ধারাবাহিক - সুদীপ ঘোষাল
Posted in ধারাবাহিকএক
রবিবাবু ও গরুর হাটের কথা
গ্রামের নাম পাঁচুন্দি। সামনে একটা গরুর হাট আছে। সেই গরুর হাটকে কেন্দ্র করে এখানে নানা রকমের ব্যবসা গজিয়ে উঠেছে। বিভিন্ন দোকান পাসারি আছে। হাট বসে প্রতি বুধবার। রবিবাবু এখানকার গ্রামের স্কুলের শিক্ষক। তিনি খুব দয়ালু এবং ভদ্রলোক বলে পরিচিত।
পাঁচুন্দি কাউ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিরু শেখ জানান, গত বছর অনলাইনে ২৭ হাজার গরু বিক্রি হয়েছিল৷ এবার টার্গেট করা হয়েছে এক লাখের মতো৷ তবে পরিস্থিতি দেখে তারা মনে করছেন বিক্রি আরো বেশি হবে৷ করোনা এবং ব্যাপক প্রচারের কারণে অনলাইন হাটের প্রতি আগ্রহ এবার বাড়ছে৷অনলাইনে ছবি ও ভিডিও দেখেই গরু কিনতে হবে৷ তবে খামার বা হাটের পাশে কারো বাড়ি হলে দেখার সুযোগ থাকবে৷ আর তা না হলে গরুটি সরবরাহের সময়ই দেখা যাবে৷ তবে অনলাইনে দেখা গরু আর বাস্তবের গরুর মিল না থাকলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গাইড লাইন অনুযায়ী সমাধান হবে৷ এবার অনলাইনে গরু কিনে কোরবানির দায়িত্বও দেয়া যাবে৷ অনলাইন হাট থেকে একদম কোরবানি করে বাড়িতে মাংস পৌঁছে দেওয়া হবে।করোনার মধ্যে নির্ধারিত সময়ের আগেই এবার গেরামসহ সারাদেশে কোরবানির গরুর হাট বসেছে৷ হাটের জন্য রয়েছে কয়েকটি শর্ত৷ প্রথম শর্ত দুমাসের আগে গরুর হাট বসানো যাবে না৷ কিন্তু হাটে গরু আনা শুরু হয়েছে ১০ দিন আগে৷শর্তে বলা হয়েছে, হাট বসার দু দিনের বেশি আগে গরু আনা যাবে না৷আবাসিক এলাকায় গরুর হাট বসানোতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷ অথচ রেলওয়ে কলোনির আবাসিক এলাকার মাঠ গরুর হাটের জন্য ইজারা দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন নিজেই৷ সারাদেশে নানা জায়গাতেই যেখানেসেখানে বসছে হাট৷ ইজারা দেয়াও শেষ৷ কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগে গ্রামে এই এলাকায় গরুর হাট বসে গেছে৷ ক্রেতারাও যাচ্ছেন কোরবানির জন্য গবাদি পশু কিনতে৷ এই করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই গরুর হাটের কথা বলছে পঞ্চায়েত৷ তবে পুরোপুরি হাট শুরু হলে বাস্তব অবস্থা আরো স্পষ্ট বোঝা যাবে৷বিক্রেতা ও ক্রেতাদের জন্য যে অনেকগুলি শর্ত দেয়া হয়েছে তার বড় একটি অংশ করোনায় স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক সংক্রান্ত৷বলা হচ্ছে, গরুর হাটে পুরো স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে ৷ গরুগুলোকে এমনভাবে রাখতে হবে যাতে ক্রেতারা নিজেদের মধ্যে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে হাটে অবস্থান করতে পারেন৷ সেভাবেই হাটে গবাদি পশু তুলতে হবে৷ এর বেশি পশু রাখা যাবে না৷হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে মাস্ক পরতে হবে৷ আর গরু কিনতে দুই জনের বেশি হাটে যেতে পারবেন না৷ হাটের আয়তন অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব রেখে যত জন ক্রেতা এক সঙ্গে প্রবেশ করতে পারেন, ততজন প্রবেশ করবেন৷ বাকিরা বাইরে অপেক্ষা করে পর্যায়ক্রমে প্রবেশ করবেন৷হাটে প্রবেশের পথে শরীরের তাপমাত্রা মাপা ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকবে৷ হাটের ভিতরেও হাতধোয়ার ব্যবস্থা৷হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও রাখতে হবে প্রতিটি হাটে৷ এছাড়া হাটে আইসোলেশন সেন্টার ও মেডিকেল টিম থাকবে৷ তারা প্রয়োজন হলে কাউকে দ্রুত আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যাবেন৷ থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত, সিটি কর্পোরেশনের টিম এবং জাল টাকা চিহ্নিত করার বুথ৷ কোনো হাটে জোর করে গরু নেয়া যাবে না৷রবিবাবু সব্জিহাটে গিয়ে শিবপদকে বলেন,কি হে লেখকমশাই কেমন আছো? মুখে মাস্ক পর নাই কেন হে?বিজয় বলেন,পকেটে আছে।পুলিশ দেখলেই পরে নেব।আগে গরুদের মুখে মাস্কের মত জাল পরানো হত আর এখন দেখুন আমরাই গরু হয়ে বসে আছি।
রবিবাবু বললেন,তোমরা লেখক মানুষ। কল্পনাশক্তি বটে।ঠিক বলেছ কথাটা, একদম ঠিক।
বিজয় বলল,করোনার আগে আপনি আর আমি ঘুরে এলাম বেলুন থেকে।আর একবার যাবেন নাকি?
