প্রবন্ধ - অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়





















শতবর্ষে স্মরণ


হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে “রাজপুত্তুর” নামে সুপরিচিত ছিলেন প্রদীপ কুমার। সৌন্দর্য তো ছিলই কিন্তু এই তকমাটি জুটেছিল ‘আনারকলি’ ছবিতে রাজপুত্র সলিম বা জাহাঙ্গীরের ভূমিকায় অভিনয় করে। সেটা ছিল ১৯৫৩ সালে তৈরি ভারতীয় ঐতিহাসিক নাট্য চলচ্চিত্র। পরিচালক ছিলেন নন্দলাল যশবন্তলাল। নাসির হুসেন ও হামিদ বাট যৌথভাবে চিত্রনাট্য রচনা করেছিলেন মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের ঐতিহাসিক কিংবদন্তীর উপর ভিত্তি করে। কিংবদন্তি অনুসারে, আনারকলি নামে এক সাধারণ রাজনর্তকী মেয়ে আনারকলির প্রতি জাহাঙ্গীরের ভালবাসা পিতা আকবর মেনে নিতে না পারায় জাহাঙ্গীর আকবরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন। আনারকলির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন বীণা রাই। সি, রামচন্দ্র ও বসন্ত প্রকাশের সঙ্গীত এই ছায়াছবিটির সাফল্যের অন্যতম কাণ্ডারি। সেই সাথে লতা মঙ্গেশকরের গান “ইয়ে জিন্দেগি উসি কী হ্যায়” আরও স্মরণীয় করে তুলেছিল। মনে পড়ে উজবেকিস্তানে খিভায় এক রাতে খাটিয়ায় বসা এক বৃদ্ধ হোটেল মালিকের মোবাইলে বাজছিল এই ছবির লতার কন্ঠে বীণা রাইয়ের মুখে গান “দুয়া কর গম-এ-দিল”। প্রচণ্ড বাণিজ্যিক সাফল্য পায় এই ছবিটি এবং সেই বছর সর্বোচ্চ আয় করে (২৩৫ লক্ষ টাকা)। একই বিষয় নিয়ে পরে ১৯৬০ সালে তৈরি হয় ‘মুঘল-ই-আজম’ যদিও গল্প বলা হয়েছে আকবরের দৃষ্টিকোণ থেকে। দিলীপ কুমার অভিনীত এই ছবি আরও বড় বাণিজ্যিক সাফল্যের মুখ দেখে।

অন্য অনেক চলচ্চিত্র অভিনেতার মত প্রদীপ কুমারও তাঁর জন্ম নাম নয়। ১৯২৫ সালের ৪ জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন শীতল বটব্যাল। স্কটিশ চার্চ কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শীতল ছিলেন অত্যন্ত পরিশীলিত, ভদ্র। প্রথম থেকেই গল্প বলা এবং অভিনয়ের প্রতি তাঁর ঝোঁক দেখা যায়। এরই প্রতিফলন মাত্র সতেরো বছর বয়সে তাঁর অভিনয় জগতে আসার মতো সাহসী সিদ্ধান্তে। গত শতকের তিরিশ ও চল্লিশের দশকে কলকাতার সাহিত্য মঞ্চনাট্য এবং নবীন বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের আবহে বেষ্টিত বাংলা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেছিলেন শীতল। এই তরুণের মধ্যে এমন এক সহজাত আকর্ষণ ও সম্ভ্রমবোধ ছিল যা চিত্র পরিচালকদের নজর কাড়ে। শীতল বটব্যাল হয়ে ওঠেন প্রদীপ কুমার। এ বছর তিনি শতবর্ষ পূর্ণ করলেন।

কিন্তু এই শীতল থেকে প্রদীপ কুমার হয়ে ওঠা শুধু নামের পরিবর্তন করে নয়, আবার পথও ছিল না সহজ। তার জন্য ছিল একাগ্রতা, অদম্য জেদ এবং কঠোর পরিশ্রম। তবে তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রে এমন একজন অভিনেতা হয়ে উঠলেন যার মধ্যে ছিল রাজকীয় গাম্ভীর্য, মর্যাদা বোধ এবং রোমান্টিক নায়কের উপযুক্ত মশলা। সে সময় মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারে অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া অত সহজ ছিল না। কিন্তু তিনি শিক্ষা ও সংস্কৃতির নিবিড় সান্নিধ্যে এই পেশাতেই নিমগ্ন হলেন। তাঁর মধ্যে ছিল যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস, দৃঢ় সংকল্প এবং সহজাত প্রতিভা।

বাংলা ছবিতে অভিনয়ের মধ্যে দিয়েই তাঁর আত্মপ্রকাশ। দেবকী বসু পরিচালিত বাংলা ছবি ‘অলকানন্দা’য় অভিনয়ের মধ্যে দিয়েই তাঁর চলচ্চিত্র জগতে যাত্রা শুরু। ছবিটি প্রকাশ পায় ভারতের স্বাধীনতার বছরে, অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে। তরুণ এই অভিনেতাকে চিনতে ভুল করেন নি স্বনামধন্য পরিচালক দেবকী বসুর জহুরি চোখ। গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্র দিয়ে অভিনেতার সম্ভাবনাকে শুধু স্বীকৃতিই দিলেন না, আগামী দিনের পথ প্রদর্শক হয়ে রইলেন। রূপোলি পর্দায় সম্ভাবনাময় অভিনেতা হিসেবে প্রদীপ কুমাররের নাম সুপ্রতিষ্ঠিত করে ‘৪২’ ছবিতে তাঁর দৃপ্ত অভিনয়। সেটা ১৯৫১ সাল। প্রথম দিকের এই অভিনয়ের কাজগুলো তাঁর অভিনয় জীবনকে গড়ে তোলার জন্য প্রভূত সহায়তা করেছে। তার সঙ্গে অভিনয় শৈলী পরিমার্জনেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। এই প্রাথমিক ভিতের উপর দাঁড়িয়ে তিনি পরবর্তিকালে হিন্দি ছবির নায়ক হিসেবে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছতে সক্ষম হন।

এরই মধ্যে তিনি বোম্বের (এখনকার মুম্বাই) ফিল্মিস্তান স্টুডিয়ো থেকে ডাক পান এবং ‘আনন্দমঠ’ (১৯৫২) ছবির জীবনানন্দের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের জন্য নির্বাচিত হন। প্রদীপ কুমারের কর্মজীবনের গতিপথ বাঁক নেয় ক্রমোন্নতির দিকে। পরের বছর ‘আনারকলি’ প্রকাশের পর তিনি প্রথম জনপ্রিয়তার স্বাদ পেলেন। প্রেম এবং বিচ্ছেদ ও বিষন্নতার সংমিশ্রণে চমৎকার অভিনয়ে দর্শকের মন জয় করেন। সেই দশকের সবচেয়ে সফল প্রযোজনা। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এর পরের বছরেই ‘নাগিন’ (১৯৫৩) ছবিটি প্রকাশের সাথে সাথেই রাজপুত্তুর প্রদীপ কুমার পুরোদস্তুর রোমান্টিক অভিনয় করে সাড়া ফেল দেন। অভিনেত্রী নায়িকা বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গে জুটি, অভিনয় আর সেই সাথে হেমন্তকুমারের পরিচালনায় ভুবনভোলানো সঙ্গীত দিয়ে আপামর ভারতীয়র মন জয় করা গান এই ছবিকে সাফল্যের মুখ দেখায় আর সেই সাথে রোমান্টিক প্রদীপ কুমারের জয়যাত্রা শুরু হল।

পঞ্চাশের দশক প্রদীপ কুমারের সিনেমা জগতে কর্মজীবনে স্বর্ণযুগ বলা যায়। সমসাময়িক নায়িকাদের সাথে জুটি বেঁধে একের পর এক হিট ছবি উপহার দেন। মধুবালার সঙ্গে আটটি ছবিতে কাজ করেছিলেন তিনি। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘রাজ হাত’ (১৯৫৬), ‘শিরিন ফারহাদ’ (১৯৫৬), ‘গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া’ (১৯৫৭), ‘ইহুদি কি লড়কি’ (১৯৫৭), এবং ‘পাসপোর্ট’ (১৯৬১)। এগুলো সবই ছিল ব্লক ব্লাস্টার। ষাটের দশকে সাতটি অসামান্য ছবিতে তাঁর সঙ্গী ছিলেন মীনা কুমারি। এর মধ্যে ছিল ‘আদিল-ই-জাহাঙ্গীর’, ‘বন্ধন’, ‘চিত্রলেখা’, ‘বহু বেগম’ (১৯৬৭), ‘ভেগি রাত’, ‘নূরজাহান’। ‘ঘুঙ্ঘট’ (১৯৬০), ‘তাজমহল’ (১৯৬৩) এবং ‘আরতি’ (১৯৬২) শুধু উল্লেখযোগ্য নয় আবেগময়ও। নাটকীয় চরিত্রে অভিনয়ের ক্ষেত্রে প্রদীপ কুমারের দক্ষতা ছিল অতুলনীয়। মালা সিংহার সঙ্গে শেক্সপিয়রের হ্যামলেট নাটকের ছায়া অবলম্বনে নির্মিত ছবি ‘হ্যামলেট’ ছাড়াও আরও সাতটি ছবিতে অভিনয় করেছেন যেমন ‘বাদশা’, ‘ডিটেকটিভ’ (১৯৫৮), ‘ফ্যাশন’ (১৯৫৯), ‘এক শোলা’, ‘দুনিয়া না মানে’ এবং ‘মাটি মে সোনা’। তবে ষাটের দশকে বক্স অফিস সাফল্য তেমন আসেনি। ষাটের দশকের সায়রা বানু, সাধনা, ববিতা বা শর্মিলা ঠাকুরের সাথে কাজ করার সুযোগ না পেলেও আশা পারেখের সাথে ‘ঘুনঘাট’ এবং ‘মেরি সুরত তেরি আঁখে’, এবং ওয়াহিদা রহমনের সাথে ‘রাখি’ (১৯৬২) ছবিতে কাজ করেছিলেন। ১৯৬৯ সালে তিনি ‘সম্বন্ধ’ এবং ‘মেহবুব কি মেহেন্দি’ ছবিতে নায়ক না হলেও বিশেষ চরিত্রের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। সেই থেকে চরিত্রাভিনেতার ভূমিকায় সরে যেতে থাকেন এবং সেই হিসেবেও কৃতিত্বের ছাপ রাখেন।

প্রথম দিকের বাংলা ছবিতে উল্লেখযোগ্য অভিনয়ের ছাপ রেখেছেন নরেনের ভূমিকায় ‘স্বামী’, নিমাইয়ের চরিত্রে ‘বিষ্ণুপ্রিয়া’ ও ‘দশ্যু মোহন’ ছবিতে মোহনের ভূমিকায়। এগুলো সবই পঞ্চাশের দশকে। এছাড়াও ‘জেগে থাক’ (১৯৫৬), ‘দুর্গেশ নন্দিনী’, ‘ভারতের প্রবেশদ্বার’, ‘আমার মুখ তোমার চোখ’, ‘জীবন এবং মৃত্যু’ ছবির নামও উল্লেখ করা যায়। ১৯৬৭ সালে বাংলার মহানায়ক উত্তমকুমারের প্রযোজনায় এবং ওনার সহ অভিনেতা হিসেবে ‘গৃহদাহ’ ছবিতে প্রদীপ কুমারের অভিনয় প্রশংসার দাবি রাখে। এর ব্যতিরেকে অনেক ছবিতে চরিত্র অভিনয় করেছেন। ১৯৮৩ সালের ‘জানোয়ার’ ও ‘রাজিয়া সুলতান’ ছবিতে প্রশংসাসূচক অভিনয় করেন। একই বছর আটটি অস্কারপ্রাপ্ত হলিউড চিত্র পরিচালক রিচার্ড অ্যাটেনবরোর জীবনীমূলক ‘গান্ধী’ ছবিতে ভি কে কৃষন মেননের চরিত্রে প্রদীপ কুমারের অভিনয় হলিউডের তাঁর অভিষেক ঘটানোর পাশাপাশি অভিনেতাকে এনে দিয়েছিল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বাংলা ও হিন্দি ছাড়াও গুজরাটি ও পাঞ্জাবী ছবিতেও তিনি অভিনয় করেছেন।

রূপোলি পর্দায় অভিনীত তাঁর চরিত্রগুলোর মতোই তাঁর জীবনও ছিল জটিল ও নাটকীয়। জীবনের চিত্রনাট্যে সাফল্যর সাথে সাথে একাকীত্ব ও বিষন্নতাও যোগ হয়েছিল। এরকমই ছিল সমসাময়িক যুগের ছন্দ। দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারীর কাছে প্রতাপাদিত্য রোডে ছিল তাঁর বাড়ি। ছোটবেলায় কে যেন দেখিয়েছিল। কিন্তু তাঁকে কখনও দেখিনি। সে সময় তাঁর অভিনীত ছবিও দেখার সুযোগ হয় নি তবে পরে অনেক ছবিই দেখেছি। মিষ্টভাষী বলে পাড়ায় সুনাম ছিল। প্রদীপ কুমারের চার সন্তান, তার মধ্যে তিন কন্যা রিনা, মিনা ও বীণা এবং একমাত্র পুত্রের নাম দেবীপ্রসাদ। তাঁর সন্তানদের মধ্যে একমাত্র বীণাই, বিবাহসূত্রে বীণা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনয় জগতে এসেছিলেন। জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘উত্তরণ’ এবং আরও অনেক টেলিভিশন এবং সিনেমা প্রযোজনায় বহু চরিত্রে অভিনয় করে সুখ্যাতি অর্জন করেন।

তাঁর পারিবারিবারিক জীবন খুব সরল ও সহজ ছিল না যার ফলে সন্তানদের সঙ্গে দূরত্ব ক্রমেই বাড়তে থাকে যা তাঁকে বিশেষ মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে রাখে। পরবর্তিকালে অবশ্য কন্যা বীণার পুত্র সিদ্ধার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় সহকারী পরিচালকের কাজ করেন তাঁর দুটো ছবিতে, ‘হাউসফুল টু’ (২০১২) এবং ‘হিম্মতওয়ালা’ (২০১৩)। বজায় থাকে চলচ্চিত্র শিল্পের সাথে পরিবারের যোগসূত্র। তাঁর অন্যান্য দৌহিত্রদের মধ্যে একমাত্র তানিশার অভিনয় জগতের সাথে যুক্ত হওয়ার কথা জানা যায়।

চলচ্চিত্র থেকে প্রদীপ কুমারকে একসময় চিৎপুর রোডের যাত্রাপাড়ায় যাত্রা দলে অভিনয় করতে দেখা যায়। তাঁর নামেই যাত্রায় উপচে পড়া ভিড় ছিল দেখার মত। তবে খুব বেশি দিন যাত্রার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন নি শারীরিক কারণে। তাঁর শেষ জীবন বেশ সঙ্কটের মধ্যেই কাটে। স্ত্রী আগেই মারা যাওয়ায় শেষ বয়সে চরম একাকীত্ব গ্রাস করেছিল তাঁকে। এক সময় তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে পক্ষাঘাতে কাবু হয়ে পড়েন। আরও কিছু অসুস্থতা ছিল সেই সাথে। সে সময় তিনি ছিলেন একেবারে একা, নিঃসঙ্গ তবে আত্মীয়স্বজনের বাইরে লোকজনের সাহায্য সহায়তা তিনি পেয়েছিলেন যার মধ্যে জনৈক এক ব্যবসায়ীর নাম শোনা যায়। আর্থিক সঙ্কটও ছিল তাঁর সঙ্গী।

ছিয়াত্তর বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রবাদপ্রতিম অসামান্য সুদর্শন অভিনেতা প্রদীপ কুমারের জীবনাবসান হয়। দিনটা ছিল ২৭ অক্টোবর ২০০১। প্রদীপ কুমারের অভিনয়কালে অভিনেতারা বেশিরভাগ ছবিতেই প্রায় এক ধরনের অভিনয় করার জন্য জনপ্রিয় হতেন। প্রদীপ কুমার সেই রাজকীয় গণ্ডি পেরিয়ে নিজেকে রোমান্টিক নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতেও সমর্থ হন। এই রোমান্টিসিজম চলচ্চিত্রে রাজা, রাজপুত্র এবং অভিজাত চরিত্রগুলোকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতো বড় পর্দায়। সেই ধারায় অভিনয় করে পরে অনেকে প্রসিদ্ধ হয়েছেন। সারা জীবনে ১২০ টারও বেশি ছবিতে অভিনয়ের স্বাক্ষর রেখে গেছেন।

১৯৯৯ সালে চলচ্চিত্রে সারা জীবন কাজ করার জন্য লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট “কলাকার পুরস্কার” দেওয়া হয় অভিনেতা প্রদীপ কুমারকে।

ব্যক্তিগত দুর্দশা থাকলেও প্রদীপ কুমার নিজের আত্মমর্যাদা, সম্ভ্রম এবং রাজপুত্তুরের মত রাজকীয় জীবনধারা থেকে বিচ্যুত হন নি। কখনও ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে শোনা যায় না বরং এড়িয়েই চলতেন। গণমাধ্যমকেও এড়িয়ে চলতেন। সেই সাথে চলচ্চিত্র জগতের সহানুভূতি। কর্মজীবনের মতোই ব্যক্তিজীবনের শেষ দিকে নিজের শর্তে বেঁচেছেন। একেবারে রাজপুত্তুরের মত।





No comments:

Post a Comment