Next
Previous
0

সম্পাদকীয়

Posted in


সম্পাদকীয়


যং কাময়ে তং তম্‌ উগ্রং কৃণোমি
তং ব্রহ্মাণং তম্‌ ঋষিং তং সুমেধাম্‌

আমি যাকে চাই, সে হয় ওজস্বী, ব্রহ্মা, মেধাবী ও ঋষি।

তিনি যাঁকে চান, আমাদের আরাধ্য তাঁরাও। তিনি মেধা। তিনি ধী। তিনি মনস্বিতা। সেই তিনি চেয়েছিলেন বিবেকানন্দকেও। ১৮৯৩ এর ১১ই সেপ্টেম্বর,নিজের মনন-মেধা অনু্যায়ী ভারতকে বাণীরূপ দিয়ে বিদেশের সামনে তুলে ধরেন স্বামীজি। দেশে ফেরার পর ১৮৯৮ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি, রাজা বিনয়কৃষ্ণ দেবের উদ্যোগে শোভাবাজার রাজবাড়িতে আয়োজিত এক জনসভায় বিবেকানন্দকে প্রথম নাগরিক সম্বর্ধনা দেওয়া হয় তাঁর নিজের শহরে। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজা বিনয়কৃষ্ণ নিজেই। শিকাগো বক্তৃতার একশ’পঁচিশ বছর পূর্তি এবং বিবেকানন্দের প্রথম নাগরিক সম্বর্ধনার স্মৃতিকে হৃদয়ে ধরে, শোভাবাজার রাজবাড়ির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আমরা তাঁর ১৫৫ তম জন্মজয়ন্তী পালন করলাম শোভাবাজার রাজবাড়ির ঠাকুরদালানে। কোনও নরদেহধারী দেবতাকে স্মরণ করিনি আমরা। স্মরণ করেছিলাম সেই মনস্বীকে যিনি নিজেকে বলতেন a voice without a form। এই মানুষটিকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এবারের ঋতবাকের নাম বিবেকানন্দ সংখ্যা।

আরও কয়েকজন ধীমানকে আমরা বরণ করেছি গত বারোই জানুয়ারি। শঙ্খ ঘোষ, জয় গোস্বামী, নৃসিংপ্রসাদ ভাদুড়ী। এবারের ঋতবাক মুদ্রণ সংখ্যায় এঁদের সবার সৃজন থাকছে। লেখা দিচ্ছেন একালের কবি শ্রীজাতও। দার্শনিক রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য ছাড়াও কল্প-প্রকল্প –অণুকল্প-কে বর্ণে-গন্ধে সাজিয়েছেন বহু গুণীজন। তাঁরা সবাই ঋতব্রতী।

মুদ্রণ সংখ্যা পাওয়া যাবে বইমেলায়। ৩৩৪ নম্বর স্টলে। সবাই আসবেন। আরও বই থাকবে। আগের বছরে মুদ্রিত বইগুলো তো থাকবেই; তাছাড়াও থাকবে এ’ বছরের নির্মাণগুলিও। এই বছর মোট সাতাশটা বই নিয়ে আসছি। মন্দ নয়। কী বলেন?

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। 

শুভ কামনা নিরন্তর।