রম্যরচনা: রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য সান্যাল
Posted in রম্যরচনা
রম্যরচনা
ঘোষ বাবু
রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য সান্যাল
পাড়ার ঘোষ বাবু একটু বেমক্কা টাইপের মানুষ । একজন ইনকাম ট্যাক্সের প্রতিষ্ঠিত উকিলও পাড়ায় থাকেন ।
গত ৩১ শে জুলাই রিটার্ন সাবমিটের জন্য এক দোকানদার ঘোষবাবুকে সঙ্গে নিয়ে উকিল বাবুর কাছে এসেছেন ।
উকিল বাবু সব কিছু করার পর, দোকানদার বললেন :- আপনার ফি কত হল?
হাজার খানেক হবে, দাঁড়ান কম্পিউটারাইজড্ বিল দিচ্ছি ।
বিল আসার পর দেখা গেল- টাকার অঙ্কটা, বারশো।
দোকানদার বললেন- একি ! আপনি মুখে বললেন হাজার, এখন বারশো ?
ওটাই আপনাকে দিতে হবে !
ঘোষ বাবু ! আপনি বলুন তো, এটা কি ঠিক ? - দোকানদারের ক্ষোভ !
ঘোষ বাবু একটু ভেবে বললেন :- দিয়ে দাও, বারশো টাকা !
কেন ?
উকিল বাবুর পদবী কি ?
পাল
তবে ? এনারা ঠাকুর গড়েন পেছনে বাঁশ দিয়ে, রিস্ক না নেওয়াই ভালো !
=========
দয়া করে এটাকে পদবী বিদ্বেষী মন্তব্য ভাববেন না । ঘটনাটার উল্লেখ করলাম, রসিক লোকের অভাব নেই বলে ।
=========
তা এই হেন ঘোষ বাবু আমায় জোর করে নিয়ে গেলেন, বারে । অবশ্য- পান করতে আমাকে জোর করতে হয় নি ।
পিনা চলছে আরামসে । একটা প্লেটে চিকেন কাবাব এলো । অবাধ্য হাতের ঠেলাতে প্লেট শুদ্দু মাংস মাটিতে ।
- অবশেষে বিল এলো । সেটায় ঐ কাবাবের বিলও আছে ।
ঘোষ বাবু জড়িয়ে বললেন – এটা আমরা খাই নি, বিল দেবো না ।
চেনা বেয়ারা কাঁচুমাচু !
বলল :- স্যার আমার দোষেতে তো আর কাবাব মাটিতে পড়ে নি !
ঘোষ বাবু বললেন :- যাও বিল পাল্টে নিয়ে এসো ! তবেই টাকা দেবো ।
-কি লেখাবো, স্যার ?
লেখাবে :- কাবাব ফলেন ! মাটি ইটিং !