0

প্রচ্ছদ নিবন্ধ - অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়

Posted in



অরণ্য-গাথা

এবছর কলকাতা বই মেলায় যাই নি। না, কোন তৃতীয় হাতের গল্প নেই। যদিও গত বছর এই মেলা করা সম্ভব হয়নি মারণ ভাইরাসের চোখ রাঙানির জন্য। মনে দুঃখ পেলেও আতঙ্ক ঘেরা ছিল মাঘের সকালের কুয়াশার মত। ন’ দিনের জন্য চলে গেছিলাম জঙ্গলে। উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সে। হিমালয় যেখানে মাটির স্পর্শ পায়, চিনে নেয় তার উত্থানের তল, অনর্গল ধৌত করে শিয়রের বরফ গলা জল আর পাথর ভাঙা মাটি দিয়ে, অঞ্জলি দেয় নিরন্তর শীতল বাতাস, নত হয়ে চুমে তার ছায়া দিনের শুরু আর শেষে, চুঁয়ে পড়ে জোছনা ঢাল বেয়ে, নক্ষত্রেরা মিটিমিটি চোখে তাকায় বন্য প্রাণিদের চোখে চোখ রেখে, রাতের শেষে পাখিরা জাগিয়ে তোলে গাছের ঘুম আবার দিনের শেষে সেই গাছই আশ্রয় হয় তাদের, নিরাপত্তার বেড়াজাল বিছিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমায় তারা। গেছিলাম সেরকমই একটা অঞ্চলে। জঙ্গলে। নানা নামে ডাকে তারা। নানা প্রশ্ন শুধায় লোকে। অরণ্যই কি সেই সব প্রশ্নের উত্তর জানে? সে কি জানে কোথায় তার কি নাম, কেমন তার পরিচয়, চরিত্রই বা কেমনতর। বুদ্ধিমান মানুষ সব জানে। তৈরি করে দিয়েছে অরণ্যের সীমানা। পরিচিতি পেয়েছে তারা নামে নামে যেমন প্রতিটা মানুষের নাম পরিচয় আছে। মানুষের আবার পরিচিতির শেষ নেই, শুধু নামেই ক্ষান্ত নয়, সংখ্যা দিয়ে তার নানা পরিচয়, আইডেন্টিটি। গাছ, সে হোক স্থানিক অথবা আঞ্চলিক, আমার কাছে সকলই অরণ্যানী, সকলই শোভন। তৃণকে যখন শুধাই তোমার পরিচয় কি, কোন কাজটা কর তুমি তো সে বলবে মাটি শক্ত করে ধরে রাখা, তার বাঁধনহারা স্বভাব বেঁধে রাখাই তার কাজ। একটা ঘাস ছিঁড়তে যত শক্তি লাগে তাতে তার এই অহঙ্কার বেশ উপভোগ্য। বৃক্ষকে জিগ্যেস করলে বলে আমার কাজ খুব সোজা, রোদ্দুরে যাতে সব পুড়ে ছাই না হয় তাই আমি ছায়া দিয়ে শীতল রাখি। বনের পথে যেতে মাটিতে রোদ্দুর-ছায়ার যে আলিম্পন দেখি, যে শীতলতা অনুভব করি তা অস্বীকার করি কি করে। কিছু গাছ ফুলের বর্ণে, সৌরভে মনে পুলক জাগায়, কিছু গাছ শস্য-শ্যামল হয়ে আমাদের প্রাণধারণ করে, ক্ষুধ মেটায়। আরও অনেক গাছ আছে যারা তাদের কর্তব্য নিয়মিত করে চলেছে মানুষের অগোচরে; হয়তো মানুষের কাজে আসে না বলে মানুষ অগ্রাহ্য করে কারণ সেটাই তার স্বভাব, যেটা নিজের অপ্রয়োজনীয় মনে হয় তাকে সমূলে উৎপাটিত করা তার চরিত্র কিন্তু সেইসব গাছ এই পৃথিবীর কোটি কোটি প্রাণির কারোর না কারোর উপকার করেই চলেছে। সেই সব প্রাণী চিরতরে কৃতজ্ঞ। তাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা ভিন্ন, আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

ভরা ফাগুনে বসন্তের চিরাচরিত চরিত্র গায়ে মাথায় নিয়েই চলে গেলাম জঙ্গলে। দুপুরে মাথার ওপর চাঁদিফাটা রোদ্দুর আবার দিনমণি যেই পশ্চিম দিগন্তের সাথে তিরিশ ডিগ্রি কোণে অবস্থানে গেলেন পুরো বদলে গেল সব। সেই সূর্য যে রূপালী তরবারি ঘোরাচ্ছিল এতক্ষণ যেন জানেই না এসব কিছু, মুহূর্তে ভেল্কিবাজি বন্ধ রেখে বোবা বুদ্ধ হয়ে গচ্ছামি। পাহাড়ের মাথায় মাথায় বরফের কারখানা থেকে ঠাণ্ডা বাতাস এসে যেন মুড়ে দিল ধরাতল। অনেককেই বলতে শুনেছি জঙ্গল থেকে ফিরে এলে জিগ্যেস করতে কি দেখলাম। আমি অবাক হয়ে যাই। জঙ্গলটাই তো দেখার। সত্যি বলতে কি কোনো নির্দিষ্ট কিছু দেখার জন্যে যাই, তেমন বাসনাও ছিল না। যেমন বন্য জন্তু জানোয়ার। চেয়েছিলাম শুধু একটু নির্ভেজাল মুক্তি। দীর্ঘ, আমার কাছে সু-দীর্ঘ, একটা সময়, প্রায় দু বছর, প্রায় নির্জন নিরালায়, প্রায় সঙ্গীহীন, প্রায় ঝুরি নামা বটের মাটির নিচে গভীর শেকড়ের মত, প্রায় গজাল পোঁতা লোহার শেকলে বাঁধা হাতির পায়ের মত, প্রায় নোঙর ফেলা বাহির সমুদ্রে দাঁড়িয়ে থাকা স্থানু জাহাজের মত মনে হচ্ছিল নিজেকে। চুরি করে দু-একবার যে এক-দু দিনের জন্যে বেরোই নি তা নয়, ওই ভেন্টিলেটর থেকে যেমন মাঝেমধ্যে বের করে বাতাস থেকে অক্সিজেন নেওয়ায় হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগীকে। চুরি? কার থেকে? অনর্গল মৃত্যুর আতঙ্ক থেকে জীবন চুরি। নিঃসঙ্গ জীবন থেকে বেরিয়ে সঙ্গ চুরি। শব্দহীন কবরের কফিন বাক্স থেকে বাইরে এসে কথা বলা ও শোনা; বলা কম, শোনা বেশি। রাস্তায় গাড়ির আওয়াজ, কোলাহল ছাড়া কলরব। দেখতে দেখতে দুটো বসন্ত চলে গেল, তৃতীয় বসন্তে আবার বেরোনো গেল, কয়েকদিনের জন্যে, কয়েকসঙ্গীর সাথে। হোক না তারা অচেনা, অজানা। চেনা-জানা ব্যাপার তো নিমেষে হয়ে যায়। আর হোলও তাই।

