গল্প - অমৃতেন্দু মুখোপাধ্যায়
Posted in গল্পপ্রায়ান্ধকার একটা ঘর। এক কোণে একটা প্রদীপ জ্ৱলছে। মেঝেয় খড়ি দিয়ে অর্দ্ধচন্দ্রাকারে কতকগুলো বৃত্ত আঁকা। সেই অর্দ্ধচন্দ্রের কেন্দ্রস্থলে আরেকটি বৃত্ত। আকারে একটু বড়। একটা ভারী কাঁসার বাটি তাতে বসানো। বাটির ওপর তর্জ্জনী আলতো করে ছোঁয়ানো। যার তর্জ্জনী, তিনি মহিলা; পরনে লালপেড়ে সাদা শাড়ি। চুল খোলা। মাথা ঈষৎ ঝোঁকানো। মহিলা কি যেন একটা বিড়বিড় করছেন। একটু খেয়াল করলে শোনা যাবে যে তিনি বলছেন—
“বাবা, তুমি কি এসেছ?”
একটানা কথাগুলো বলে চলেছেন নীচুস্বরে, প্রায় স্বগতোক্তির মত। ঘোরের মধ্যে। কোনদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই। থাকার মধ্যে আছে শুধু এই একটাই প্রার্থনা, যা প্রায় আকুতির মত শোনাচ্ছে।
“বাবা, তুমি কি এসেছ? এসেছ তুমি? এস।”
হঠাৎ কাঁসার বাটিটা নড়ে উঠলো!
“প্রশ্ন কর।” প্রায় আদেশের সুরে বললেন মহিলা।
যার উদ্দেশে বললেন সে ঘড়ের বাইরে দুয়ারে দাঁড়িয়ে। যুবক। বয়েস আন্দাজ তেইশ-চব্বিশ। দুয়ারে একটা কম পাওয়ারের বাল্ব জ্বলছে। তার হলদেটে আলো গিয়ে পড়ছে বাড়ির উঠোনে, যেখানে জনা কুড়ি নারী ও পুরুষ বসে রয়েছে চাটাইয়ের উপর। চুপচাপ। নিজেদের মধ্যে কেউ কোন কথাও বলছে না। সবাই অপেক্ষায়। যুবক এক মাঝবয়েসী মহিলাকে হাতের ইশারায় ডাকলো। মহিলা শশব্যস্ত হয়ে উঠে এল দুয়ারে; দরজার গোড়ায় গিয়ে বসল।
ভক্তিভরে প্রণাম করল। তারপর বলল—
“মা, ছেলেটার চাকরী হচ্ছে না কিছুতেই। অনেক চেষ্টা-চরিত্তির করছে। কিন্তু লাগছে না। বাড়িতে এতগুলো পেট। তার উপর বৌমা পোয়াতি। একটা কিছু কি হবে না, মা?”
ঘড়ের ভেতর লাল পাড় শাড়ি পরা মহিলা মৃদু কণ্ঠে বললেন—
“বাবা, এর ছেলের চাকরি কি হবে?”
প্রশ্ন শোনামাত্র বাটি চলতে শুরু করল! কোথা থেকে কোন এক অদৃশ্য প্রাণশক্তি যেন সঞ্চারিত হয়েছে একটা সামান্য কাঁসার বাটিতে। হাত থেকে প্রায় বেড়িয়ে যেতে চাইছে। বাটি সোজা গিয়ে থামলো পরিধির কাছে থাকা অনেকগুলি বৃত্তের মধ্যে একেবারে ধারের বৃত্তটিতে। সেখানে লেখা — “হ্যাঁ”। তার পাশের বৃত্তে লেখা ছিল “না”; বাটি সেখানে যায় নি। “হ্যাঁ” লেখা বৃত্ত থেকে বাটি এবার ফিরে এল তার আগের জায়গায়। ফেরার সময় তাড়া নেই। ধীরে-সুস্থে ফিরে এল।
মহিলা এরপর খড়ি দিয়ে চট্ করে “না” লেখা বৃত্তের পরের বৃত্তটিতে লিখলেন “এ বছর”, তার পাশের বৃত্তে “সামনের বছর”, আর পরেরটায় “তারও পরে”।
এরপর প্রশ্ন করলেন—“কবে হবে?”
বাটি প্রায় ছিট্কে বেড়িয়ে যেতে চাইছে। মহিলার আঙ্গুল গতির সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে। হাত
প্রসারিত করে বাটির সঙ্গে অনুগমন করছে। বাটি গিয়ে দাঁড়ালো “সামনের বছর” লেখা বৃত্তে। ফিরে এল আগের মতই ধীরে-সুস্থে।
মহিলা উঁচু কন্ঠে বললেন—“চাকরী হবে, তবে আগামী বছর।”
“মা আরেকটা প্রশ্ন ছিল।”
“আর, নয়। পরের জনকে পাঠিয়ে দে।” শেষের আদেশ যুবকের উদ্দেশে।
এরপর একের পর এক মহিলা ও পুরুষ ক্রমান্বয়ে দাওয়ায় উঠে এসে প্রশ্ন রাখতে থাকলো—কারোর জিজ্ঞাসা মেয়ের বিয়ে, কারোর শরীর-গতিক, কারোর বা সন্তান হবে কি না ইত্যাদি-ইত্যাদি। যা-যা প্রশ্ন, আবহমান কাল ধরে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে এই পৃথিবীতে তাড়িত করে এসেছে, তাই উঠে আসতে লাগলো। জীবনের দাবী- দাওয়া অনেক।
যাবার আগে যুবকের হাতে যার যা সাধ্যমত দিয়ে গেল। কোন বাঁধাধরা হিসেব নেই। সবাই প্রায় গ্রামের গরীব-গুর্বো দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। বেশীর ভাগই দশ-বিশ টাকা দেয়। শহর থেকে বড়লোকেরা এলে তারা দেয়-থোয় ভালো। কিন্তু নিজে থেকে চাওয়ায় বারণ আছে।
শেষের জন চলে গেলে, যুবকটি ইতস্তত করে দরজায় দাঁড়ালো। বলল—“মা, আমার বিষয়টা যদি আরেকবার জিজ্ঞেস কর—”
“এক প্রশ্ন বারবার করিস কেন? আগের সপ্তাহেই তো বললাম।”
“তাও আরেকবার যদি—”
“একটু পরে মহিলা বললেন—“আগে যা বলেছিলেন, তাই বলছেন। হবে, কিন্তু দেরী হবে।”
“যদি—”
“আহ! বিরক্ত করিস না। বাবা আর থাকতে চাইছেন না।” এরপর, মহিলা বিড়বিড় করে বললেন—“বাবা, তুমি
এখন আসতে পার।” এই বলে মহিলা মেঝেতে মাথা ছুঁইয়ে ভক্তিভরে প্রণাম করে উঠে এলেন।
দরজার শেকল লাগিয়ে দিয়ে যুবককে রাগত স্বরে বলল—“তোকে বলেছি না, এক প্রশ্ন বারবার করবি না। বাবা পছন্দ করেন না। সময় বলেছেন তো। তার আগে তো হবে না। তাহলে? হয়, ধৈর্য্য ধর, না হলে অন্য মেয়ে দেখ।
দেশে কি আর মেয়ে নেই? বাবা তো বলেইছে এই মেয়ে তোর জন্য ভালো হবে না। সুখী হবি না তুই এই বিয়েতে।
তাও জেদ ধরে বসে আছিস। প্রতি সপ্তাহে একই প্রশ্ন করছিস!”
পরের সপ্তাহে, অর্থাৎ শনিবার সন্ধ্যেবেলা যথারীতি লোকসমাগম হয়েছে উঠোনে। মহিলা ভেতরে। কখন ডাক আসে সেই অপেক্ষায় প্রহর গুনছে উপস্থিত জনতা। একটু অস্থির হয়ে উঠেছে। যুবকটি সামলানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। গুঞ্জন ক্রমশঃ বাড়ছে। ঘড়িতে সময় বয়ে যাচ্ছে, কিন্তু ডাক আসছে না। সন্ধ্যে গড়িয়ে এখন রাত। যুবক অপ্রস্তুত; এমন তো কখনো হয় না। কিন্তু ভেতর থেকে ডাক না এলে যাওয়ার হুকুম নেই।
অনেক দূর-দূরান্ত থেকেও লোক আসে। এর বেশী রাত হয়ে গেলে, তারা ফেরার গাড়ি পাবে না। তাই, বাধ্য হয়েই যুবকটি দোরের কাছে গেল। উঁকি মেরে দেখে হতভম্ব হয়ে গেল। মহিলা থম্ মেরে বসে আছেন। হাতের ইশারা করে নীচু গলায় মহিলা বললেন—“ওদের আজ যেতে বল।”
যুবকটি একটু অবাক হল। কিন্তু পরক্ষণেই সামলে নিয়ে উঠোনে গিয়ে বিনীতভাবে বলল—“আজ একটু অসুবিধে হচ্ছে। মায়ের শরীরটাতো ভালো নেই। আপনারা সামনের সপ্তাহে আসুন।” লোকজনও বেশ অবাকই হল। এমনতো তারাও কখনো দেখেনি। নিজেদের মধ্যে এই অভূতপূর্ব্ব বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতে করতে চলে গেল।
গাঁয়ে-ঘরের জীবন নিস্তরঙ্গ। তারই মধ্যে এই ছোট্ট ঘটনাটি বেশ আলোড়ন তুললো। এতো আর এক-দুদিনের ব্যাপার নয়। বছরের পর বছর ধরে তারা দেখে আসছে। বিশুর বউ, মানে ভট্চাজ বাড়ির বৌয়ের প্রতি শনিবার ভর হয়। সারা সপ্তাহ সে গ্রামের বাকি গৃহবধূদের মতই। কিন্তু শনিবার দিনটা সে আর পাঁচজনের চেয়ে আলাদা।
শনিবার দিনে আর পাঁচটা মানুষ যা জানে, সে তাদের চেয়ে বেশীই জানে; আর পাঁচজন যা দেখে, সে তাদের চেয়ে বেশীই দেখে; যা আর পাঁচজনে দেখে না, সে তাও দেখতে পায়। সেদিন সে সকলের মা। এই শনিবারে হল কি?
সূর্য্য কি পশ্চিমে উঠলো?
পরের শনিবার এলে দেখা গেল, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। তার পরের শনিবার পেড়িয়ে গিয়ে তারও পরের শনিবার এসে গেল। কিন্তু বৌমার কাছে আর কোন জবাব মেলে না। হঠাৎ করে যেন প্রকৃতির হুঁশ ফিরে এসেছে; এমন একটা বেনিয়ম যেন তার অগোচরেই ঘটে আসছিলো এতদিন। খেয়াল হওয়ায়, তড়ি-ঘড়ি সেই রাস্তা—যে রাস্তায় মানুষের হাঁটা নিষেধ—সেই রাস্তায় সে আগল তুলে দিয়েছে।
কিন্তু গ্রামের মানুষ পড়েছে ফাঁপরে। জীবনের জ্বালা তো কম নয়। যিনি জীবন দিয়েছেন, তিনি আহারের ব্যবস্থা করেন নি। দিবারাত্রি পেটের তাগিদে ছুটে চলা মানুষ—নিরন্তর জীবনের ঘাটে-আঘাটে লাথি খাওয়া মানুষ—খড়কুটোর মত আঁকড়ে ধরে, হাত পাতে, জীবনের দেখা-শোনার চেনা সীমার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অচেনা আগন্তুকের কাছে। কিন্তু তিনিও আজ না করে দিলেন।
সমস্যায় পড়েছে বিশুর বৌও। সমস্যাটা যে ঠিক কি, সেটা ভাষায় ব্যক্ত করা কঠিন। তার সিদ্ধাই চলে গেছে সেটা সে বুঝতে পারে। কিন্তু কেন গেল, সেইটে সে ঠাওর করতে পারে না। কেমন যেন মনে হয় সে হেরে গেছে; কিন্তু কার কাছে, কে তার প্রতিপক্ষ সেইটা সে বুঝে উঠতে পারে না। মনটা তাই খচ্খচ্ করে। কেন হল এমন?
এমন হওয়ার তো কথা ছিল না। কতদিনের বাটি! তখন সবে হায়ার সেকন্ডারী দিয়েছে। টুটুলদি, জেঠুর মেয়ে, বেড়াতে এসেছিল ছুটিতে। ওই দেখিয়েছিল প্রথম। ও কোথা থেকে শিখেছিল কে জানে! দু বোন মিলে ভরসন্ধ্যেতে পরীক্ষা করে দেখেছিল লুকিয়ে। হায়ার সেকন্ডারী শেষ হয়েছে। তাই জানতে চেয়েছিল “পাশ করব না ফেল?” বাটি নিরুত্তর। বারবার জিগ্গেস করাতেও বাটি নড়েনি এতটুকু। “ফেলও করব না, পাশও করব না — ধুস্ তাই আবার হয় ন্যাকি? যত্তসব গ্যাঁজাখুড়ি জিনিষ।” বলে উঠেছিল ও। টুটুলদি বলল “দাঁড়া, দাঁড়া। ওকে জিগ্গেস কর কমপার্টমেন্টাল পাবি কিনা”। জিগ্গেস করতেই বাটি সোজা ছুটে গিয়েছিল “হ্যাঁ” লেখা ঘরে! ভয়ে পেয়েছিল খুব।
মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল কমপার্টমেন্টাল পাবে শুনে; যদিও পুরোপুরি বিশ্বাস করে নি। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় হল রেজাল্ট বের হতে দেখা গেল ও কমপার্টমেন্টালই পেয়েছে; ফিজিক্সে ব্যাক এসছে। সেই শুরু। কে আসছে, কোন শক্তি কোনদিন তা নিয়ে খুব একটা ভাবে নি। ভবিষ্যৎ জানার আনন্দে মশ্গুল ছিল। আজ চলে যাবার পর সারাদিন বসে ভাবে কে আসত আর কেনই বা সে আসা বন্ধ করে দিল। এতদিন পরে কি হল? কোথায় গরবর হয়ে গেল? তবে কি বারবার একই প্রশ্ন করায় বিরক্ত হয়ে চলে গেল?
মানুষটা যেন কেমনধারা হয়ে যাচ্ছে দিন কে দিন। ছেলেটা প্রায়ই লক্ষ করে মা সন্ধ্যের দিকে কোণের ঘরে গিয়ে বাটিটার দিকে চেয়ে থাকে আনমনা হয়ে। কি যেন ভাবে বসে বসে!
মঙ্গলবার, বিশুর ছেলে গঞ্জে গেসলো বিকেল দিক করে। ফিরে আসতে আসতে ভর সন্ধ্যে। ফিরে এসে কলতলায় হাত পা ধুতে ধুতে চিৎকার করল “কই গো, চিঁড়ে-মুড়ি কিছু দাও”। রান্নাঘরের আলো নেভা। শোবার ঘরে শেকল তোলা। গেল কোথায় মা? দুবার ডাকলো। সাড়া নেই। সন্ধ্যেবেলা কোথাও তো যায় না। চোখে পড়ল বাড়ির কোণের দিকের ঘরের দরজা হাট করে খোলা, ঘর অন্ধকার। গেল ওদিকে। অন্ধকার হাঁতরে আলো জ্বালতেই চমকে উঠলো! মেঝেতে পড়ে আছে মা। মুখ দিয়ে ফেনা কাটছে। গায়ে হাত দিয়ে দেখলো। শরীরে সাড় নেই। দৌড়ে কলতলা থেকে ঠান্ডা জল এনে ছিটিয়ে দিতে লাগলো মুখে চোখে। মহিলা গোঁ-গোঁ শব্দ করে উঠলেন।
কাঁসার ভারি বাটিটা মহিলার পাশেই পড়ে ছিল।
সারা বাড়ির আলো জ্বেলে দিয়েছে বিশুর ছেলে। মা আর ছেলে দাওয়ায় বসে। মা এখন অনেকটা সুস্থ, তবে দুর্বল।
থম্ মেরে আছেন।
—কি হয়েছিল? তুমি আবার বাটিটার কাছে গিয়ে বসেছিলে!
উত্তর নেই। গা ঠেলে আবার জিগ্গেস করল। এতক্ষণে যেন মহিলা শুনতে পেলেন। প্রায় অস্ফুটে বললেন—ফেলে দিয়ে আয়—নুড়ি পুকুরে আজই ফেলে দে বাটি—এ অন্য কেউ—একে আমি চিনি না। চোখে মুখে আতঙ্ক।
—সে না হয় দেব। কিন্তু কি হয়েছিল বল।
—আগে ফেলে আয়।
বাড়ির লাগোয়া পুকুর। ছেলে ছুটে গেল ঘরে। বাটিটা নিয়ে উঠোনের ধারে এসে টান মেরে ফেলে দিল পুকুরের দিকে।
রাতের অন্ধকারে আওয়াজ উঠলো ঝুপ্।
মহিলা এখন একটু স্বাভাবিক। যেন হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন। ছেলে পাশে এসে বসলো।
“সন্ধ্যেবেলায় ঘরটায় ধূপ দিতে গেছিলাম, যেমন যাই প্রতিদিন। হঠাৎ একটা শব্দ পেয়ে চমকে উঠলাম। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারিনি। দেখি বাটিটা তির্তির্ করে কাঁপছে; তুই বিশ্বাস কর। নিজের থেকেই। যেন আমায় ডাকছে। ভয় পেয়ে গেলাম খুব। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হল তাহলে কি বাবা ফিরে এসেছেন? বাবাকে না ডাকলে তো বাবা আসেন না। তবে কি, এতদিন আসেন নি বলে আজ নিজের থেকেই এলেন? এক-পা দু-পা করে এগিয়ে গেলাম। ভয় হচ্ছিল, আনন্দও হচ্ছিল। মনে মনে ভাবলাম, বাবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব। না জেনে ভুল করে ফেলেছি। আর একবার মনে হল যাব না; মনে হল গেলে অমঙ্গল হবে। কিন্তু কেমন যেন ঘোর লেগে গেল।
এগিয়ে গেলাম। মাটিতে বসে বাটিটা স্পর্শ করার সাথে সাথেই মনে হল আমার সারা শরীর থেকে সমস্ত শক্তি যেন শুষে নিচ্ছে ঐ বাটি! তারপর আমার আর জ্ঞান নেই।
0 comments: