Next
Previous
1

প্রবন্ধ - প্রমিত বসু

Posted in






এই বছর দুশো পূর্ণ করলেন মধুকবি। প্রথম বাঙালি রংবাজ কবি। এক সৃষ্টিশীল রংবাজ, যিনি আজীবন কোনো আপোষ করেননি নিজের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যর সঙ্গে। ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যর সঙ্গে যখনই কোনো আপোষের প্রশ্ন এসেছে, তখন তার মূল্য রাখতে নিজের পরিবার, বন্ধু বা নিশ্চিত সুখের জীবন ত্যাগ করতে তাঁকে এক মুহূর্ত ভাবতে হয় নি।

তাঁর ব্যক্তিগত ধর্মাচরণ হোক অথবা কাব্য সৃষ্টি হোক, সর্বক্ষেত্রেই আপোষহীন ব্যক্তিস্বাতন্ত্রতা বজায় রেখেছেন জীবনভর। তার জন্য নিজের স্থিতিশীল জীবন এক ঝটকায় ভয়ঙ্কর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে, কিন্তু তা বলে নিজের অবস্থান থেকে একটুও সরার কথা মনে হয়নি কখনও।

সেই সাহসেরই প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায় তাঁর ভাষায়, কাব্যে এবং সৃজনশীলতায়। যা কিছু প্রচলিত, তাকে ভেঙে ফেলে নতুন ছাঁদে, নতুন আঙ্গিকে পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করেন যা চমকে দেয় আপামর সাহিত্য জগৎকে। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি যখন বাংলা সাহিত্য আটকে আছে সেই মঙ্গলকাব্যের বাঁধা ছকে আর পাঁচালির ছন্দে, ঠিক সেই সময় নিয়ে এলেন ইউরোপীয় ধাঁচে অমিত্রাক্ষরের ঝড়। সেই ছাঁদে মেলালেন খাঁটি ভারতীয় দেব-দেবী, রামায়ণ, মহাভারত কিংবা পুরাণকে।

১৮৫৭ থেকে ১৮৬১ এই চার বছরের মধ্যে পর পর তৈরী করলেন শর্মিষ্ঠা, পদ্মাবতী নাটক, তিলোত্তমা কাব্য, মেঘনাদবধ কাব্য, কৃষ্ণকুমারী, ব্রজাঙ্গনা কাব্য এবং বীরাঙ্গনা কাব্যের মতো একের পর এক সৃষ্টি। 'শর্মিষ্ঠা' লেখার পর পরই বলেন 'আমাদের নাটক গদ্যে না লিখে অমিত্রাক্ষরে লেখা উচিত।.. যত দিন না বাংলায় অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রচলিত হচ্ছে, ততদিন বাংলা নাটকের উন্নতি আশা করা যায় না'। পয়ার আর ত্রিপদীর কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে শুরু করলেন অমিত্রাক্ষর। বাংলা ভাষায় অমিত্রাক্ষরের অনুপ্রবেশ ঘটানোর সাথে সাথে আধুনিক করলেন বাংলা নাটককে। নাটকে এবং কাব্যে কমেডি, ট্র্যাজেডি, বীররস, করুণরসের নতুন মাত্রা যোগ করলেন।

কোনোদিন তোয়াক্কা করেন নি গতানুগতিক কাঠামোকে, সেটা সাহিত্যেই হোক বা সমাজে। পৌরাণিক কাহিনীগুলোকে বেছে নিলেন নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে পুরাণকে পরিবেশন করতে, নিজের রচনার মধ্যে দিয়ে তার আধুনিক মানবিক মূল্যবােধকে প্রকাশ করার জন্য। কাব্যে বা নাটকে যতই পৌরাণিক গল্প ব্যবহার করুন না কেন, চরিত্রগুলোর অতিমানবিক রূপগুলোকে কেটেছেঁটে তৈরী করেন রক্তমাংসের সাধারণ মানুষ। সেখানে পরতে পরতে দেখালেন যে সভ্যতার আদিকাল থেকেই মানুষ সাদা বা কালোর বিভাজনে বিভক্ত নয়, বরং প্রত্যেকেরই চরিত্রে রয়েছে ভিন্ন মাত্রায় ধূসর উপাদান (shades of grey)।

