Next
Previous
0

সম্পাদকীয়

Posted in

সম্পাদকীয়

"এমন করিয়া চার পাঁচ বছর কোথা দিয়া যে কেমন করিয়া কাটিয়া গেল তাহা চোখে দেখিতে পাইলাম না।"

রবিপ্রদক্ষিণপথে ঋতবাকের পাঁচে পা। 

'তোমরা রচিলে যারে 
নানা অলংকারে
............
বাহির হইতে
মিলায়ে আলোক অন্ধকার
কেহ এক দেখে তারে, কেহ দেখে আর।
খণ্ড খণ্ড রূপ আর ছায়া,
আর কল্পনার মায়া,
আর মাঝে মাঝে শূন্য, এই নিয়ে পরিচয় গাঁথে
অপরিচয়ের ভূমিকাতে।'

তিনিই বলে দিলেন সমস্তটুকু। মনে পড়ছে জন্মক্ষণটি। সেদিন যাঁরা ছিলেন সঙ্গে, আজও আছেন। কেউ সক্রিয়ভাবে, কেউ প্রচ্ছন্নভাবে অন্তরালে। তবু আছেন। মাঝে কতজন এলেন, চলেও গেলেন। কেউ কেউ রেখে গেলেন অনেক কিছু। আবার অনেকেই শুধু নিয়েই গেলেন দু'হাত ভরে। কত প্রতিভা আবিষ্কৃত হলো, কত প্রতিভা নির্মূল হলো জন্মমুহূর্তেই। আর রইলেন আপনারা... অনন্ত শুভেচ্ছা নিয়ে। 

এই দীর্ঘ অতীত পথ সবসময় সুগম ছিলোনা, স্বভাবতই। অনেকেই চেষ্টা করেছেন অন্তর্ঘাত করতে, ক্ষতি সাধন করতে। কিন্তু ওই যে, শুভ আর সত্যের জয় রোধ করা যায়নি কোনও দিনও!

এই ক'বছরে সঞ্চয়ও তো বড়ো কম নয়! বহু সুখস্মৃতি আজ ভীড় করে আসছে। এক একটা মাইলফলক আমরা উদযাপন করেছি একসঙ্গে। সত্যিই সকলে না থাকলে আজকের এই দিনটি আসতোই না। 

কাজের কথা হবে অন্য কোথাও অন্য কোনও দিনে... আজ শুধু সুখানুভবে আবিষ্ট হওয়ার দিন। 

এমনি করেই সঙ্গে থাকুন

শুভেচ্ছা নিরন্তর
শব্দঋণ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর