0

ঋতু ম্যাডামের রান্নাঘর থেকে - মৈত্রেয়ী চক্রবর্তী

Posted in



চাইনিজ স্টাইল স্টার ফ্রাই চিংড়ি

চাইনিজ স্টাইল বললেও, এ একেবারে আমার নিজস্ব পদ্ধতি। ছোট টুকরো করা ব্রকোলি, তেরছা করেকাটা এবং ভাপানো গাজর, কিছু স্ন্যাপ পিল বা খোসা সহ কড়াইশুঁটি, বড় বড় টুকরো করে কাটা পেঁয়াজ, লম্বা করে কাটা ক্যাপসিকাম আর সামান্য একটু রসুন, সম পরিমান আদা খুব মিহি করে কুচানো।এছাড়া আর লাগবে খোসা ছাড়ানো পরিস্কার করা চিংড়ি। একটা সস বানিয়েছি তেঁতুল, সামান্য ঝালসস আর গুড় গুলে।

তেল গরম করে, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে কুচোনো রসুন আদা ভাজতে হবে। বেশ ভাজা হলে (তুলে ফেলে দিয়েছি আর বেশ খানিকটা টমেটো কুচি দিয়েছি। টমেটো গলে গেলে তারপর)প্রথমে ভাপিয়ে রাখা গাজর এবং তারপর ব্রকোলি দিয়ে অল্প সময় নাড়াচাড়া করে সসটা ঢেলে দিতে হবে। ঝোল ফুটে উঠলে স্ন্যাপ পি, ক্যাপসিকাম এবং চিংড়ি দিয়ে আবার ঝোল ফুটে ওঠার অপেক্ষা। ঝোল ফুটে উঠলে, ক্যাপসিকাম আর পেঁয়াজ দিতে হবে। গাজর ভাপানো জলটা কিন্তু ফেলে দেওয়া চলবে না। ঝোল হিসেবেওটা ব্যবহার করাই ভালো। আর একদম শেষে ওই জলে সামান্য কর্ন ফ্লাওয়ার গুলে ফুটন্ত ঝোলে দিতে হবে। এতে ঝোল গাঢ় হবে।

ব্যস, আঁচ বন্ধ করে, মিনিট পাঁচেক ঢাকা দিয়ে রেখে তারপর গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন।

খোসা সহ কড়াইশুঁটিগুলো কিন্তু খুব কচি হওয়া প্রয়োজন। একটু চ্যাপ্টা হলে আরোও ভালো হয়। সবসব্জিগুলোই কিন্তু একটু শক্ত crunchy থাকলে ভালো হয়; একদম সেদ্ধ হয়ে গলে গেলে খেতে কম মজালাগবে। সয় সস থাকলে আঁচ বন্ধ করার পর দু’টেবিল চামচ দেওয়া যেতে পারে। তবে, সেক্ষেত্রে নুন কিন্তুখুব সাবধানে দিতে হবে, কারণ, সয় সসেও নুন থাকে। ঝাল বেশী পছন্দ হলে কিছু ঝাল লঙ্কা কেটে সব্জির সঙ্গে দিতে হবে।

ক্যাপসিকামটা লাল রঙের হলে আরও ভালো হয়।




0 comments: