কবিতা - রঞ্জন রায়
Posted in কবিতা১
এক যে ছিল ঢিপকপালে গোমড়ামুখো ট্রাম্প ,
সকালসন্ধে নানান ছন্দে করত হাইজাম্প।
কিন্তু তাসের খেলায়
পাত্তি দেখে রেলায়
শুঁটকোবুড়ো বিডেনখুড়ো হাঁকেন –নো ট্রাম্প!
২
খিস্তির চর্চায় রঞ্জন রায়,
আদ্দেক পরমায়ু দিল গোল্লায়।
আঁশটে গন্ধে তার
চিত্তচমৎকার
শাক দিয়ে মাছ ঢেকে করে হায় হায়।।
৩
ওয়ান পাইস ফাদার মাদার-- শ্রীমান খাসনবীশ,
দাঁতে কামড়ে রাখতে টাকা ব্যস্ত দিবানিশ।
হল বাড়িগাড়ি,
কিন্তু কোন নারী,
দেয়নি আজও ভালোবেসে একটি সুইট কিস।।
৪
মনের ভেতর ঢেউ উঠেছে লিখব লিমেরিক,
দেয়াল থেকে টিকটিকিটা বলল-ঠিক, ঠিক!
সবার চোয়াল শক্ত,
মাথায় চড়ল রক্ত,
বললে—ব্যাটার পেছন দেশে লাগাও দুই কিক!
৫
চাঁদ চাঁদনি চন্দ্রধর
চন্দ্রকান্ত নাকেশ্বর।
শেওড়াফুলির শাকচুন্নি
নাকের পাটায় দুটো শূন্যি,
আমার গলায় ঘেঁটুর মালা! বললে -তুঁমিই প্রাঁণেশ্বর!
৬
গাঁজাকে আদর করে যদি ডাক “ক্যানাবিস’,
চারদিকে শুরু হবে ফোঁস ফাঁস হিস হিস।
আরে বাবা! ওটা ড্রাগ,
শিবুদা কোর না রাগ,
বর দাও কেস যেন হয়ে যায় ডিসমিস।।
৭
কাঁচাগোল্লা রসগোল্লার মধ্যে কিসের তফাৎ?
সেই কথাটা না বুইলে হবেই তুমি—খপাৎ।
শোন—একুশ সালের আইন,
হবে- একুশ হাজার ফাইন,
সাতসকালে মাস্কটি খুলে বৌকে খেলে—চকাৎ।।
৮
পেগাসাস ঘোড়ায় চড়ে কলঘরেতে উঁকি?
-ছি ছি, এসব ছেঁদো কথা, খেলছি টুকি টুকি।
ধর্মাবতার শুনুন,
আজ জ্বলেনি উনুন,
আমি শুধু দুশমনদের গায়ের গন্ধ শুঁকি।।