদিন কোথায় গেছিলেন
ফিরলেনও বহুদিন পর। কেমন খবর?
হাঁটছেন তাও এতো ইতস্তত কেন?
কিছু ভাবছেন? পড়েটড়ে গেছিলেন নাকি?
পায়ে ব্যথা? নাকি মাতালের মতো
টালখান ক্রমাগত। কেঁপে কেঁপে উঠছেন যেন।
চোখদুটো অর্ধজাগা, ঈশানের ঘুমলাগা
পা দুটো ইতস্তত, কাঁপা হাত তুষারের মতো
তুষার পাতের মতো শাদা হাত, ভঙ্গিমায়
অর্ধভঙ্গিমায় যেন ফিরে যেতে চান, আর ধ্বনি,
অর্ধধ্বনি ফিরানোর ডাক দেয় তবু এসেছেন।
তবে থেকে যান, এখানেই থেকে যান তবে।
আপনার পায়ের কাছে কী ওটা, কুকুর না বাঘ
এনেছেন কেন ওকে? গন্ধ শুঁকে সব বলে দেবে?
অস্থায়ী, অন্তরা, থেকে পাপ সব বলে দেবে?
অনেক ক্ষমতা, তবে চোখদুটো এতো শ্রান্ত কেন?
বাতাসে ভগ্নাংশের গন্ধ পায়, তাই পিছনে চায়?
আপনারা থেকে যান, থেকে যান আপনারা তবে।
ঘর এত অন্ধকার কেন? এ ঘর আপনারই ছিলো
এ মন্দির আপনারই ছিলো, এতদিন পরে
লোক সব ভুলে গেছে এতদিন পরে, পাথরের চোখ
আপনার চোখ পাথরের নাকি? জ্বলছিলো যেন
ভুল করেছিলো এখন পাথরের মতোই দেখি
খুলে পড়ে গেছে, কালকে লাগিয়ে দেবো। আজ অন্ধকার।
যুগান্তর পার কুকুরটা বড় শ্রান্ত, চাটাই দিয়েছি পেতে।
বাইরে ঘুমাক, আমি আসি, ভোগ আর এবেলা হবে না।