Next
Previous
2

সম্পাদকীয়

Posted in


সম্পাদকীয়



সদ্য শেষ হলো আন্তর্জাতিক কলিকাতা পুস্তক মেলা, ২০১৬। ঋতবাক-এর প্রথম বইমেলা। প্রথম আত্মপ্রকাশেই চরম সাফল্য। ঋতবাক-এর এই জয়যাত্রা শুরু হয়েছে সেই ৩০শে আগষ্ট, ২০১৪তেই, যেদিন থেকে আপনারা স্বতঃস্ফূর্ত আন্তরিকতায় পাশে এসে দাঁড়িয়ছেন, সহযাত্রী হয়েছেন। প্রথম মুদ্রিত সংস্করণ মুদ্রণের আগেই তিনশ’রও বেশী কপি অগ্রিম বুকিং হয়ে যাওয়া, শোভাবাজার রাজবাড়িতে অসম্ভব সফল একটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, মেলার মাঠে প্রায় একশ’ ত্রিশ কপি বিক্রি হয়ে যাওয়া তারই প্রত্যক্ষ ফলশ্রুতি, নিঃসন্দেহে। ইতিমধ্যেই ঋতবাক পাড়ি দিয়েছে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশ। স্থান করে নিয়েছে ন্যাশানাল লাইব্রেরী ও লিটিল ম্যাগাজিন লাইব্রেরীতেও। কিন্তু এত সমস্ত সাফল্যের কথা মাথায় রেখেও বলতেই হবে ঋতবাক-এর চূড়ান্ত প্রাপ্তি অন্য জায়গায়। ঋতবাক, তার এই ক্ষুদ্র, অনভিজ্ঞ যাত্রাপথে সমৃদ্ধ হয়েছে রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য, নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ী, বিশ্বনাথ রায়, সুজিত আচার্য-র মতন বিশাল মাপের গবেষক-সাহিত্যিকদের নিঃশর্ত, স্বতঃস্ফূর্ত অবদানে। এই প্রাপ্তি তর্কাতীতভাবেই সমস্ত মূল্যায়নের উর্দ্ধে। যার অবশ্যম্ভাবী ফলশ্রুতি ঋতবাক-এর এবারের বিশেষ ভাষা সংখ্যা। 

বাংলা ব্লগ ম্যাগাজিনের ইতিহাসে প্রথমবার এবারের ঋতবাক বিশেষ ভাষা সংখ্যায় প্রকাশিত হলো রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য, নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ী ও বিশ্বনাথ রায়-এর লেখা। রামকৃষ্ণবাবু লিখে দিলেন এবারের প্রচ্ছদ নিবন্ধ। নৃসিংহবাবুর লেখাটি তো একেবারেই ভিন্ন স্বাদের, প্রকৃত অর্থেই এ এক অচেনা নৃসিংহ। এই সংখ্যা থেকেই শুরু হলো বিশ্বনাথবাবুর নতুন ধারাবাহিক - ‘যাবনী মিশাল ভাষা’র সন্ধানে। এই সংখ্যাতেই প্রকাশিত হলো "পশ্চিমবঙ্গ ভাষা শহীদ স্মারক সমিতির" কর্ণধার রতন বসু মজুমদার-এর লেখা – বাংলা ব্লগে এই প্রথম। এর এক অন্য তাৎপর্য, এ এক অভাবনীয় প্রাপ্তি, আমরা আপ্লুত। 

ঋতবাক-এর নিয়মিত বিভাগগুলিও পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে অজস্র ভালো লেখায়, দিন দিন প্রত্যেকের লেখার গুণগত মান হচ্ছে উন্নত থেকে উন্নততর, আর দিন দিন সমৃদ্ধতর হচ্ছে ঋতবাক। এও এক পরম প্রাপ্তি। আপনাদের সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় ঋতবাক-এর এই যাত্রা পথ আরও মসৃণ ও সুগম হোক। 

শুভেচ্ছা নিরন্তর...
সুস্মিতা বসু সিং