Next
Previous
0

সম্পাদকীয়

Posted in






হেমন্তের বিষণ্ণ বিকেলে ছায়া ফেলে যায় ফিকে হয়ে আসা একটা ছোটোবেলা। মনে পড়ে, এমনই বিকেলে বসে বই পড়তাম। না পাঠ্যবই নয়। পাঠ্য বইয়ের বাইরেও যেখানে ছিল বিশাল এক বইয়ের পৃথিবী। পাড়ায় পাড়ায় পাঠাগার বলে একটা বিষয় ছিল। সেখানে খুদে পাঠককে বাবা-মা পৌঁছে দিচ্ছেন, এটি ছিল এক পরিচিত দৃশ্য। সেই ছেলেমেয়ের দল এক হয়ে শুরু করেছে আরেকটি পাঠাগার তারপর আরেকটি, এটি ছিল সেই শৈশব, কৈশোরের চালচিত্রের এক অংশ। ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যেতে লাগল বইয়ের নেশা ধরানোর সেই জায়গাগুলি। শিশু-কিশোরের দল খুঁজে পেলো তাদের পরবর্তী গন্তব্য, যেখানে অনেক কিছু থাকলেও বই নেই।

রে ব্র্যাডবেরির 'ফারেনহাইট ৪৫১' মনে পড়ে? কালোত্তীর্ণ সেই উপন্যাস অবলম্বনে ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো নির্মাণ করেছিলেন মহাকাব্যিক এক চলচ্চিত্র। এক কাল্পনিক ভবিষ্যতের রক্ত হিম হয়ে যাওয়া ছবি দেখেছিলাম আমরা। আগুন নেভানো যাদের কাজ, তারাই জ্বালিয়ে রাখছে সেই চিতা, এক নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কাগজ যেখানে পুড়ে খাক হয়ে যায়! শেষ অবধি এলো একটি ছোটো মেয়ে যে বই ভালোবাসে। ততদিন পর্যন্ত আগুনে মদত দিচ্ছিল যারা, তারাও নড়েচড়ে বসলো।

সম্প্রতি দেখলাম মহল্লায় আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন একটি বই-বিপণি। এখনও কি তাহলে আশাবাদী হওয়া যায়? প্রতীক্ষায় থাকা যায় সেই ছোটো মেয়েটির?

সুস্থ থাকুন। সৃজনে থাকুন।

শুভেচ্ছা নিরন্তর