Next
Previous
1

সম্পাদকীয়

Posted in


সম্পাদকীয়



মহান্তং কোশম্ উদ্ অচা ভি ষিঞ্চ
সবিদ্যুতং ভবতু বাতু বাতঃ। 
তন্বতাং যজ্ঞং বহুধা বিসৃষ্টা 
আনন্দিনীর্ ওষধয়ো ভবন্তু।। (অথর্ববেদ। ৪।১৫।১৪।)

মহাজলাধার তুলে ধরো, অভি
ষিক্ত করো এ ধরা। 
জ্বলুক বিজুরী, বয়ে যাক বায়ু,
যজ্ঞের আয়োজন হোক সুরু
চারিদিকে মেঘ- ভাঙা জলে জলে --
খুশী হোক ওষধিরা। (অনু. গৌরী ধর্মপাল) 


শ্রাবণ এসেছে। শস্যপূর্ণা বসুন্ধরা। ঋতবাকও পায়ে পায়ে পেরিয়ে এল চার চারটে বছর। এই সংখ্যা আমাদের তৃতীয় বর্ষের শেষ সংখ্যা। মন চলে যাচ্ছে অতীতে। ঋতবাক যা হবে ভেবেছিলাম, আজকের ঋতবাক কি তাই? না। পথ চলতে চলতে সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়েছে, নিজেদের বদলে নিতে হয়েছে। মারীচ-সুবাহুর রক্ত বৃষ্টির মধ্যে যজ্ঞের আগুন জ্বালিয়ে রাখতে বলা- অতিবলা মন্ত্র জপ করতে হয়েছে। নতুন ভাবে যজ্ঞ আরম্ভ করার আগে আপনাদের সকলকে অর্ঘ নিবেদন করছি আজ। সাত পা একসঙ্গে চললে বন্ধু হয়। আপনারা চলেছেন তার চেয়ে অনেক বেশি পথ। এই চার বছরে কোন কোন দিকে নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছে ঋতবাক আপনারা জানেন। ঋতবাকের বইগুলো আপনারা আপন করে নিয়েছেন। আশানিকেতনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন আমাদের সঙ্গে। ম্যাজিকের মতো প্রায় এক লাখ টাকা জমিয়ে ফেলেছি আমরা ওদের কচি মুখগুলোয় হাসি ফোটাবো বলে। সামনের মাসের উনিশ তারিখ ঋতবাক ওদের পুজোর জামা দেবে। আপনারাও আসবেন তো? পুজোর মধ্যে যে কোনও একদিন ওদের সকলকে কলকাতার কয়েকটি বিখ্যাত পুজো ঘুরিয়ে দেখানো ও শোভাবাজার রাজবাড়ীতে মধ্যাহ্নভোজের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কৃষ্ণেন্দু আর রিয়া নামের দুটি শিশুর স্কুলে ভর্তি এবং প্রতিমাসের স্কুল ফী-র ব্যবস্থাও করা গেছে। প্রতি মুহূর্তে অনুভব করি, আপনারা আছেন সঙ্গে। 

আরও অনেকদূর যেতে হবে। অনেকটা দূর। যাব। ঋতবাক যে এক স্বপ্নের নাম!

শুভাচ্ছা নিরন্তর