Next
Previous
0

সম্পাদকীয়

Posted in


সম্পাদকীয়



১৪২২ বঙ্গাব্দ। বছরের শুরুতেই প্রকাশিত হল আপনাদের স্বকীয় সাহিত্য ভাবনায় সমৃদ্ধ ঋতবাক – প্রথম বর্ষ, নবম সংখ্যা। 

পরম্পরাগত ভাবেই বাঙালী এক আত্মমগ্ন সৃষ্টিশীল জাতি। পিছন ফিরে তাকালেই উজ্জ্বল নক্ষত্রের সারণি। আশেপাশেও সপ্রতিভ মুখচ্ছবি বিরল নয়। মাত্র ন’মাসে ঋতবাক ঠিক কতটা সফল, তা নির্ধারণের দায় সমালোচকের। কিন্তু দাবীর সঙ্গে একথা অবশ্যই বলা যায়, বাংলা ওয়েব ম্যাগাজিন জগতে ঋতবাক এখন আর একেবারে অচেনা একটা নাম নয়। তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন লেখকদের পত্রিকায় লেখা পাঠানোর আগ্রহ এবং প্রথিতযশা সাহিত্যিকদের লেখা পাঠানোয় উৎসাহের অভাব নেই দেখেই।

এই ক’দিনে ঋতবাক-এর একটি নির্দিষ্ট এবং নিজস্ব চরিত্র তৈরী হয়েছে বললে অত্যুক্তি হবে না। যার প্রতিফলন অবশ্যম্ভাবী ভাবেই পাওয়া যায় ঋতবাক ওয়েব ম্যাগাজিন-এর ফেসবুক মুখপাত্র ঋতবাক গ্রুপের দেওয়ালেও। কত সুন্দর সুন্দর কবিতা, গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণকাহিনী প্রতিদিন পোস্ট হচ্ছে – দেখতে দেখতে মন ভরে যায়, পড়তে পড়তে একটা আত্মতৃপ্তি বোধ জাগে। প্রতিদিনই একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ পত্রিকা যেন প্রকাশিত হয় সেখানে। 

প্রসঙ্গত একটি কথা উল্লেখ না করলেই নয়। ঋতবাক-এর দেওয়ালে যে লেখা পোষ্ট হবে, তা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা তর্ক বিতর্ক তুমুল চলুক। কিন্তু আপত্তি তখনই, যখন তা শালীনতার সীমা লঙ্ঘণ করে ব্যক্তিগত আক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছে যায়। অবশ্যই মনে রাখতে হবে, গ্রুপের দেওয়াল কারোর ব্যক্তিগত দেওয়াল নয় সেখানে ব্যক্তিগত রোষ বা ক্রোধবশতঃ বিশেষ কাউকে খোলা দেওয়ালে আক্রমণ করা অমার্জনীয় অপরাধ বলেই গণ্য হয়। ঋতবাক-এর মত একটি রুচিশীল সদস্য সমৃদ্ধ গ্রুপের দেওয়ালে এমনকি দৃশ্যতও তা নিতান্তই যুগপৎ বিসদৃশ এবং অনভিপ্রেত। 

ভবিষ্যতে ঋতবাক নিয়ে অনেক পরিকল্পনা। প্রায় প্রতিদিনই সাহিত্যপ্রেমী বন্ধুদের অনুরোধ – ঋতবাক মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হোক। হবে। নিশ্চিত। কিন্তু তার আগে নিজেদেরও বোধ হয় একটু প্রস্তুত করে নেওয়া প্রয়োজন। আগেও বলেছি, ঋতবাক মূলত গদ্যধর্মী একটি মাসিক পত্র। কবিতার জন্য তো ‘এবং একুশ’ আছেই – শুধুমাত্র কবিতারই জন্য। একটি মূলত গদ্যধর্মী মাসিক পত্রের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য লেখার গুণগত মান এবং বিষয় নির্বাচনে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রাথমিক শর্ত। একটি মাসিক পত্র যতক্ষণ না তার বিষয় ভাবনায় এবং গুণগত মানে রীতিমতো সমৃদ্ধ এবং পরিণত হয়ে উঠছে, ততক্ষণ তার মুদ্রিত সংস্করণের কল্পনাও বাতুলতা। 

এই মাস থেকে শুরু হল – প্রাচীন কথা। একটি নতুন বিভাগ। লিখছেন অমৃত অধিকারী। এখনো পর্যন্ত তিনি একাই। এই বিভাগে আরো উৎসাহী লেখক চাই। বিভাগটিতে মূলত প্রাচীন কালকে ছুঁয়ে থাকার ইচ্ছে। 

ঋতবাক প্রথম বর্ষ, নবম সংখ্যায় আরো থাকছে প্রচ্ছদ নিবন্ধ, শতবর্ষের আলোয় কাননদেবীকে নিয়ে লেখা বিশেষ প্রবন্ধ, তিনটি মনোজ্ঞ প্রবন্ধ, বিশেষ প্রতিবেদন, বিশেষ রচনা, তিনটি ভিন্ন স্বাদের ধারাবাহিক, দুটি মুক্তগদ্য, একটি ব্যক্তিগত গদ্য, তিনটি অণুগল্প, চারটি ছোটগল্প, দশটি কবিতা, পথে প্রান্তরে এবং অনুবাদ সাহিত্য বিভাগে একটি গল্প ও একটি কবিতা। 

আপনাদের নিরন্তর সাহচর্য ও স্বকীয় সাহিত্য ভাবনায় ঋদ্ধ হয়ে ভবিষ্যতে ঋতবাক-এর অশেষ সমৃদ্ধি একান্ত কাম্য।

শুভেচ্ছান্তে

সুস্মিতা বসু সিং