Next
Previous
0

প্রচ্ছদ নিবন্ধ - সুনীল দাশ

Posted in



















দুই

শ্যুৎস্‌ বললেন, ‘কিছুদিনের জন্যে আপাততঃ আমি থাকছি না এই কোপেনহেগেনে। তবে এই ১৬৩৪-এর অক্টোবরে যুবরাজের জন্যে অভিষেক উৎসবের সঙ্গীত আসরের জন্যে দারুণ সুর সমারোহের আয়োজন করছি নিমন্ত্রিত সঙ্গীত বিশারদদের নিয়ে।’

‘বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্যে লেখালেখির অঢেল সময় তো এখন আপনার হাতে।’ গুণগ্রাহীদের মধ্যে একজন বললো। কেমন এক অস্ফুট স্বরে নিজেকে কিছু বলার মতো খানিকটা একধরনের আত্মগত স্বরে শ্যুৎস্‌ বললেন, ‘বছর চারেক আগে বাবা মারা গেলেন। ‘পণ্ডিত’ বলা হতো যাঁকে সেই জমিদার, হেস্‌-এর মরিৎস মারা গেলেন— বছর দুই আগে— ১৬৩০-এ আমার পিতৃদেব চলে যাবার আরও দু’বছর পর, ১৬৩২-এ। তারপর আরও পৃষ্ঠপোষক একজন— জনকের মৃত্যুর পর জাত সন্তান— ফেউস্‌স্‌-এর পুত্র রাজকুমার হাইনরিষ্‌— নিজের অন্ত্যেষ্টির সঙ্গীতের আয়োজন করে গেছিলেন মারা যাওয়ার আগেই।’

‘আয়োজন মানে— পুরোটা ফিউনারেল্‌ মিউজিক স্বকর্মে শুল্কে— বাজনাটা ভালোসতো উপভোগ করেছিলেন— সেটা জানিয়ে গেছিলেন।’ হাসতে হাসতে বললেন শ্যুৎসে্‌র অন্য আর একজন গুণগ্রাহী।

‘দ্য মিউজিকাল্‌ এক্সজিকুইজ, ‘জার্মান জনতা অন্ত্যেষ্টির আঙ্গিকে এক ঐকবদ্য।’ পুরাতনকে মেশানো নতুনের সঙ্গে— একাজে পারদর্শিতা শ্যুৎসে্‌র। ধর্মীয় অনুভূতির প্রকাশ ‘ঈশ্বরের অনুধ্যানে জীবনাবসান যাদের আশীর্বাদ ধন্য তারাই,’ সমুজ্জ্বল আলোয়।

জার্মানীর সঙ্গীত জগতে শ্যুৎসে্‌র গুরুত্ব ক্রমশ বেড়ে চলেছিলো। একের পর এক রাজদরবার থেকে আমন্ত্রণ আসছিলো— তাঁর রচিত সুর পরিবেশনের জন্মে। তাঁর আগে কোনও জার্মান সুর বিশারদ, এমনকি তাঁর পরেও পাওয়া যায় না বললেই চলে— সরাসরি এতটা প্রভাব সারা দেশের সঙ্গীত জীবনে আর কেউ ফেলতে পারেননি।

১৬৩৬-এ যুদ্ধের ঘটনাবলীর জন্যে ড্রেসডেনে শিল্পচর্চা অসম্ভব হয়ে উঠলো। সাময়িকভাবে রাজদরবার পুরোপুরি ভেঙে গেলো। আরও একবার যুদ্ধের বিষাদঘন বাস্তবতা থেকে শ্যুৎস্‌ বেড়িয়ে পড়ে ড্রেসডেন থেকে পাড়ি দিলেন কোপেনহেগেনে। গেলেন হামবুর্গ হয়ে। ১৬৩৮-এ নতুন এক বিপর্যয় আঘাত হানলো শ্যুৎসে্‌র জীবনে— তাঁর বড়ো মেয়ে— আনা জাস্টিনের মৃত্যু।

১৬৪০ থেকে ভুগতে লাগলেন বাতের ব্যথায়। তবে তার থেকে সেরে ওঠামাত্র আসন্ন সর্বনাশ এড়াতে মেতে উঠলেন ড্রেসডেনের কোর্ট অর্কেস্ট্রা পুনর্গঠনে। ইলেক্টর তৃতীয়বার শ্যুৎস্‌কে যখন কোপেনহেগেনে পাঠাতে চাইলে শ্যুৎস্‌ সর্বশক্তি দিয়ে তা রোধ করতে চেয়েও পারলেন না। ভেনিস রাজদরবারের প্রধান অর্গান বাদকের পদের সময়টা বাদ দিয়ে শ্যুৎস্‌ ১৬৪২ থেকে ১৬৪৪ সাল অবধি কোপেনহেগেনে ছিলেন সেই যাওয়া আসায় দু’মুখী সফরে শ্যুৎস্‌কে তাঁর সমসাময়িক অনেক সুরকারের সঙ্গে সাক্ষাতের বিরতি দিতে হয়েছিলো।

