সম্পাদকীয়
Posted in সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয়
শীত পড়ছে না পড়ছে না করেও পৌষের প্রথম সপ্তাহেই একটু ঠাণ্ডা পড়েই গেলো কলকাতায়। তাপমাত্রা নামল ১৫-র আশেপাশে। শীতকাতুরে বাঙালী তাতেই যুগপৎ জবুথবু এবং আহ্লাদে আটখানা। কারণ, শীতকাতুরে বাঙালী যে একাধারে ভোজনরসিকও। সাহিত্যচর্চার ফাঁকে ফাঁকে একটু কবজি ডুবিয়ে পেটপুজোর সুযোগ, আর কি! এবারের ঋতবাক-এ থাকছে এমনই কিছু স্মৃতিচারণ এবং প্রসঙ্গ বিন্যাস। প্রসঙ্গত উল্লেখ করতেই হয়, আমার খাদ্যাভ্যাস নিতান্তই আমার ব্যক্তিগত চারিত্রিক মৌলিকতা। সেটা অন্য কেউ ঠিক করে দিতে পারেন না। আবার একজন দায়িত্বশীল সমাজবদ্ধ জীব হিসাবে আমারও একটা দায়িত্ব বর্তায় খাদ্যতালিকা নির্মাণের বিষয়ে। আমি যদি এখন বাঘ খাওয়ার বায়না ধরি, তবে তা তর্কাতীতভাবেই অন্যায্য হবে। এ বিষয়ে যুক্তিগুলো অবশ্যই হতে হবে বিজ্ঞান নির্ভর। ধর্মের দোহাই দিয়ে ভয় দেখিয়ে বাঘ আর গোরুকে একসঙ্গে পাশাপাশি বসিয়ে চরণামৃত গেলানোর দিন মনে হয় আমরা বহুযুগ পেরিয়ে এসেছি। আর তাছাড়া, ভারতীয় সংস্কৃতি আদতে এ বিষয়ে কি বলছে, সেটাও তো জানা দরকার। চোখ রাখুন এবারের ঋতবাক-এ।
এদিকে, সব ঠিকঠাক এগোলে এ মাসের শেষ সপ্তাহেই এসে যেতে পারে বহু প্রতীক্ষিত হাতে গরম ঋতবাক মুদ্রিত সংস্করণ। বেশ উত্তেজিত লাগছে। এবিষয়ে আপনাদের সকলের এত উৎসাহই নিঃসন্দেহে আমাদের অনুপ্রেরণা। এই পথচলায় সঙ্গে পেয়েছি নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ী, বিশ্বনাথ রায়, সুজিত আচার্যের মতো বিশাল মাপের গবেষকদের। এ এক পরম পাওনা। আমরা কৃতজ্ঞ। এই সংসর্গ দীর্ঘস্থায়ী হোক।
শুভেচ্ছা জানবেন সকলে।
সুস্মিতা বসু সিং