Next
Previous
0

কবিতা - কুমকুম বৈদ্য

Posted in


চিঠি তোমায় হঠাৎ করে লিখতেই হল
ভেবেছিলাম আদান প্রদান বন্ধ করে দেব
ভাব কিম্বা আড়ির ঘরে
যখন দম বন্ধ হয়ে আসতে চায়
মাথার ভিতরের দপদপানিটা থামতে চায় না
তখন লিখতে বসতেই হয়
তুমি ছাড়া কে বা বুঝবে বল? অমার নালিশের মানে
যদিও আমি রোজ রোজ নিজেকে ধৈর্য অভ্যাস করাই
রোজ মনে করি আজ একটা নতুন দিন নতুন জীবন
কালকের জের টেনে মনে মনে বিষ লালন করা উচিত হবে না
এইভাবে অভ্যাস করে করে আমি ঘন্টা থেকে মিনিট হয়ে সেকেন্ডের কাঁটার সাথে
শুধু ধৈর্য প্রাক্টিস করব বলে
আমি সকালে পৌরসভার পেনশন বন্ধ করার খবরটা ভুলে গেছি
দুপুরে কবির সুমনের মুখের অশ্রাব্য ভাষা ভুলে গেছি
সন্ধ্যার শহরে ধর্ষণের খরবটাও আমার কাছে মরে গেছে
এই মুহূর্তে আমি তোমার কথা ভাবছি আমার স্বপ্নের হিরো
গমগমে গলার স্বরে চেঁচিয়ে বলবে
কান্নার শব্দ আমার প্রিয়তমা পছন্দ করে না
চলো কান্নার কারণ গুলো থামাই
ধানের খেতে , কাঠের উনুনে, কারখানার গেটে
যে কান্নাগুলো জমছে তার নিকাশী ব্যবস্থা দরকার

পুনশ্চ: এই চিঠির উত্তরটা কালকের খবরের কাগজের পাতায় দেখতে চাইছি