১৬৪৫ খ্রিষ্টাব্দ শ্যুৎসে্‌র সংঘর্ষের বছর। এই সময় আর একটি বৃন্দবাজন খানিকটা বাড়ছিলো। ইলেক্টরের উত্তরাধিকারী নিজের জন্যে পেরুগিয়া থেকে আসা গিয়োভানি আন্দ্রেয়া বোনটেম্পির (১৬২৪-১৭০৫) পরিচালনায় একটি অর্কেস্ট্রা গড়েছিলেন। বোনটেম্পি ও তাঁর অর্কেস্ট্রা ছিলো পুরোপুরি ইতালিয় আঙ্গিকের— ওটা দীর্ঘকাল ধরে এবং বহু রাজদরবারেই চালু ছিলো।

অপরদিকে শ্যুৎসে্‌র খ্যাতি তখন জার্মান রাজ্যগুলোর সীমানা পার হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিলো। শ্যুৎসে্‌র ডাক আসছিলো উল্‌ফেনবাটল্‌— ভাইমার, ডানজিগ্‌, ওয়ারশ্‌, লাইপজিগ এবং প্রেসবুর্গ থেকে। তাঁর স্বস্তির জায়গা ছিলো উইসেন ফেল্‌সের বিধবা বোনের কাছে আর পরে আনন্দ পেতেন তাঁর ছোটো মেয়ের কাছে। ১৬৪৮-এ ছোটো মেয়ের বিয়ে হলো। বোনের পাঁচটি শিশু বড়ো হয়ে উঠলো সুরকারের জীবনকালে।

শ্যুৎস্‌ কিন্তু কখনও তাঁর সুরারোপে তকেমে থাকেননি। তাঁর তৃতীয়বার কোপেনহেগেন সফরের সময় তিনি স্বেচ্ছায় এমন একটি সহজ কণ্ঠ এবং বাদ্যসঙ্গীতের সুনিশ্চিত ওস্তাদির মান গড়ে দিলেন আর শৈলী বেঁধে দিলেন যা তাঁর সাধারণ কাজের মুন্সিয়ানা থেকে আলাদা এবং যা তাঁর দেশের সীমা পেরিয়ে ভবিষ্যতের সুরের ভুবনেও প্রভাব বিস্তার করেছিলো। সেটা হলো ‘আমাদের প্রিয় ত্রাণকর্তা এবং রক্ষাকর্তা জেসাস ক্রাইস্টের সাতটি শব্দ। পবিত্র ক্রশ থেকে কথিত।’

এই কাজে বাদ্যযন্ত্রগুলো যেভাবে বোল ফোটালো তা অভ্রান্ত, সুরকারের পরবর্তী কাজের পূর্বাভাস— যা প্রয়োজনীয় সুরারোপকে সীমিত করে সম্ভাব্যকে সমৃদ্ধশালী করে। গাব্রিয়েলের সঙ্গীতের জাঁকজমক তখন অনেক দূরে। লাতিনকে যেভাবে সম্পূর্ণ সরিয়ে দিয়েছিলো জার্মান ভাষা— সেইভাবে বয়স বাড়তে থাকা সুলৎসে্‌র সুর হয়ে আসছিলো কঠিনতর, আরও তমসাচ্ছন্ন, যদিও তা কখনওই তার ক্ষমতা হারায়নি এবং হারায়নি সুনিশ্চিত প্রকাশ ব্যঞ্জনা। যুদ্ধের শেষ কয়েকটি বছরের বিবাদের প্রেক্ষিতে এবং হায়রে, পরবর্তী সুদীর্ঘ সময়েও শ্যুৎসের কাছ থেকে এই ধরনের কিছু প্রত্যাশা করা যায়নি।

যদিও প্রায়শই তিনি চাইতেন প্রাত্যহিকতার বিরক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন হতে, নবোদ্যমে নতুন নতুন সুর বুনে নিজেকে সান্ত্বনা দিতে, এই সর্বাধিক দুঃসময় পর্বে শ্যুৎস মোট ২৯টি Motels লিখেছিলেন যা ১৬৪৮ সালে তিনি সঙ্কলিত করেন Musicalin ad chorms sacum নামে। এটি আধ্যাত্মিক ঐকতান। প্রথম খণ্ড। কোনও দ্বিতীয় খণ্ড হয়নি। লাইপছিগের টাউন কাউন্সিল এবং সেন্ট টমাসের কয়ারকে তিনি এটি উপসর্গ করেছিলেন।

