গল্প - মনোজ কর
Posted in গল্পপঞ্চম পর্ব
সিরাজ বনাম ইংরাজ- ক্লাইভের আগমন।
কলকাতা জয়ের পর সিরাজের লক্ষ্য হল অন্য ইউরোপিয়ান কোম্পানিগুলো। কলকাতার নতুন নাম হল আলিনগর। আলিনগরের দায়িত্ব মানিকচাঁদের ওপর দিয়ে মুর্শিদাবাদ রওনা দিল সিরাজ। প্রায় ৯০০০ পদাতিক এবং ৫০০০ অশ্বারোহী সৈনিক থেকে গেল কলকাতায়। মানিকচাঁদ নির্বোধ এবং ভীরু স্বভাবের ছিল। চটজলদি সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা তার ছিল না। মানিকচাঁদ ছিল বর্ধমানের রাজার দেওয়ান। দুর্বল প্রজাদের কাছ থেকে জোর করে খাজনা আদায় করা ছিল তার কাজ। মারাঠারা যখন বর্ধমানে হামলা চালিয়েছিল তখন আলিবর্দিকে ছেড়ে বর্ধমান থেকে পালিয়েছিল এই মানিকচাঁদ। তা সত্ত্বেও মিরজাফর বা অন্য সেনাধ্যক্ষকে বিশ্বাস করে কলকাতার দায়িত্ব দিতে পারলো না সিরাজ। মুর্শিদাবাদে ফিরে এসে চন্দননগরে ফরাসিদের আর চুচুঁড়ায় ডাচেদের ওপর টাকার জন্য চাপ দিতে শুরু করল সিরাজ। কলকাতা জয়ের জন্য রাজকোষ থেকে যে বিপুল অর্থব্যয় হয়েছে তা আবার দ্রুত রাজকোষে ফিরিয়ে আনার আর কীইবা উপায় আছে! যথারীতি ভয় দেখানো শুরু হয়ে গেল যে টাকা না দিলে ফোর্ট মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হবে। মুর্শিদাবাদে ফিরে আসার আগেই কলকাতা থেকে তৎকালীন ডাচ প্রধান অ্যাড্রিয়ান বিসডমকে পরোয়ানা পাঠাল সিরাজ।
ইংরাজদের বিরুদ্ধে আমার কলকাতা অভিযানকে সমর্থন এবং সহযোগিতা করার একাধিক অনুরোধ সত্ত্বেও তোমরা আমার কথায় কর্ণপাত করনি। আল্লার পরম করুণায় এবং ইচ্ছায় আমি ইংরাজদের পরাজিত করতে পেরেছি এবং আমি ইচ্ছা করলে ইংরাজদের মত আরও দশ জাতিকে নিঃশেষ করে দিতে পারি। তোমরা যদি আমার রাজত্বে ব্যবসা চালাতে চাও তবে আমার কথামত চলতে হবে। আমি ফকর-উল-তুজ্জর এবং আর্মেনিয়ান ব্যবসায়ী খাওয়াজা ওয়াজিদের হাত দিয়ে আমার আদেশনামা পাঠিয়ে দেব। মনে রেখো, এর অন্যথা হলে আমার রাজত্বে তোমাদের ব্যবসা চিরকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।
আসলে এইসব হুমকি টাকা আদায় করার অছিলা ছাড়া আর কিছু নয়। সিরাজ চাপ দিয়ে ফরাসিদের কাছ থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা এবং ডাচেদের কাছ থেকে সাড়ে চারলক্ষ টাকা আদায় করে নিল। বলা বাহুল্য এর ফলে ইউরোপিয়ান ব্যবসায়ীরা সিরাজের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠল এবং যে ভাবেই হোক সিরাজকে সরানোর পরিকল্পনা শুরু করে দিল। লক্ষ্য করার বিষয় এই যে যে ফোর্ট ভেঙে দেওয়ার জন্য এবং পরিখা বোজানোর জন্য সিরাজ কলকাতা আক্রমণ করেছিল সেগুলো কিন্তু যেমন ছিল তেমনই রয়ে গেল। এ কথা মনে করা অতিরঞ্জিত হবে না যে যদি ইংরাজরা সিরাজের সঙ্গে মাথা নিচু করে আলোচনার টেবিলে বসত তাহলে টাকার বিনিময়ে একটা সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসতে পারত। আলিবর্দি এবং সিরাজ দু’জনেই চাইত যে ব্যবসায়ীরা নবাবের প্রতি সর্বদা অনুগত থাকবে এবং আদেশমাত্রই রাজকোষে অর্থ পাঠাবে। তাদের দু’জনেরই বিশ্বাস ছিল যে ইউরোপিয়ান ব্যবসায়ীরা তাদের রাজত্বে ব্যবসা করে যে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে তার সিংহভাগ নবাবের প্রাপ্য। হয়ত কিছু অর্থের বিনিময়ে কাশিমবাজার ফ্যাক্টরি বা পরবর্তীকালে সিরাজের কলকাতা আক্রমণ বন্ধ করা যেত।
পরে জানা গেল কাশিমবাজার ফ্যাক্টরির প্রধান ওয়াটস যখন কারারুদ্ধ ছিল তখন নবাবের প্রতিনিধি রায়দুর্লভ ওয়াটসকে বলেছিল এক কোটি টাকার বিনিময়ে ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলতে রাজি আছে সিরাজ।ওয়াটস রাজি না হওয়ায় দরদাম চলতে থাকে। এক কোটি টাকার দাবি যখন কমতে কমতে কুড়িলক্ষ টাকায় পৌঁছলো ওয়াটস তখনও রাজি হলনা। অর্থলোভী সিরাজ জানতে চেয়ে পাঠালো যে ওয়াটস কত দিতে পারবে? ওয়াটস জানাল হেডকোয়ার্টারে কথা না বলে তার পক্ষে কিছু জানানো সম্ভব নয়। রায়দুর্লভ তাতে প্রথমে রাজি না হলেও পরে ওয়াটসকে চিঠি পাঠানোর অনুমতি দেয় সম্ভবত সিরাজের নির্দেশে। এর উত্তরে রজার ড্রেক জানিয়ে দেয় যে আগে তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে সিরাজের বাহিনী ফ্যাক্টরি এবং কর্মচারীদের প্রতি যে অন্যায় আচরণ করেছে তার পর সিরাজের সঙ্গে আর কোনও আলোচনা সম্ভব নয়। আলোচনা অনেক আগে হওয়া উচিত ছিল। রজার ড্রেকের এই বশ্যতাহীনতাই যুদ্ধের আসল কারণ বলে মনে হয়। সিরাজের বুঝতে বিলম্ব হয়নি যে এখন চুপ করে থাকলে ইংরাজরা আরও পেয়ে বসবে এবং পরবর্তীকালে তাদের থেকে টাকা আদায় করা এক সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। তাছাড়া রজার ড্রেকের এই ঔদ্ধত্বকে কোনও মতেই প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। অবিলম্বে এর যথাবিহিত জবাব দেওয়া প্রয়োজন।
ফরাসি এবং ডাচেরা কিন্তু এই ভুল করে নিজেদের বিপদ ডেকে আনেনি। ফরাসি এবং ডাচেদের কাছেও কুড়িলক্ষ টাকা করে দাবি করা হয়েছিল। ইউরোপিয়ানরা তাতে রাজি না হয়ে বলে যে তারা নবাবকে কিছু উপহারসামগ্রী পাঠাতে পারে, টাকা নয়। সিরাজ প্রথমে ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ভাগ্যক্রমে পরে বুঝতে পারে যে আবার যুদ্ধ করে হয়ত ইউরোপিয়ানদের ক্ষতি করা যেতে পারে বা ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে কিন্তু তাতে তার কোনও লাভ হবে না। উপরন্তু যেটুকু লাভের সম্ভাবনা ছিল তাও যাবে। অবশেষে অনেক দরদাম করে ডাচদের সঙ্গে সাড়ে চার এবং ফরাসিদের সঙ্গে সাড়ে তিনলক্ষে রফা হয়। ইংরাজদের হারিয়ে সিরাজের ঔদ্ধত্য আরও বেড়ে ওঠে। অপরিণতমস্তিষ্ক , আবেগপ্রবণ এবং লোভী হওয়ার জন্য ব্যবসায়ী এবং ধনী পরিবারগুলির প্রতি তার আক্রমণাত্মক এবং অশালীন ব্যবহার মাত্রাছাড়া হয়ে ওঠে।
এদিকে দিল্লীতে মোগলরাজ দ্বিতীয় আলমগীর তখন মসনদে। দেশ চালানো দূরের কথা যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ব্যাপারে তার উজির ফিরোজ জং এর ওপর সে শতকরা একশভাগ নির্ভরশীল। সেই সুযোগে ফিরোজ জং সিরাজ এবং শওকত জং দু’জনকেই ক্ষমতা পাইয়ে দেবার নাম করে প্রভূত অর্থ উপার্জন করে যাচ্ছিল। ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলের স্থানীয় রাজা বা নবাবেরা সরকারি কোষাগারে অর্থ জমা না দিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছিল। সারা ভারতবর্ষ আস্তে আস্তে মোগলদের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল সেই সময়। আর ঠিক তখনই ব্রিটিশরাও ভারতবর্ষে নিজেদের শক্তিবৃদ্ধি করার জন্য উঠে পড়ে লেগে গেল। ইউরোপের রাজনৈতিক বাতাবরণে তখন যুদ্ধের সম্ভাবনা বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে ফরাসি আক্রমণের সম্ভাবনা আন্দাজ করে ব্রিটিশ সরকার রিয়ার অ্যাডমিরাল চার্লস ওয়াটসনকে লন্ডন থেকে মুম্বাই পাঠিয়ে দিল। তার কিছুদিনের মধ্যেই ওয়াটসন ব্রিটিশ নৌ-সেনা, পদাতিক সেনা এবং বালাজি বাজিরাও-এর মারাঠা সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে মারাঠা বিদ্রোহী কনৌজি আংরের ছেলে তুলাজি আংরেকে যুদ্ধে হারিয়ে বিদ্রোহী ঘাঁটি বিজয়দূর্গ করায়ত্ত করে নেয়।বিজয়দূর্গ জয় করার কিছুদিন আগে রবার্ট ক্লাইভ আবার ভারতবর্ষে ফিরে আসে। পদোন্নতি হয়ে এখন সে লেফটেনান্ট কর্নেল । বিজয়দূর্গ দখলের যুদ্ধে ওয়াটসনের সঙ্গে ক্লাইভও যোগ দিয়েছিল।
এদিকে তলে তলে সিরাজকে সরানোর চক্রান্ত গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকল। চক্রান্তে যুক্ত হল ব্রিটিশরা। শওকত জং কে সামনে রেখে সিরাজকে গদিচ্যুত করার পরিকল্পনা মাথা চাড়া দিয়ে উঠল। সকলের কাছ থেকে সমর্থনের আশ্বাস পেয়ে শওকত মুর্শিদাবাদ আক্রমণের প্রস্তুতি শুরু করে দিল। উজির ফিরোজ জং-এর আশীর্বাদে বছরে এক কোটি টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দ্বিতীয় আলমগিরের কাছ থেকে শওকত বাংলা, বিহার এবং উড়িষ্যার নবাব হবার ফরমান লিখিয়ে নিল। শওকত জানিয়ে দিল যে তাকে যেন ‘আলমপনা’ বলে সম্বোধন করা হয় । অন্য কোনও নামে সম্বোধন করা চিঠি যেন ছিঁড়ে ফেলা হয়। শওকতের দুর্ব্যবহারে সেনাবাহিনীর প্রধানেরাও তার প্রতি বীতশ্রদ্ধ। ব্রিটিশরাও জানে যে শওকত রাজা হবার যোগ্য নয় তবুও শওকত ছাড়া আর কাউকে দাবার বোড়ে বানানো ভুল হবে। রাজায় রাজায় যুদ্ধ লাগাতে পারলে আখেরে লাভ তাদেরই হবে। ব্রিটিশরাও ভাবল সিরাজকে যদি এই যুদ্ধে ব্যস্ত করে দেওয়া যায় তাহলে সেই সুযোগে কলকাতা পুনরুদ্ধার করা তাদের পক্ষে সুবিধেজনক হবে। শওকতের মুর্শিদাবাদ আক্রমণের আভাস পাওয়ামাত্রই সিরাজ কলকাতা থেকে ১০০০ সৈন্য সরিয়ে নায়ে আসার হুকুম জাহির করল। এবার সিরাজ আগেভাগে পুর্নিয়া আক্রমণ না করে রাই রাসবিহারিকে পাঠাল শওকতের কাছে।চিঠিতে লিখল যে রাসবিহারিকে যেন পুর্নিয়ার দায়িত্ব হস্তান্তর করা
হয়। তার উত্তরে শওকত জানাল যে সিরাজ যেন মসনদ তাকে হস্তান্তর করে এবং ঢাকায় গিয়ে গভর্নরের দায়িত্ব বুঝে নেয় অথবা পদত্যাগ করে। ক্ষুব্ধ সিরাজ মোহনলাল এবং পাটনার ডেপুটি গভর্নর রামনারায়ন কে যুদ্ধের দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়ে দিল। খবর পেয়ে মাদ্রাজ থেকে ওয়াটসন এবং ক্লাইভ সৈন্যসামন্ত সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়ল এই সুযোগে কলকাতা দখল করবে বলে। মনিহারির উত্তরে যে জায়গাকে এখন কাটিহার বলে সেইখানে গঙ্গার তীরে যুদ্ধ শুরু হল। শওকতের সাহস বুদ্ধি এবং ক্ষমতার থেকে চিরকালই বেশি। কোনও সেনাধ্যক্ষ নয় সে নিজেই সামনে থেকে হাতির পিঠে চেপে এই যুদ্ধের নেতৃত্ব দেবে বলে ঠিক করল। যুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই শত্রুপক্ষের কামানের এক গোলা একেবারে সামনের সারিতে হাতির পিঠে বসে থাকা শওকতের কপালে সজোরে আঘাত করল। মৃত্যু হল শওকতের।শওকতের যুদ্ধে জিতে রাজা হবার বহুদিনকার স্বপ্ন সার্থক হলনা। সিরাজকে গদিচ্যুত করার সমস্ত পরিকল্পনা পড়ে গেল এক অনিশ্চয়তার সামনে। সিরাজের শত্রু এবং চক্রান্তকারীরা পিছু হটতে বাধ্য হল।
ওদিকে কলকাতা পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসা সম্ভব নয়। ব্রিটিশ রণতরী মাদ্রাজ থেকে কলকাতা এসে পৌঁছনো শুধু মাত্র কয়েকদিনের ব্যাপার। ক্লাইভ তার বাবাকে চিঠি লিখে জানাল যে তার কলকাতা অভিযানের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। তার পক্ষে সবকিছুর বর্ণনা দিয়ে দীর্ঘ চিঠি লেখা সম্ভব নয়। ক্লাইভ আরও জানাল যে ইংল্যান্ডে তার গচ্ছিত টাকার সুদ তার বাবার হাতে মাসে মাসে পৌঁছে যাবার সমস্ত ব্যবস্থা পাকা হয়ে গেছে। আর যদি ঈশ্বরের আশীর্বাদে তার এই অভিযান সফল হয় তাহলে তার জীবনে এক বিশাল পরিবর্তন আসবে। সমস্ত শক্তি এবং ক্ষমতা একত্রিত করে সে তার জীবনের সবচেয়ে বড় অভিযানে সাফল্য লাভের জন্য প্রস্তুত। বাবা, মা এবং ভাইবোনেদের প্রতি তার কর্তব্যপালনে সে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই চিঠি লেখার এক সপ্তাহের মধ্যেই আর এক চিঠিতে সে তার বাবাকে জানাল যে সেন্ট জর্জ ফোর্ট থেকে মাদ্রাজের গভর্নর জর্জ পিগট, ক্লাইভের অস্ত্রগুরু স্ট্রিঞ্জার লরেন্স এবং তার বন্ধু ও সহযোদ্ধা রবার্ট ওরমে, হেনরি পাওনে ,উইলিয়াম পার্সেভাল এবং রবার্ট পাল্কের স্বাক্ষরসম্বলিত আদেশনামা তার হাতে এসে পৌঁছেছে।ব্রিটিশ নৌবাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল চার্লস ওয়াটসন বোম্বাই থেকে এসে যুদ্ধজাহাজের দায়িত্ব নিতে। দুটি জাহাজভর্তি সৈন্য এবং সেনা-আধিকারিক নিয়ে জাহাজ চলল কলকাতার উদ্দেশ্য। যে কোনও ভাবেই সিরাজের হাত থেকে উদ্ধার করতে হবে কলকাতা। ৫২৮ জন অফিসার, ৯২০জন সিপাই এবং ১৬০জন লস্কর নিয়ে শুরু হল অভিযান। স্থলবাহিনীর স্বাধীন দায়িত্বে ক্লাইভ। ক্লাইভের বয়স তখন একত্রিশ। উচ্চতম কতৃপক্ষের আদেশানুসারে প্রয়োজনে গোপন যুদ্ধ পরিচালন কমিটির নির্দেশ উপেক্ষা করার অধিকার দেওয়া হল ক্লাইভকে। যে ভাবেই হোক কলকাতা পুনর্দখল করতেই হবে। যুদ্ধ শুরু শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। একদিকে বাংলা, বিহার ,উড়িষ্যার নবাব সিরাজদ্দৌল্লা আর অন্যদিকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর নবনিযুক্ত লেফটেনান্ট কর্নেল রবার্ট ক্লাইভ। এখান থেকেই শুরু হল সিরাজ আর ক্লাইভের যুদ্ধ ,আট মাস পরে যে যুদ্ধের শেষ হবে পলাশির প্রান্তরে।