কবিতা : বিদিশা সরকার



কবিতা 



পাহাড়ী 
বিদিশা সরকার 



একটা স্টিয়ারিং এর পাশে বসে কোথায় চলেছি ! হয়ত দু'জনেই পারিপার্শ্বিক কিছু অপঘাত সচেতন। আজকের তারিখটা ভুলে গেছি। কালকেরটাও। এই মুহূর্তে স্টিয়ারিং কি ভাবছে জানিনা। হয়ত পথ অথবা গন্তব্য! ওইয়াইপার মুছে দিচ্ছে বৃষ্টির নাছোড় কুমারী আত্মজা। সম্পর্ক খুঁজতে খুঁজতে ভূমিকা থেকে উপসংহার পর্যন্ত ! এভাবেই ভাবতে অভ্যস্ত। 

পুরনো চিঠিগুলো দৈবাৎ খুললে অসময়েও ঝাপসা হয়ে ওঠে কাঁচ।সেখানেও তো ভূমিকা বা উপসংহার অথবা আত্মহননের ব্যর্থতাই ! 

ক্রমশ বিস্ময়বোধক প্রিয় মুখগুলো যখন পরিত্রাণের আবেদন রাখতে গিয়ে দরজা থেকে ফিরে যায়, আমি সেই ফিরে যাওয়াটা দেখি। আমরা যে মানুষ ছাড়া বাঁচতে শিখিনি। 

আমাদের শৈশব কারো হাত ধরেই উঠে দাঁড়িয়েছে অথবা দেওয়াল। হয়তো হাত ছুটে গেলে দেওয়ালই ঘনিষ্ঠ হয়ে সুরক্ষা করবে আর দুর্ভেদ্য কোনও প্রাচীরে কান পাতলে শোনা যাবে সারেঙ্গীর নিবিষ্ট পাহাড়ী ধুন। আমরা যে এভাবেই পাহাড়ে পাহাড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হই।

2 comments:

  1. অপূর্ব একটি রচনা । বিদিশা দি কুর্ণিশ জানালাম ।

    ReplyDelete