0

সম্পাদকীয়

Posted in







একই অঙ্গে এত রূপ? সইবে তো? দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে জারি করা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাম্প্রতিক একটি নির্দেশিকা ঘিরে এই সংশয়। এই প্রথম অবশ্য নয়। নানান বিষয়ে বিভ্রান্তি-সৃষ্টিকারী সরকারি বিজ্ঞপ্তি আর তুঘলকি, একনায়কতন্ত্রী সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে অনেকটাই গা - সওয়া হয়ে গিয়েছে আমাদের। কিছুতেই তেমন আর কিছু এসে যায় না।হেঁয়ালি সরিয়ে বিষয়টির অভ্যন্তরে একটু প্রবেশ করা যাক এখন।

২১ ফেব্রুয়ারি তারিখটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে সারা বিশ্বে স্বীকৃত। ভারত তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু হঠাৎ দেখা গেল কোনও অজ্ঞাত বিশেষ কারণে ১১ ডিসেম্বর দিনটিকে সমগুরুত্ব দিয়ে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসার প্রয়াস শুরু হয়েছে। আমাদের জানা আছে ওই বিশেষ তারিখটি তামিল মহাকবি সুব্রহ্মণ্য ভারতীর জন্মদিন। ওই নির্দেশিকায় বলা হল, এখন থেকে দিনটিকে 'বাধ্যতামূলকভাবে' ভারতীয় ভাষা দিবস হিসাবে পালন করতে হবে। এবং শুধু তাতেই শেষ হচ্ছে না। প্রমাণস্বরূপ অনুষ্ঠানের ভিডিও এবং স্থিরচিত্র আপলোড করতে হবে সরকারি পোর্টালে। অকস্মাৎ এই টনক নড়ার কারণ কী হতে পারে? আর কেনই বা মাতৃভাষা দিবসের প্রতিপক্ষরূপে সুচারুভাবে এক বিশেষ ভাষাগোষ্ঠীর প্রধান এক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে শিখন্ডি করে তোলার এই নির্লজ্জ অপপ্রয়াস? রাজনীতির কুনাট্যমঞ্চের অংশগ্রহণকারীরা এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবেন।

তাঁদের সেই সঙ্গে একথাও স্মরণে রাখতে হবে যে স্বতঃস্ফূর্ত মানবিক আবেগ নিয়ন্ত্রণ ও ইতিহাসকে আপন তাঁবেতে নিয়ে আসার চেষ্টা এর আগেও ইতিহাসের অনেক খলনায়ক করেছেন। তাঁদের একজনের নাম আডলফ হিটলার। যাঁর পরিণতি ভালো হয় নি।

শারদীয় শুভেচ্ছা আপনাদের সকলকে।

সুস্থ থাকুন। সৃজনে থাকুন।

0 comments: