Next
Previous
0

বিশেষ প্রবন্ধ - ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়

Posted in


বিশেষ প্রবন্ধ


একটি অনালোচিত দ্বিশতবার্ষিকী:-
বাংলা পুস্তক প্রকাশনার দুশো বছর
ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়



ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্মবার্ষিকী, শতবার্ষিকী বা দ্বিশতবার্ষিকী পালনের রেওয়াজ বিশ্বের সর্বত্রই আছে। কোনও কোনও বস্তুর ক্ষেত্রেও এমন উদযাপন হয়। ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এমন উদযাপন হয় তাদের অবদানের কারণে। আমাদের জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার মধ্যেই তাদের বেঁচে থাকা। বস্তুর স্মরণের ক্ষেত্রে ঠিক এমনটা নয়। নয়, কারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সেই বস্তুটির নিয়ত পরিবর্তন ঘটাচ্ছে, যার ফলে তার আদি চেহারাটাই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ধরা যাক ধ্বনিবদ্ধ কন্ঠস্বর বা গান শোনার যন্ত্র কলের গান, যা আবিষ্কার করেছিলেন টমাস আলভা এডিসন ১৮৭৭ সালে। এখনকি কলের গান বা গ্রামোফোনের জন্মদিন পালন করা যায়? যায় না, কারণ দেড়শো বছরেরও কম সময়ে ধ্বনিবদ্ধ কন্ঠস্বর শোনার বন্দোবস্তটাতেই আমূল বদল ঘটে গেছে। কিন্তু বিজ্ঞানী এডিসনকে বিস্মৃতির অতলে রাখা যাবে না, কারণ ধ্বনিবদ্ধ কন্ঠস্বর শোনার প্রযুক্তির মূল আবিষ্কার ছিল তাঁরই।

কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নয়, আমি এখানে একটি বস্তুর জন্মের দ্বিশতবার্ষিকীর কথা বলবো। বলার আগে এই ছোট্ট ভূমিকাটুকু করলাম। মুদ্রিত ছাপা বাংলা বই ও বাংলা পুস্তক প্রকাশনার দুশো বছর। হ্যাঁ, এই ২০১৬তে বাংলা অক্ষরে ছাপা বাংলা বই এবং তার বিপণনের দুশো বছর পূর্ণ হল। অথচ কলকাতার আন্তর্জাতিক পুস্তকমেলা বা বাংলার জেলাশহরের কয়েকশো বইমেলার আয়োজনে কোথাও এ সম্পর্কে একটি শব্দও উচ্চারিত হয়েছে এমন জানা নেই।

যে কোনও বস্তুর বা প্রতিষ্ঠানের জন্মের একটা পৃষ্ঠভূমি থাকে। আর বইয়ের জন্ম ও বিবর্তনের ইতিহাস তো মানবসভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে। সেই বৃত্তান্ত এখানে প্রাসঙ্গিক নয়। আমি বলছি বাংলাভাষায় ছাপা বই। দুই মলাটের ভেতর ধাতব অক্ষরে ছাপা বই, যে বই আমরা কিনে পড়ি বা পড়ার জন্য উপহার পাই। তার বয়স কিন্তু মাত্র দুশো বছর। হঠাৎ করে একদিন বই ছাপা হয়ে যায়নি। কেউ বলেনি সেই মানুষটিকে, যে ছাপাখানায় ধাতব অক্ষর সাজিয়ে ছাপাখানার যন্ত্র চালাতো। সেই মানুষটি একদিন কলকাতার এক ছাপাখানা থেকে মধ্যযুগের এক স্বনামধন্য কবির একটি সচিত্র বই ছাপিয়ে ফেললেন আজ থেকে দুশো বছর আগে। তাঁর কথা বলার আগে এদেশে ছাপাখানার প্রবর্তন, ধাতব অক্ষর আবিষ্কার, অক্ষর সাজানো বা কম্পোজ করা – এই বিষয়গুলি ছুঁয়ে যাবো।

ছাপা বইয়ের জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল আজ থেকে ছ’শো বছর আগে। ১৪৫০ সনে জার্মানীতে জোহানেস গুটেনবার্গ উদ্ভাবন করলেন মুদ্রণ যন্ত্র আর ১৪৫৫ নাগাদ গুটেনবার্গের যন্ত্রে ছাপা হল বাইবেল। সেই শুরু ছাপা বইয়ের জয়যাত্রা। অন্ধকারাচ্ছন্ন সুলতানী আমলের ভারতে তখন কারো দূর কল্পনাতেও ছাপাখানা বা ছাপা বই ছিল না, থাকার কথাও নয়। এদেশে ছাপাখানা এল আরো সোয়া তিনশো বছর পরে ওপনিবেশিক ইংরেজদের হাত ধরে।

১৮শতকের দ্বিতীয়ার্ধ দেওয়ানি লাভের পর ইংরেজরা তখন বাংলায় জাঁকিয়ে বসেছে। কলকাতায় ওয়ারেন হেস্টিংস কোম্পানীর কর্মচারীদের দেশীয় ভাষা শেখানোর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছেন, অন্যদিকে শ্রীরামপুরের মিশনারিরা ধর্ম প্রচারের নানান ফন্দি-ফিকির খুঁজছেন। দুটি কাজেই ছাপাখানাই যে সবচেয়ে বড় সহায়, সেকথা বুঝেছিল তারা। মিশনারিরা প্রথম ছাপাখানা বসালো ১৭৭৮এ হুগলীতে। দু’বছর পরে শ্রীরামপুরে এল ছাপাখানা ‘ব্যাপটিস্ট মিশনারি প্রেস’। ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ রামমোহন রায় তখন হুগলী জেলার খানাকুলের পল্লীতে ছয় বছরের শিশু। মিশনারিদের এই ছাপাখানা থেকেই ১৭৮৪তে ছাপা হল ন্যাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড সাহেবের ‘এ গ্রামার অফ দি বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ’, যাতে প্রথম বাংলা অক্ষর ব্যবহৃত হয়েছিল। ছাপাখানা এল।তারপর বাংলা অক্ষর সাজিয়ে বই ছাপা ও বিপণনের বন্দোবস্তে লেগে গেল আরো তিনটি দশক।

এদিকে হেসটিংস তাঁর রাজ্যপাট ঠিকমত চালাতে ইংরেজ কর্মচারীদের দেশীয় ভাষা শিক্ষার জন্য বাংলায় ছাপার কাজ শুরু করার জন্য হন্যে হয়েছেন। হুগলীতে কর্মরত কোম্পানীর এক কর্মচারী চার্স উইলকিন্স কিছুটা দেশীয় ভাষা শিখেছিলেন। হেস্টিংস তাঁকে বাংলা হরফ বানানোর দায়িত্ব দিলেন। উইলকিন্স ইংল্যান্ডের কারিগরদের দিয়ে বাংলা হরফ বানানোর চেষ্টা করলেন, কিন্তু ব্যর্থ হলেন। অবশেষে সন্ধান পেলেন ত্রিবেণীর এক লৌহজীবী পঞ্চানন কর্মকারের। জনৈক হস্তলিপিবিদ খুশমৎ মুন্সীর সুচারু হস্তলিপি থেকে ধাতব অক্ষর কেটে দিলেন পঞ্চানন কর্মকার। বাংলা ভাষা ও মুদ্রনের ইতিহাসের সে এক সন্ধিক্ষণ। পঞ্চানন ধাতব অক্ষর বানিয়ে দিলেন, শ্রীরামপুরের মিশনারি প্রেস থেকে বাংলায় ছাপা হতে শুরু করল, পাদরি উইলিয়াম কেরির ওল্ড টেস্টামেন্ট ইত্যাদি ধর্ম প্রচারের বই ছাপা হল। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য বাংলা বই ও তার বিপনন শুরু হতে লেগে গেল আরো বেশ কয়েক বছর। ইতিমধ্যে কলকাতায় ছাপাখানা এলো। কলকাতা গ্রন্থনগরী হয়ে ওঠার দিকে পা বাড়াল।

কলকাতা তখন সবেমাত্র তার শৈশব দশা অতিক্রম করেছে। তখনও বেলাগাম দুর্নীতি আর কদর্য বাবু কালচারের কলকাতায় বাদা, জঙ্গলে ঘেরা মেঠো পথ। সবে একটা মাত্র চওড়া রাস্তা হয়েছে। পালকি ভিন্ন যানবাহন নেই।ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ রামমোহন রায় তখন সবেমাত্র কলকাতায় এসেছেন স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য, জন্মগ্রহণ করেননি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।তখনও কারখানার চিমনির ধোঁয়া নেই, বিদ্যুতের আলো নেই, কিন্তু বাংলা বই এসেছিল। কলকাতায় বাংলা বই নিয়ে আসা, কলকাতাকে গ্রন্থনগরী করে তোলার ভগীরথ গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য। ১৮১৬ সনে কলকাতা থেকে ছাপা ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল’ই সাধারণের কাছে বিক্রয়ের জন্য প্রথম সচিত্র বাংলা বই – প্রকাশ করেছিলেন এই গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য।

অথচ বাংলার সামাজিক ইতিহাসের এই যুগান্তকারী ঘটনা যিনি ঘটালেন সেই গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য সম্পর্কে তেমন কিছু লেখাজোখা ইতিহাস রেখে যায়নি। জানা যায়না তাঁর জন্ম ও মৃত্যু তারিখ বা কোনও পারিবারিক বৃত্তান্ত। শুধু ১৮৩০-এর ৩০শে জানুয়ারি সংখ্যার ‘সমাচার দর্পণ’-এ প্রকাশিত সংবাদটি ছাড়া। ‘সমাচার দর্পণ’ থেকে জানা যায় - "এতদ্দেশীয় লোকের মধ্যে বিক্রয়ার্থে বাঙ্গালা পুস্তক মুদ্রিতকরণের প্রথমোদ্যোগ কেবল ১৬ বৎসরাবধি হইতেছে ইহা দেখিয়া আমাদের আশ্চর্য্য বোধ হয় যে এত অল্প কালের মধ্যে এতদ্দেশীয় লোকেরদের ছাপার কর্ম্মের এমন উন্নতি হইয়াছে। প্রথম যে পুস্তক মুদ্রিত হয় তাহার নাম অন্নদামঙ্গল শ্রীরামপুর ছাপাখানার এক জন কর্ম্মকারক শ্রীযুত গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য্য তাহা বিক্রয়ার্থে প্রকাশ করেন।" আসলে গঙ্গাকিশোররা ইতিহাসের নির্মাণ করেন কিন্তু ইতিহাস তাঁদের মনে রাখে না।

নবজাগরণকালের সেই ঊষালগ্নে বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামের এক দরিদ্র ব্রাহ্মণের এই ইতিহাস নির্মাণ বিস্ময়কর বৈকি! বাংলার বুদ্ধির জাগরণের অগ্রপথিক রামমোহন রায়, দ্বারকানাথ ঠাকুরদের সঙ্গে সমান শ্রদ্ধায় উচ্চারিত হওয়ার যোগ্য গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের নাম। কোন প্রেরণায় শ্রীরামপুর মিশনারি প্রেসের এক কম্পোজিটর বাংলার সামাজিক ইতিহাসে পুস্তক প্রকাশনায় অগ্রপথিকের ভূমিকা পালন করলেন সে এক বিস্ময়।

১৭৭৮-এ মিশনারি এন্ড্রুজ সাহেব হুগলীতে প্রথম ছাপাখানা খোলেন। দুবছর পরে শ্রীরামপুরে মিশনারীরা ছাপাখানা বসালেন – ‘ব্যাপটিস্ট মিশন প্রেস’, সে কথা বলেছি।বহড়া গ্রামের এক দরিদ্র ব্রাহ্মণসন্তান গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য পেটের দায়ে সেই প্রেসে কম্পোজিটারের কাজ পেলেন। ১৮০১ থেকেই বাংলা ভাষার বই ছাপা শুরু হয়েছে। সেগুলি সবই পাদরি উইলিয়াম কেরির উদ্যোগে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের পণ্ডিতদের দ্বারা লিখিত পাঠ্যপুস্তক। ছাপা বইয়ের বিস্ময় বুকে নিয়ে এগিয়ে গেলেন গঙ্গাকিশোর। কলকাতায় তখন কয়েকটি ছাপাখানা বসেছে। পুস্তক প্রকাশনার স্বপ্ন নিয়ে গঙ্গাকিশোর কলকাতা চলে এলেন, আর কলকাতার ‘ফেরিস কোম্পানী প্রেস’ থেকে নিজ উদ্যোগে ছাপলেন রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যটি ১৮১৬ সনে। শুধু বই ছেপেই থেমে থাকলেন না, তার বিপণনের ব্যবস্থাও করলেন। তাঁর বইয়ের বিক্রয়ের জন্য কলকাতায় একটি বইয়ের দোকান খুললেন। গঙ্গাকিশোরই প্রথম কলকাতা শহরে বইয়ের দোকান খোলার পথ দেখান। বই বিক্রির সাফল্যে উৎসাহিত গঙ্গাকিশোর বাংলার নানা শহরে বিক্রয় প্রতিনিধি নিযুক্ত করেছিলেন। বাংলা বইয়ের আদিপর্বে এ ছিল এক অভাবিত ব্যাপার। এখানেই থামলেন না গঙ্গাকিশোর। দু’বছর পরে ১৭১৮-তে গঙ্গাকিশোর নিজেই একটা ছাপাখানা বসালেন – ‘বাঙ্গাল গেজেটি প্রেস’ নামে। কলকাতায় ছাপাখানা আসার সেই আদি পর্বে বাংলা বই ছাপাতে হত শ্রীরামপুরের ‘মিশনারি প্রেস’ অথবা কলকাতায় ‘ফেরিস কোম্পানী’র প্রেস থেকে। গঙ্গাকিশোরের আগে কোন বাঙালি ছাপাখানা স্থাপনে এগিয়ে আসেননি। সুতরাং এ ব্যাপারেও গঙ্গাকিশোরই পথপ্রদর্শক। নিজের প্রেস থেকে অতঃপর গঙ্গাকিশোর ‘বাঙাল গেজেটি’ নামে বাংলা সংবাদপত্র প্রকাশ করেন। বাঙ্গাল গেজেটি এক বছর চলেছিল। বাঙ্গাল গেজেটির কোনও সংখ্যা পাওয়া যায় না। গঙ্গাকিশোরের এই ‘বাঙাল গেজেটি’ই বাঙালি প্রবর্তিত প্রথম বাংলা সংবাদপত্র। অতএব গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যই একাধারে বাংলা ভাষার প্রথম ছাপাখানার স্থাপক, মুদ্রাকর, পুস্তক প্রকাশক,গ্রন্থ ব্যবসায়ী ও বাংলা সংবাদপত্র প্রকাশক।

মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ কবি রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের‘অন্নদামঙ্গল’ সম্পর্কে কিছু বলা নিষ্প্রয়োজন, এ নিবন্ধে সেই সুযোগও নেই। ‘অন্নদামঙ্গল’ অষ্টাদশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ রূপে স্বীকৃত, রবীন্দ্রনাথ যে গ্রন্থটিকে বলেছেন “রাজসভাকবি রায়গুণাকরের অন্নদামঙ্গল-গান রাজকণ্ঠের মণিমালার মতো, যেমন তাহার উজ্জ্বলতা তেমনি তাহার কারুকার্য।” প্রাচীন পুঁথি সংগ্রহ করে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য গ্রন্থটি প্রকাশ করেন, যেটি বাংলাভাষায় প্রথম প্রকাশিত সচিত্র গ্রন্থের মর্যাদা পেয়েছে।

ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত ভারতচন্দ্র গ্রন্থাবলীর ভূমিকায় সজনীকান্ত দাস লিখেছেন -‘‘ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্য মুদ্রণ করিয়াই বাংলা দেশে বাঙালীর পুস্তক-প্রকাশ ব্যবসায় আরম্ভ হয়; ১৮১৬ খ্রীষ্টাব্দে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য ইহার একটি চমৎকার সচিত্র সংস্করণ বাহির করিয়া ‘পাবলিশিং বিজনেস’ আরম্ভ করেন; ...গোটা ঊনবিংশ শতাব্দী ধরিয়া বাংলা দেশে অন্য কোনও বাংলা পুস্তক এত অধিক প্রচারিত এবং পঠিত হয় নাই।” ‘অন্নদামঙ্গল’ ছাড়াও গঙ্গাকিশোর প্রকাশ করেন ‘গঙ্গা ভক্তি তরঙ্গিনী’, ‘লক্ষ্মী চরিত্র’ ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’ ও ‘চাণক্যশ্লোক’।

এরপর গঙ্গাকিশোর কি করেন, কতদিন জীবিত ছিলেন, কিছুই জানা যায় না। জানা যায়, ১৮১৯ সনে তাঁর সহযোগী হরচন্দ্র রায়ের সঙ্গে মতানৈক্যের কারণে গঙ্গাকিশোর তাঁর ছাপাখানাটি নিজ গ্রামে নিয়ে যান এবং এর কয়েক বৎসর পরে মৃত্যু হয় বাংলা মুদ্রণ শিল্পের ও বাংলা সংবাদপত্র প্রকাশনার পথিকৃত গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যর।

   


তথ্যসূত্র-(১) ‘কলিকাতা শহরের ইতিবৃ০ত্ত’/ বিনয় ঘোষ,(২) ‘সাহিত্য-সাধক ‘চরিতমালা’/ব্রজেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘ভারতকোষ’/বঙ্গীয় সাহিত্য পরিসৎ /৩য় খণ্ড)।