শ্যুৎসে্‌র সুরবিতান প্রকাশনায় সমাজসেবার মেলবন্ধন ছিলো। তিনি সচাতন ছিলেন যে ওইভাবে তিনি পরবর্তী প্রজন্মের সুরস্রষ্টাদের সহযোগীতা করতে পারবেন। আধ্যাত্মিক বৃন্দসঙ্গীতের মুখবন্ধে শ্যুৎস্‌ লিখেছিলেন, ‘এর সাহায্যে আমি কিছু সুরকারকে উৎসাহিত করতে পারবো এবং সম্ভবত বিশেষ করে আগামী জার্মান সুরকারদের— তারা একক গানের বা বাজনার স্বরলিপিতে ঢুকে পড়ার আগে— এই কঠিন প্রচেষ্টার প্রারম্ভে তাদের প্রেরণা দিতে পারবো।’

শ্যুৎসে্‌র সঙ্গীত বিধিবিধান, তাঁর সুরলিপি সম্পর্কিত মতবাদ লিপিবদ্ধ করে গেছেন তাঁর এক শিষ্য ক্রিস্টোপ বার্নহার্ড (১৬২৭- ১৬৯২)। ১৬৫৫ থেকে ড্রেসডেনে সহকারী অর্গান বাদক তিনি।

শ্যুৎস্‌ নিজেই দেখিয়েছেন যে বার্নহার্ড কথা বলছেন তাঁকে নিয়ে, “তাই আমি আশায় আছি এবং ইতমধ্যেই জানা হয়ে গেছে সেই কথা যে আমার খুব পরিচিত এক সঙ্গীত বিশারদ এবং তত্ত্বগতভাবে ও চর্চার ক্ষেত্রে অত্যন্ত পারদর্শী একজন শীঘ্রই এ ব্যাপারে বিধিবদ্ধ প্রবন্ধে আলোকপাত করতে চলেছেন— বিশেষ করে আমাদের কাছে—জার্মানদের কাছে— যা হতে পারে সর্বাধিক হিতকারী এবং মঙ্গল সাধনের ক্রিস্ট্রোফ বার্নহার্ডের গ্রন্থটির নাম Tractatus compositions allgmentatus, এখন সযত্ন সম্পাদিত সংস্করণ পাওয়া যায়— Heinrich Schiitz’s Theory of composition as interpreted by his pupil Christoph Besnhard.

ইলেক্টরের সঙ্গে শ্যুৎসে্‌র ঝগড়া এমনকি ১৬৪৮-এর পরেও চলছিলো এবং ড্রেসডেনের শান্তি উদযাপিত হয়েছিলো ১৬৫০-এ। পঁয়ষট্টি বছর বয়সে তিনি ড্রেসডেনকে তাঁর সুদীর্ঘ সেবার কথা নির্দেশ করেছেন। তাঁর বয়স, ক্ষীয়মান দৃষ্টিশক্তি এবং প্রস্তাবিত উপযুক্ত উত্তরসূরীয় কথা, অতিরিক্ত চাপের কথা বলে অন্তর্বর্তী সময়কালীন সমাধান— সব বৃথা হলো। বৃদ্ধ মানুষ হিসেবে শ্যুৎস্‌ চেষ্টা করেছিলেন যোহান গেয়র্গকে দেখাতে তাঁর অবসরে ঘরে ফেরার— অর্থাৎ উইসেলফেল-এ ফেরার কারণ ব্যাখ্যা করতেঃ প্রথম হ’লো আমার বয়স এগিয়েছে, কমে যাচ্ছে দৃষ্টিশক্তি এবং অন্যান্য শারিরীক ক্ষমতা। ঈশ্বরের ইচ্ছায় এখনও আগের মতো আত্মবিশ্বাস সহকারে আমি আমার সুরারোপ চালিয়ে নিয়ে যেতে পারি— কিন্তু সবটাই করতে হচ্ছে কষ্টের সঙ্গে, অনেক মন্থরতায়— যেটা সহজেই বুঝতে পারা যায়।’

ইলেক্টর মহোদয় নীরব থাকলেন।

গানবাজনার লোকেদের এত কম টাকা-পয়সা দেওয়া হ’তো যে সেই টাকা-পয়সায় তাদের জীবনযাপন খুবই কষ্টকর ছিলো। শ্যুৎস্‌ তাঁর গানবাজনার দলের একজনের কথা জানিয়েছেন, ‘আমি জানলাম যে ধার করা কুর্তা আর কোট পরা লোকটির কোনও বিছানা নেই, খড়ের গাদায় শুয়োরের মতো থাকে— তার স্ত্রী গতকাল আমার কাছে সাহায্য ভিক্ষে করতে এসেছিলো তার দুরবস্থায়।

এর সঙ্গে আরও ছিলো উত্তরসূরীর বৃন্দবাদনের প্রতিযোগিতা আর সেই পরিস্থিতিতে পরিপূর্ণভাবে বোঝা যাচ্ছে যে ইলেক্টর যুবরাজের বৃন্দবাজনের প্রধান অর্গানবাদককে তাঁর নিজের দলের নির্দেশক পদে বদলি তিনি বাতিল করেছিলেন। যেটা তাঁর স্বস্তি হবে মনে করে আবেদন করা হয়েছিলো— দেখা গেলো সেটা গভীর ক্ষতের। আরও একটা ব্যাপার ছিলোঃ যদিও শ্যুৎস্‌ আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন— যুবরাজের অর্কেস্ট্রার খানিকটা ইতালিয় পরিগ্রহণ নিয়ে, তিনি তাঁর নিজের বৃন্দবাদনে, সুরবিতানে প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা করেননি তো?’

কাহিনী কি রকম! সত্তরে পৌঁছেও তিনি তাঁর কর্তব্য কর্মের কোনওকিছুর থেকে অব্যহতি পাননি, একজন মানুষ যিনি সঙ্গীতের অগ্রগতির ইতিহাস রচনা করেছেন— তাঁকে ভাঙাচোরা অর্কেস্ট্রা নিয়ে কাটাতে হয়েছে। এতে ইলেক্টরের কোনওরকমের উদ্বেগ ছিলো না। অন্তত ৮ অক্টোবর প্রথম যোহান গেয়র্গের মৃত্যুতে শ্যুৎসে্‌র অবসর নেওয়া পর্যন্ত। ওটি ১৬৫৬ খ্রীষ্টাব্দ।

পরবর্তী উত্তরাধিকারী এখন দ্বিতীয় যোহান গেয়র্গ (১৬১৩-১৬৮০), এই বড়ো মাপের সঙ্গীত বিশারদটির পছন্দ মতো প্রধান অর্গান বাদকের পদে বহাল থেকে উইসেনফেল্ডে সফর করেছেন। এখন আর কোনও বাধাবন্ধকতা নেই— এখন ইলেক্টরের অর্কেস্ট্রার সঙ্গে উত্তরসূরীর অর্কেস্ট্রার মিশিয়ে দেওয়াতে কিছু যায় আসে না। তিনি ক্রমশঃ তাঁর ড্রেসডেনের ক্রিয়াকর্ম সব কমাতে থাকলেন, ১৬৫৭-তে বাড়িটা বিক্রি করে দিলেন। এর পুরোদস্তুত উইসেনফেল্ডে চলে এলেন। ড্রেসডেনের রাজ দরবারে মাঝেমধ্যেই ঘুরে আসা কোনও বিচ্ছিন্ন ব্যাপার নয়। শ্যুৎসে্‌র শিষ্য ক্রিস্টোফ বার্নহার্ড ড্রেসডেন ত্যাগ করেছিলেন। অর্কেস্ট্রায় ইতালিয় ঘরানা ঢোকানোর একটা প্রতিবাদ স্বরূপ, তিনি হামবুর্গে চলে গিয়েছিলেন। পরে ফিরে এসেছিলেন।

শ্যুৎস্‌ কিন্তু পুরোনো এবং নতুন সুর রচনা করে চললেন। ১৬৫৭-তে প্রকাশিত হলো ‘বারোটি ভক্তিগীতি।’ শ্যুৎসে্‌র শেষ কাজ ‘ঈশ্বর ও মেরীর আনন্দময় ও করুণাঘন সন্তান— জেসাস্‌ ক্রাইস্টের জন্মের ইতিহাস।’ ১৬৬১ তে যার তিনটি সংস্করণের দোষটি প্রকাশিত হয়েছিলো ১৬৭১ তে।

৬ নভেম্বর, ১৬৭২-এর বিকেল চারটে।

সাতাশি বছর বয়স হাইনরিষ শ্যুৎসে্‌র। তিনি শুয়ে রয়েছেন। তাঁর প্রিয়জনেরা ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁর বিছানার চারিপাশে। তাঁরা গান গাইছেন। কোনও মৃত্যুযন্ত্রণার বেদনা নেই সুরের গুরুর। শ্রম আর সমস্যার পরিপূর্ণ এক জীবন শেষে তিনি এক সুন্দর প্রশান্ত মৃত্যুতে প্রবেশ করলেন। যদিও সঙ্গীত সমাজে তাঁর কাজের পুনরাবিষ্কার হয়েছে অনেক পরে। ঊনবিংশ শতকে বাক্‌-রেনেশাঁয় অল্প একটু হোঁচট খেয়ে— এর চিরস্থায়ী প্রভাব উঠে এসেছে— যার ফলে আজ তাঁর উপাধি ‘নতুন জার্মান সঙ্গীতের জনক।’ *

*Hans A. Neunzig- এর A New European Music অবলম্বনে।