রবিবাবু বললেন,তোমাকে বলা হয় নি। গতকাল ঘুরে এলাম আবার।তুমি তো জানো, আমি দূর দূরান্তে না গিয়ে কাছাকাছি না দেখা গ্রাম দেখতে ভালোবাসি।এবার গেলাম পাশের ইকো ভিলেজ পরিদর্শনে।হাওড়া আজিমগঞ্জ লোকাল ধরে শিবলুন হল্টে নামলাম। সেখান থেকে অম্বলগ্রাম পাশে রেখে দু কিলোমিটার টোটো রিক্সায় গেলে গ্রামটি পাবে। একদম অজ পাড়াগাঁ। মাটির রাস্তা ধরে বাবলার বন পেরিয়ে তন্ময়বাবুর স্বপ্নের জগতে প্রবেশ করলাম।তন্ময়বাবু ঘুরিয়ে দেখালেন। তার জগৎ।প্রায় একশো প্রজাতির গাছ।পশু,প্রাণীদের উন্মুক্ত অঞ্চল।বিভিন্ন প্রজাতির সাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে এখানে, সেখানে।তার নিজের হাতে বানানো মা কালীর মূর্তি দেখলাম। কাঁচের ঘরে ইকো সিষ্টেমের জগৎ।কেউটে সাপ, ব্যাঙ থেকে শুরু করে নানারকমের পতঙ্গ যা একটা গ্রামের জমিতে থাকে। বিরাট এক ক্যামেরায় ছবি তুলছেন তন্ময় হয়ে।আমি ঘুরে দেখলাম প্রায় দু কোটি টাকা খরচ করে বানানো রিসর্ট।ওপেন টয়লেট কাম বাথরুম।পাশেই ঈশানী নদী।এই নদীপথে একান্ন সতীপীঠের অন্যতম সতীপীঠ অট্টহাসে যাওয়া যায় নৌকায়। তন্ময়বাবু হাতে সাপ ধরে দেখালেন। শিয়াল,বেজি,সাপ,ভ্যাম আছে। তাছাড়া পাখির প্রজাতি শ খানেক।একটা পুকুর আছে। তার তলায় তৈরি হচ্ছে গ্রন্হাগার।শীতকালে বহু বিদেশী পর্যটক এখানে বেড়াতে আসেন। তন্ময়বাবু বললেন,স্নেক বাইটের কথা ভেবে সমস্ত ব্যবস্থা এখানে করা আছে। ঔষধপত্র সবসময় মজুত থাকে।তারপর গ্রামটা ঘুরে দেখলাম। এখানকার চাষিরা সার,কীটনাশক ব্যবহার করেন না। তারপর বিকেলে নৌকাপথে চলে গেলাম অট্টহাস সতীপীঠ।এখানে মা মহামায়ার ওষ্ঠ পতিত হয়েছিলো। সোনা মহারাজ এই সতীপীঠের প্রধান। তারপর দেখলাম পঞ্চমুন্ডির আসন।ঘন বনের মধ্যে দিয়ে রাস্তা। মন্দিরে মা কালীর মূর্তি। রাতে ওখানেই থাকলাম।রবিবাবু বলেন,তার পরের দিন সকালে হাঁটাপথে চলে এলাম কেতুগ্রাম বাহুলক্ষীতলা। কথিত আছে এখানে মায়ের বাহু পতিত হয়েছিলো। এটিও একান্ন সতীপীঠের এক পীঠ।তীর্থস্থান। সুন্দর মানুষের সুন্দর ব্যবহারে মন ভালো হয়ে যায়।এর পাশেই আছে মরাঘাট। সেখান থেকে বাসে চেপে চলে এলাম উদ্ধারণপুর।এখানে লেখক অবধূতের স্মৃতি জড়িয়ে আছে।গঙ্গার ঘাটে তৈরি হয়েছে গেট,বাথরুম সমস্তকিছু।শ্মশানে পুড়ছে মৃতদেহ।উদ্ধারণপুর থেকে নৌকায় গঙ্গা পেরিয়ে চলে এলাম কাটোয়া। এখানে শ্রীচৈতন্যদেব সন্ন্যাস নেবার পরে মাথা মুন্ডন করেছিলেন। মাধাইতলা গেলাম। বহুবছর ব্যাপি এখানে দিনরাত হরিনাম সংকীর্তন হয় বিরামহীনভাবে। বহু মন্দির,মসজিদ বেষ্টিত কাটোয়া শহর ভালো লাগলো।বিজয় বলল,এবার গেলে আমাকে বলবেন।এখন আসি।
রবিবাবু বললেন,চলো আমিও যাই।স্কুলে যেতে হনে মিড ডে মিল আর সাইকেল দিতে।
আবার পরের সপ্তাহে রবিবাবু ও বিজয় মুখোমুখি হলেন।
রবিবাবুর গ্রামের পুজো আর কদিন পরেই।তাই সকলের মন খুশিতে ভরপুর।লেখক বিজয় বলে এই পুজোর ব্যাপারটা একটু বুঝিয়ে বলবেন আমাকে।রবিবাবু বলেন,নিশ্চয়ই। তবে তো তুমি লিখতে পারবে।
রবিবাবু বললেন,নদীর ধারে আমাদের গ্রাম।তাই এখানে কুমিরের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কুমিরদেবতা কালু রায়ের পুজো করা হয়। তাঁর পোশাক পৌরাণিক যুদ্ধ-দেবতার মতো।আরণ্যক দেবতার প্রাচীন পুজোপদ্ধতি মেনে কালু রায়ের পুজোয় বনঝাউ ফুলের নৈবেদ্য দেওয়া হয়।ধর্মঠাকুর কেবলমাত্র রাঢের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বান্দরা গ্রামের ধর্মঠাকুর, কালু রায় নামে পরিচিত। বন্ধুর সুবাদেই ঐ গ্রামের ধর্মরাজের পুজো দেখার সুযোগ হয়েছিল। বাহন-সাদা ঘোড়া। জনসাধারণের পূজার পর দুটি পালকিতে সারা গ্রাম এবং আশেপাশের গ্রামে ঘোরানো হয়। কিন্তু কূর্ম মূর্তি যেহেতু গ্রামের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় না, তাই প্রতীকি কালাচাঁদকে পালকি করে অন্যান্য গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। নিয়ম হল, যেখানে যেখানে কালাচাঁদের পালকি বাহকরা গ্রামের বাইরে পালকি নামান, সেখানে সেই পালকিকে আটকানো হয়। সেই সব গ্রামের লোকেরা নানারকম প্রশ্ন করেন। এ যেন সেই আদিকালের অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়া আটকানো। তখন যুদ্ধ হত, যুদ্ধে পরাস্ত করতে পারলে ঘোড়া মুক্তি পেত। এখানে হয় প্রশ্নোত্তরের খেলা। যারা দেবতার পালকিকে আটকে দেন তারা প্রশ্ন করেন। আর সন্ন্যাসীরা, যারা সঙ্গে থাকেন তাদের এর উত্তর দিতে হয়। গ্রাম্য জীবনের এও এক আনন্দের উৎস। প্রথাগতভাবে সেগুলি যে খুব উচ্চমানের , তা হয়ত নয়। কিন্তু মন্দ লাগে না। গ্রাম্য জীবন, পুরাণ, ইতিহাস , মহাকাব্য অনেক কিছু মিশে আছে এগুলির সঙ্গে। ধর্মরাজের পূজার অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসাবে গ্রামের মানুষের গীত কয়েকটি প্রশ্নোত্তর এখানে উল্লেখ করা যেতেই পারে।স্থানীয় কিংবদন্তি অনুসারে, দক্ষিণরায়ের রাজত্বের সীমা দক্ষিণে কাকদ্বীপ, উত্তরে ভাগীরথী নদী, পশ্চিমে ঘাটাল ও পূর্বে বাকলা জেলা। প্রত্যেক অমাবস্যায় দক্ষিণরায় মন্দিরে পশুবলি হয়। লোকবিশ্বাস অনুসারে দক্ষিণরায় গানবাজনা পছন্দ করেন। তাই স্থানীয় লোকেরা রাতে তার মন্দিরে নাচগানের আসর বসান। দক্ষিণ রায়ের বার্ষিক পূজা উপলক্ষে গায়েনরা পালাক্রমে কবি কৃষ্ণরাম দাস রচিত রায়মঙ্গল পরিবেশন করে এবং বাউল্যা, মউল্যা, মলঙ্গি প্রভৃতি শ্রমজীবী মানুষেরা হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে এ গান ভক্তিভরে শ্রবণ করেন। সুন্দরবনের অধিবাসীরা ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে মাছধরা, কাষ্ঠ বা মধু আহরণের মতো কোনো কাজে যাওয়ার আগে দক্ষিণরায়ের মন্দিরে পূজা দেন। কেউ কেউ মাথার পিছন দিকে দক্ষিণরায়ের মুখোশ পরে জঙ্গলে ঢোকেন যাতে বাঘ সেই মুখোশ দেখে ভয় পেয়ে তার কাছে না আসে।কলকাতার গড়িয়া রেলস্টেশনের কাছে লক্ষ্মীকান্তপুর ও ধপধপির কয়েক মেইল দূরে একটি দক্ষিণরায় মন্দির আছে। এই অঞ্চলটি এক সময়ে সুন্দরবনের অন্তর্গত ছিল। এখনও এই অঞ্চলের অধিবাসীরা দক্ষিণরায় মন্দিরে পূজা দেন। দক্ষিণরায়ের মূর্তিতে একটি বিরাট গোঁফ দেখা যায়। তার শরীর শীর্ণ, চকচকে এবং হলদেটে। গায়ে বাঘের মতো ডোরাকাটা দাগ দেখা যায়। মুখের দুদিক থেকেই লালা ঝরে। তার একটি ছয় মিটার দীর্ঘ লেজও আছে।বারা ঠাকুর হলেন পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাংশের বাঙালি হিন্দুসমাজে পূজিত এক অশাস্ত্রীয় লৌকিক দেবতা। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি প্রভৃতি জেলার গ্রামাঞ্চলে এই দেবতার পূজা প্রচলিত; তবে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় এই বারাঠাকুরের পূজার প্রচলন অত্যধিক। 'বারা' শব্দের লোকায়ত অর্থ বাধা দেওয়া বা নিবারণ করা। মূলত ব্যাঘ্র-ভীতি নিবারণ ও সাংসারিক মঙ্গলকামনায় এই দেবতার পূজা করা হয়। ১লা মাঘ বা তার কাছাকাছি সময়ে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়।তাঁর সাথে (বিশেষত মাথার চালির অবয়বে) মিশরের ফারাওদের আঁকা ছবিগুলির (যাদের মাথা অনেক লম্বা — বিশাল দেহ — রাজা বা দেবতা) মিল আছে বলে ধারণা করা হয়।উল্টানো ঘট ও মাথায় লতা-পাতা আঁকা চ্যাপ্টা মুকুট — এটিই বারা ঠাকুরের মূর্তি। ঘটের উপর নানা রঙে আঁকা চোখ, মুখ, গোঁফ অঙ্কিত ধাকে। এই মূর্তিযুগলের গোঁফওয়ালা পুরুষমূর্তিটিকে দক্ষিণরায়-এর কাটা মুণ্ডু বলে মনে করা হয়, অপরটি তার মা নারায়ণী বা কালু রায়।খোলা মাঠে গাছতলায় গাছের গুঁড়ি বা শাখায় মূর্তি স্থাপন করে এঁর পূজা করা হয়। পূজায় বর্ণ ব্রাহ্মণ পৌরোহিত্য করেন; মূর্তির বিসর্জন হয় না। যে গাছে বারা ঠাকুর রাখা হয় তার সবচেয়ে উঁচু শাখায় একটি লালনিশান টাঙিয়ে দেওয়া হয়। শাস্ত্রীয় হিন্দু নিয়ম বহির্ভূতভাবে আগুনে পুড়িয়ে 'বারা' তৈরী হয় এবং পূজার পর সারাবছর খোলা আকাশের নিচে রেখে দেওয়া হয়।বারাঠাকুর পূজায় আদিমত্বের পরিচয় পাওয়া যায়, তবে অশাস্ত্রীয় হলেও ব্রাহ্মণ-শাসিত বর্ণহিন্দু সমাজ এঁকে স্বীকার করে নিয়েছেন।