ঠিক দু বছর আগে এমনই এক ফাগুনে দুপুরের আগুন আর রাতের হিম শীতল আবহাওয়ার মাঝে গেছিলাম উত্তর আফ্রিকার নীল নদের উপত্যকার মিশরে। ততদিনে কোভিড সারা ইয়োরোপে তার থাবা বসিয়েছে। আরও কয়েকটা দেশে তার উপস্থিতি জানান দিয়েছে। তাই জেনেই বেরনো। ভেতরে একটা আতঙ্ক চোরা স্রোতের মত কাজ তো করছিলই যার জন্যে ভ্রমণ উপভোগ্য হয়নি। মনোনদীর তলায় তীব্র আনন্দের স্রোতে হৃদিমাটি চিড়ে কোন স্রোত বয়ে যায় নি, হয়তো মাটিটা যত নরম হওয়ার তত নরম ছিল না, অর্থাৎ যতটা নরম হলে আনন্দের স্রোত তাতে আঁচড় কাটতে পারবে সহজে ততটা নয়; ভয় তাকে শক্ত করে দিয়েছিল যেমন শিশুরা ভয় পেলে মায়ের কাপড় আঁকড়ে ধরে শক্ত করে। যেমন আঘাতে মাংসপেশি শক্ত হয়ে যায়। বরং ভারত মহাসাগরের নীচ দিয়ে যে দক্ষিণমেরুবরফ গলা শীতল জলের স্রোত বয়ে যায় সেরকম একটা স্রোত টের পাচ্ছিলাম। সবই ছিল, যা যা জানা, বইয়ের পাতায় অথবা অন্য লেখায়, ছবিতে কিন্তু ছিল না বিস্ময়, জানার মাঝে অজানাকে দেখার আনন্দ। কান পেতে কিছু অচেনা শব্দ শোনার আনন্দ। ঘাসে, মাটিতে, জলে, জাহাজে, প্রত্নসম্পদে পা ফেলেছি, সাহারা ভেদ করে ছুটেছি, নীলের পথ ধরে গেছি কিন্তু কোথায় সেই চমক? মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে চেষ্টা করেছি প্রাণ ঢালার কিন্তু তার হৃদস্পন্দন শুনতে ব্যর্থ হয়েছি। একটা কৃত্রিম ভালোলাগা জোর করে পোষার চেষ্টা। সেটাকে কিছুটা অক্সিজেন দিয়েছে বৃষ্টি। তুমুল বর্ষণ। প্রায় একটানা চব্বিশ ঘণ্টা। সে রাতে ছিলাম ক্লিয়োপেট্রার আলেক্সান্দ্রিয়ায়। ভূমধ্যসাগর তীরে রাজপ্রাসাদ। তারই একটা অংশ পর্যটকদের উপহার স্বরূপ থাকার আস্তানা। অপূর্ব সেই জায়গা। ঘর লাগোয়া ব্যালকনি। ব্যালকনি ছাপিয়ে কিছু গাছ, তার অচেনা পাতা ও ফুল নিঃসৃত মনমাতানো সুগন্ধ। তার আঘ্রাণের সাথে সিঙ্গল মল্টের স্বাদ, যেন নিখিল ব্যানার্জীর সেতার আর আমজাদের সরোদের যুগলবন্দি, সঙ্গতে জাকির হোসেনের তবলা। সেই হাওয়া মাখানো বৃষ্টি চলল তার পরের দিন, সারা দিন, সারা সাহারা জুড়ে। শিহরণ জাগানো সেই সাহারার মরুভূমির চেহারা যা কচিৎ কদাচিৎ দেখা যায়।

কোথা থেকে কোথায় চলে যায় ভাবনা, তাকে আগল দিয়ে রাখা আমার সাধ্যের বাইরে। ছিলাম উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে, চলে গেলাম সাহারায়, নীল নদে ভাসতে। ফিরে আসি জঙ্গলে। মুক্তির স্বাদ সবাই পেতে চায়, মানুষ তো বটেই কিন্তু সে-ই বড় অসহায়। পায়ে পায়ে তার বেড়ি পরানো। নিজেরই তৈরি করা নিয়মের বেড়ি। বিনা বাধায় ঘুরে বেরানোয় তার হাজারো বাধা। হাজারো নিয়মের শৃঙ্খল তাকে বেঁধে রেখেছে। কোভিড এসে যিশুর মত ক্রুশের কাঠে তার পায়ে পেরেক ঠুকে দিয়েছে। তরঙ্গ মিলায়ে যায় তরঙ্গ আসে, একটার পর একটা কোভিড ঢেউ আছড়ে পড়েছে আর ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়েছে মানবসভ্যতা, স্তব্ধ হয়ে গেছে সভ্যতার অগ্রগতি। ভেঙে গেছে সঙ্ঘবদ্ধ জীবনের সমাজ। প্রতিটা বাড়ি যেন একেকটা দ্বীপ। যে বাড়িতে ভাইরাস ঢুকেছে সেখানে প্রত্যেকটা মানুষ তার দ্বীপে অন্তরীন। হারিয়ে গেছে বিশ্বাস। বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের মধ্যে দোলাচলে কাটছে জীবন। অন্তরালে চলে গেছে মিলনের অভ্যাস। এই সমস্যা অন্য কোন প্রাণির ক্ষেত্রে হয়নি। তাই বহুদিন পর মানুষ যখন গেছে জঙ্গলে গাছেরা পুলকিত, আনন্দে তাদের সেই উদবাহু নৃত্য যে না দেখেছে তার জীবন পূর্ণ হল না। মানুষ দেখে ময়ূরের সে কী পেখম তুলে নাচ। আসলে সবাই তো চায় তার সৌন্দর্য দেখাতে। গাছে গাছে আমের বোল কী অমৃত সৌরভ ছড়াচ্ছে। চায়ের পাতার রঙ যেন আরও বেশি উজ্জ্বল। হরিণী রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে পড়ে তার সঙ্গীকে ডাকছে। মানুষ যে তার নাগালের মধ্যে ভ্রূক্ষেপই নেই। দুলকি চালে চলেছে হস্তি-হস্তিনী তাদের সন্তান-সন্ততি নিয়ে। যাতে মানুষে আরও ভাল দেখতে পায় তাই পায়ে পায়ে এগিয়ে আসে রাস্তার ধারে। এবার কিন্তু মানুষের ভয় পাওয়ার পালা। সে মারে দৌড়, আর হাতিরা খ্যাঁক খ্যাঁক করে হাসে, শূঁড় তুলে আনন্দের হুঙ্কার ছাড়ে। বাইসনের দল তাদের মাজাঘষা চকচকে শরীর নিয়ে ফটোপোজ দেয়। বৈকালিক বিশ্রামে শারীরিক প্রয়োজনে লবণের স্বাদ নেয় গণ্ডার আপন মনে, পাত্তাই দেয় না মানুষকে। এগুলো তো উপরি পাওনা। দেখতে গেছিলাম গরুমারা, জলদাপাড়া আর চিলাপাতা জঙ্গল, পেরিয়ে গেলাম বক্সা সমেত আরও কয়েকটা বড় জঙ্গল। হাজার হাজার গাছ। আসলে তো জঙ্গল একটাই। ওই যে বলেছিলাম মানুষের স্বভাব নামকরণ, তাই ওদের এলাকাভিত্তিক এত নাম। তাতে কী এসে যায় গাছেদের? পাখিদের কলতানে আর ওড়াউড়িতে? পশুদের শিকারের জন্যেই হোক বা আনন্দভ্রমণে? ময়ূর-ময়ূরীর সম্মিলিত নাচে? প্রজাপতি আর অসংখ্য পোকামাকড়ের নেচে নেচে বেড়ানোয়, ফুলে ফুলে নানা স্বাদের মধুর আস্বাদ নিতে? রাতের ঘন অন্ধকারে আলো জ্বালায় থোকা থোকা জোনাকি। কত বছর পর দেখলাম। রাতের নিস্তব্ধতাকে তীক্ষ্ণ স্বরে কাটছে ময়ূরের স্বর। মাঝে মাঝে ভেসে আসে দূর থেকে কোনো পশুর আওয়াজ। এর জন্যেই তো অরণ্য। চেনার মাঝে হঠাৎ করে অচেনা কিছু যে-কোন ইন্দ্রিয়কে চমকে দিতে পারে। রাতের কৃষ্ণাকাশে তারারা যে চিত্র বানায় তা কখনও কালপুরুষ, কখনও প্রশ্নবোধক চিহ্ন নেয়। শহরের আলোকময় রাত এইসব নৈসর্গিক দৃশ্য ঢেকে রাখে। গাছের ফাঁকে ফাঁকে যে সব পোকারা বাসা বাঁধে তাদের বিচিত্র ধ্বনি কানের আরাম, শহুরে গাড়ির হর্ন আর অহেতুক বিভিন্ন যান্ত্রিক স্বরের বাহুলতা শরীর ক্লান্ত করে তোলে। পাখিদের পাখায় পাখায় রঙের বৈচিত্রে দর্শনেন্দ্রিয় উৎফুল্ল হয়, ডালে ডালে শাখায় শাখায় তাদের আদর মনে কোন এক ইচ্ছে উদ্রেক করে। সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত আমরা বলি বটে এখনও কিন্তু সে তো আর সত্যি হয় না। এই ধারনা চুকে গেছে অনেক বছর আগে যখন পৃথিবীর চেহারা গোল চাকতি থেকে বলের মতো প্রমাণ হয়েছে, যখন থেকে জানা গেছে সূর্য স্থির আর গ্রহেরা তার চারিদিকে ঘুরছে, গ্রহেরা আবার যে যার নিজের অক্ষের চারিদিকে বোঁ বোঁ করে ঘুরে যাচ্ছে। কিন্তু তবু মানুষের মন কবিত্বের ভাবে বিভোর হয়ে যেতে ভাল লাগে, সূর্যের উদয় আর অস্ত নিয়ে আজও কাব্যের শেষ নেই। আসলে এভাবেই ভাবতে ভাল লাগে। সত্যিটা বড় নীরস। সূর্যের প্রতিফলিত আলোয় পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদকে ভাবে যতটা মায়াময় লাগে বাস্তবে তার মাটিতে নামলে কি লাগে? দিনের প্রথম আলো আর সূর্যের প্রকাশ আকাশচুম্বী গাছের ফাঁকে যতটা রঙিন, মায়াময় আর বিস্ময়ের তার অন্তিম লগ্নটাও ততোধিক সুন্দর, মনে হয় রোজ নতুনভাবে তার প্রকাশ। ফাগুনের আকাশে আকাশে সেই রঙের ছটার সাথে লাল আর হলুদ শিমুলের রঙ লেগে যায় যখন তখনই তো মনেও রঙ লাগে, রাধা-কৃষ্ণের পরস্পরকে রাঙিয়ে দেবার এই মুহূর্তই তো দোলের ফাগুন অথবা ফাগুনের দোল।

ফিরে এসেছি শহরের দৈনন্দিন ব্যস্ততার বাস্তব জগতে। ফিরতেই হয়। সবাই ফেরে। ফেরা আছে বলেই যাওয়ার সার্থকতা। যখন ফিরেছি তখন বইমেলা শেষ লগ্নে। নিজের মনের সাথে এবার যুদ্ধ। যাব কি ওই লক্ষ লোকের কোটি বইয়ের মেলায় দুপুরের ঝাঁ ঝাঁ রোদ মাথায় নিয়ে? যেতেই পারতাম। কিন্তু বাধ সাধল সেই জঙ্গল। যে জঙ্গল ছেড়ে শহরে এসেছি শরীরে, সেই জঙ্গলটাকে মনে বয়ে বেড়াচ্ছি আজও। থাক না আরও কিছু দিন, এই শান্ত শীতল আরণ্যক। ফাগুনের রঙটাকে এখনই হারিয়ে ফেলতে চাই না।

0 comments: