Next
Previous
0

কবিতা - মেশকাতুন নাহার

Posted in



সেই মেয়েটির গল্প বলবো এসো শুনবে যদি,
শ্যামল গাঁয়ে থাকতো যেথায় বয়ে চলতো নদী।
মেঠো পথে আলতা পায়ে হাঁটতো সবুজ ঘাসে,
কিশোরী মন বাদলা দিনে ভিজতো শ্রাবণ মাসে।

এলো চুলে গাছের ডালে কদম ফুল সে তুলে, 
কৃষ্ণচূড়ায় মালা গেঁথে সময় যেতো ভুলে।
অবুঝ বয়স জানেনা সে জীবন কাকে বলে? 
খেলাধূলা লেখাপড়ায় আপন মনে চলে।

হাসিখুশি রঙিন স্বপ্নে বিভোর থাকে মেয়ে, 
বাবা মায়ের আদর যত্ন ভালোবাসা পেয়ে। 
বিছানায় সে শুয়ে ভাবছে কেন হলাম বড়ো?
দুঃখ গুলো চারপাশ থেকে করছে আমায় জড়ো।

আগের মতো স্বাধীনতা পায় কি আর সে খুঁজে?
চোখরাঙানি গর্হিত বাক্য হাসি দিয়ে গুঁজে।
মানুষ তাঁকে খেতাব দিলো মহীয়সী কন্যা,
অন্তরালে ভিন্ন পন্থায় তাঁর বক্ষে যে বন্যা।

জরাগ্রস্ত হয়ে মেয়ে নিরবে যায় ক্ষয়ে,
নির্যাতনের শিকার হয়ে মুখ খুলে না ভয়ে।
বুঝেনি তো সে তো হায় জীবন পাতা ভিন্ন, 
যেমন করে ঘূর্ণিবায়ু করে দেয় সব ছিন্ন।

বিচারপতি কোথায় তুমি? বলে চিৎকার করে, 
আর কতকাল ভেদাভেদ  যে থাকবে ঘরে ঘরে?
নারীর প্রতি অবিচার কী চলবে জনম ধরে?
বাবা মায়ের সেই মেয়েটির নয়নে জল ঝরে।