আজ থেকে প্রায় ১৬৩ বছর আগে ‘মেঘনাদবধ’ মহাকাব্য লিখলেন রামকে সরিয়ে রাবণকে লাইমলাইটে নিয়ে এসে, নতুন ভাব-ভাষা-রূপকল্পে। এখানে রাম অথবা রাবণ কেউই আসল মহাকাব্যের মতো নিজেদের দেবত্বে বা দানবত্বের ঘেরাটোপে বাঁধা থাকে না। রাক্ষসরা বিকটরূপী কোনো ক্যানিবেল নয়, বরং তারা আর্যদের মতোই যজ্ঞ করে, পুজো করে, বর প্রার্থনা করে। আনন্দ বা দুঃখে তাদের মানুষের মতোই প্রতিক্রিয়া থাকে। আবার বানররাও কোনো রোমশ বিশালদেহী পশু নয়, সাধারণ মানুষদের সঙ্গে তাদের কোনো ফারাক নেই। তেমনই রাম বা সীতা কোনো অবতার নয়, বরং আর পাঁচজন মানুষের মতোই তাদের জীবন চলে।

রবীন্দ্রনাথের এক উদ্ধৃতিতে এই তাৎপর্য সার্থকভাবে প্রকাশ পেয়েছে: “মেঘনাদবধ কাব্যের কেবল ছন্দোবন্ধে ও রচনাপ্রণালীতে নহে, তাহার ভিতরকার ভাব ও রসের মধ্যে একটা অপূর্ব পরিবর্তন দেখিতে পাই। এ পরিবর্তন আত্মবিস্মৃত নহে। ইহার মধ্যে একটা বিদ্রোহ আছে। কবি পয়ারের বেড়ি ভাঙ্গিয়াছেন এবং রামরাবণের সম্বন্ধে অনেকদিন হইতে আমাদের মনে একটা যে বাঁধাবাঁধি ভাব চলিয়া আসিয়াছে স্পর্ধাপূর্বক তাহার শাসন ভাঙ্গিয়াছেন। এই কাব্যে রামলক্ষ্মণের চেয়ে রাবণ-ইন্দ্রজিৎ বড় হইয়া উঠিয়াছে। যে ধর্মভীরুতা সর্বদাই কোনটা কতটুকু ভাল ও কতটুকু মন্দ তাহা কেবলই অতি সূক্ষ্মভাবে ওজন করিয়া চলে, তাহার ত্যাগ দৈন্য আত্মনিগ্রহ আধুনিক হৃদয়কে আকর্ষণ করিতে পারে নাই।”

একদম ছোট বয়স থেকেই নারীদের প্রতি তিনি ছিলেন চরম শ্রদ্ধাশীল। ১৮৪২ সালে স্ত্রী-শিক্ষা বিষয়ে একটি রচনা লিখে তিনি স্বর্ণপদক পান। সেখানে তিনি বিশেষভাবে লেখেন যে দেশের সভ্যতার আর উন্নতির প্রতীক হলো এই নারীশিক্ষা এবং সেইটা হলেই সমাজের পূর্ণতাপ্রাপ্তি ঘটতে পারে।

“Extensive dissemination of knowledge amongst women is the surest way that leads a nation to civilization and refinement… the happiness of a man who has an enlighten partner is quite complete..”

সেই যুগে সমাজের অনেক বড়ো বড়ো সংস্কারকরাও নারীদের উন্নতির কথা বললেও নিজেদের স্ব-স্ব বিবাহের ক্ষেত্রে কিন্তু সেই চিরাচরিত প্রথাকেই মেনে নিয়েছিলেন। এমনকি ঠাকুর পরিবারও তার ব্যতিক্রম নয়। সেই সময়ে তাঁর সোজা কথা - বিলিতি কায়দায় কোর্টশিপ না করলে সে কি আর প্রেম, আর প্রেম করে বিয়ে না করলে সে কি আর বিয়ে!

পদাবলীর ছাঁদে লেখা ব্রজাঙ্গনা কাব্যে আধ্যাত্মিক প্রেমলীলা থেকে বেরিয়ে এসে রাধা হয়ে ওঠে এক সাধারণ নারী, বিরহ, আক্ষেপ বা হতাশায় আকুল এক বিরহিণী, যার প্রেমের আন্তরিকতায় কোনো ভেজাল নেই। গীতরসসমৃদ্ধ এক ভক্তিরসের এই পদাবলিতে নিয়ে এলেন এক নতুন আস্বাদ, যেখানে নারীর অনুভূতিগুলোকে ঘিরে।

সেই নারীবাদী চিন্তাধারা থেকেই বোধহয় সৃষ্টি হলো 'বীরাঙ্গনা কাব্য', যা বাংলা সাহিত্যে নারীবাদের একটা জলজ্যান্ত বেঞ্চমার্ক। বীরাঙ্গনা কাব্য যে সময় লেখা হয় তখন বাংলায় মেয়েদের স্কুল হাতে গোনা কয়েকটি আর বিধবা বিবাহ শুরু হয়েছে সবে তিন চার বছর আগে। কত বড়ো অদম্য সাহসী মানুষ না হলে সেই সময় দাঁড়িয়ে পৌরাণিক নারীদের নিয়ে লেখেন পত্রকাব্য। প্রণয়ীদের লেখা পত্রে তাদের বৈচিত্র্যময় অনুভূতি বেরিয়ে আসে। কুদর্শনা সুর্পণখা রামায়ণের থেকে বেরিয়ে এসে কবির হাতযশে রূপান্তরিত হয় এক সাধারণ নারীতে, যে কিনা লক্ষণের মহান-রূপে মুগ্ধ হয়ে তাকে প্রেম নিবেদন করে বসে। অকুতোভয় তারা চন্দ্রের সঙ্গে প্রেমের স্বীকৃতি চায় জোর গলায়, আবার শকুন্তলা বা কৈকেয়ী প্রণয়ীদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের জন্য তাদের সরাসরি দোষারোপ করে ওঠে। সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে থেকে মহিলাদের এই দৃষ্টিকোণ থেকে সৃষ্টি করেছিলেন দত্তকবি।

আজীবন সাহিত্যে ভেঙেছেন গড়েছেন, চেষ্টা করেছেন ইম্প্রোভাইজেশনের। তিনি বুঝেছিলেন যে যতি এবং অন্ত্যমিলের কঠোর নিয়মের যাঁতাকলে বাংলা ভাষা তার সহজ মাধুর্য এবং স্বতঃস্ফূর্ততা হারিয়ে ফেলতে বাধ্য। একটি চিঠিতে এই সম্পর্কে বলেন যে চীনা মেয়েদের যেমন লোহার জুতো পরিয়ে তাদের পায়ের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে আটকে রাখা হয়, বাংলা ছন্দের নিয়মও তেমনি ভাষার স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে বিনষ্ট করে। বাংলা কাব্যে অমিত্রাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গে হাজির করেন সনেট। সেখানেও দেখান নিজের কেরামতি। প্রথাগত ইউরোপিয়ান ধাঁচের পেত্রার্কীয় বা শেক্সপীয়রীয় সনেটকে যেমন গ্রহণ করলেন, তেমনি সেটা আবার নতুন করে ভেঙে তৈরী করলেন নতুন গড়ন (যেমন 'হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব')।

ধর্মের ঊর্ধ্বে গিয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গিতে নৈর্ব্যক্তিকতা বজায় রেখেছেন চিরকাল। মাদ্রাজে থাকাকালীন যখন মিশনারিদের অধীনে চাকরিরত, সেই সময়ও মুসলিম শাসনের কিছু ভালো দিক তুলে ধরে ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনের সমালোচনা করলেন (“India under the Moslem rule was more prosperous than the Leadenhall rule. Sir Charles may disguise the fact, but history is against him.” - Leadenhall হল ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির লণ্ডনের সদরদপ্তরের ঠিকানা)। আবার একই সাথে মুঘল রাজত্বের শেষের নবাবদের বিলাসবহুল জীবনের কড়া সমালোচনা করলেন।

যে খৃস্ট ধর্মের জন্য একদিন সব ছেড়ে দিয়েছিলেন, সেখানে দেখেছেন পদে পদে বৈষম্য। তিনি এটা বিলক্ষণ বুঝেছিলেন যে ধর্মশিক্ষা কখনও প্রকৃত শিক্ষার আলো হতে পারে না। তাই ‘নেটিভ এডুকেশন’ প্রবন্ধে এর বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হয়েছিলেন মধুসূদন। স্কুলগুলিতে বাইবেল পড়ানোর মতো জবরদস্তিকে তিনি ঘৃণ্য কাজ বলেছেন— “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাইবেল পড়লেই খ্রিষ্টধর্মের প্রসার ঘটবে এমনটা ভাবা নিতান্ত বোকামি।” তার ফলস্বরূপ যা হওয়ার তাই হয়েছে। কোনো ধর্মের মাথারাই তাঁকে ধর্মীয় স্বীকৃতি দেন নি। খ্রিস্টান সমাজে ব্রাত্য হয়েছেন, হিন্দু সমাজে চিরকাল বিধর্মীর তকমা জুটেছে।

সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বিদ্রুপ হয়েছে। মেঘনাদকাব্যের ব্যঙ্গ করে লেখা হয় 'ছুচুন্দর বধ কাব্য'। ঈশ্বর গুপ্তের মতো মানুষও তাঁর কড়া সমালোচক ছিলেন। কিন্তু তাতে কীই বা এসে যায় এই রকম মানুষের। উল্টে তাঁকেই শ্রদ্ধা জানিয়ে কবিতা লেখেন:

'আছিলে রাখালরাজ কাব্য ব্রজধামে
জীবে তুমি; নানা খেলা খেলিলে হরষে'

সাচ্চা রংবাজের মতোই প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে স্বীকার করেছেন তাঁর ঋণ। কাব্যের গুরু ভেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন বাল্মীকি, ব্যাস এবং কালিদাসকে। বীরাঙ্গনা কাব্য উৎসর্গ করেছেন স্বয়ং বিদ্যাসাগরকে। কতটা বুকের পাটা থাকলে কেউ তাঁর নিজের এপিটাফ নিজেই লিখতে পারেন, সেটা উপলব্ধি করার ক্ষমতাই আমাদের থাকে না। শহরের খ্রিস্টান সমাজের কাছে তিনি এমনই চক্ষুশূল ছিলেন যে, তাঁর মৃত্যুর পর কলকাতার কোনও সমাধিক্ষেত্রে তাঁর ঠাঁই হবে কি না সেই অনিশ্চয়তায় কেটে যায় অনেকটা সময়। শেষমেশ লোয়ার সার্কুলার রোডে সমাধিস্থ হলেন, হেনরিয়েটার পাশেই। গৌরচন্দ্র বসাক-সহ কয়েক জন বন্ধু বহু বছর পরে স্মৃতিফলক বসিয়েছিলেন, তাতে মাইকেলেরই লেখা নিজের প্রয়াণলেখ: ‘দাঁড়াও, পথিক-বর, জন্ম যদি তব/ বঙ্গে, তিষ্ঠ ক্ষণকাল!...।’

প্রতি বছরই এই সময়ের অন্য ছুটির উচ্ছ্বাসে তিনি চলে যান সব রকম জমকের আড়ালেতে। এই বছর এমনই আয়রনি যে তাঁর দ্বিশতক পূর্ণের ঠিক আগেই রাজকীয় আড়ম্বরে স্থাপিত হল সেই পৌরাণিক চরিত্রের যাকে তিনি বরাবর বিচার করেছেন মানবতার মাপকাঠিতে। অবতারের বাইরে বেরিয়ে এসে মানুষের ন্যায়-অন্যায়ের ধর্মনীতির মধ্যে রেখে মূল্যায়ন করেছেন। হয়ত আজকের সময়ে জন্মালে শাসকের নিরাপত্তাহীনতার দরুণ তাঁকে মিথ্যে দেশদ্রোহিতার মামলায় জেল খাটতে হত।

নিজের শর্তে ক'জনই বা বাঁচতে পারে? মধুসূদনও পারেননি, তা বলে ইচ্ছেটা মরে যায়নি। শিল্পের দুনিয়ায় বহু প্রবল প্রতিভাও পরিস্থিতির চাপে চুপ করে গিয়েছেন, আপস করে নিয়েছেন সময়ের সঙ্গে। মধুসূদন করেননি। মধুসূদনকেও যে একেবারে করতে হয় নি তা নয়। কাব্যচর্চায় সাময়িক বিরতি দিয়ে গ্রাসাচ্ছাদনের তাগিদে সংবাদপত্রে বা পুলিশেও চাকরি করেছেন, ওকালতি করেছেন। কিন্তু পরিস্থিতির অল্প পরিবর্তনেই ফিরে এসেছেন নিজের কাব্যরচনায়। তাই জীবনের অনেক আশা অপূর্ণ থেকে গেলেও কালজয়ী কবি হওয়ার বাসনা পূর্ণ হয়েছে।

মধুসূদন তার সমসাময়িক কালেই অনেক বিরোধিতার মধ্যেও শিক্ষিত সমাজের বড়ো অংশের কাছে শ্রদ্ধা আকর্ষণ করেছিলেন। তার মর্যাদা যে কত বড় তা বিশেষভাবে অনুভূত হচ্ছে একালে। এক ধাক্কায় বাংলা ভাষার বিশ্বায়নের দরজা প্রথম খুললেন। সুগভীর স্বাজাত্যবােধ, সর্বমানবযোগ একসাথে মিলিয়ে দেবত্ব আর ভাগ্যের উর্ধ্বে তিনি তুলে ধরেছেন মানুষের পৌরুষের মহিমা। একজন আগাগোড়া অসাম্প্রদায়িক মানুষ হয়ে আজীবন প্রেমের ধর্ম চর্চা করে মানবতার পাঠ পড়ালেন ভবিষ্যতের শতাব্দীকে।