যুদ্ধ নয় শান্তি চাই। এ তো শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের চিরকালীন স্বপ্ন। আমাদের 'সভ্য' হয়ে ওঠার ইতিহাস অবশ্য অন্যকথা বলে। যুদ্ধ ছাড়া মীমাংসা হয়নি কোনও বড় সংকটের। তা সে ট্রয়ের যুদ্ধই হোক বা কুরু-পাণ্ডবের। এসবই আমরা 'ন্যায়ের যুদ্ধ' বলে মহিমান্বিত করেছি। তালিকাটি ফুরোবার নয়।
সম্প্রতি একটি ঘটনাক্রম আবার উস্কে দিল এই বিতর্ককে। গতমাসে এক বর্বরোচিত সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিল নিরপরাধ কিছু মানুষ। পরিজনের সঙ্গে নিভৃত কিছু মুহূর্ত কাটানোর মাঝে অতর্কিতে নেমে এসেছিল সেই হামলা। দেশজোড়া পরবর্তী পরিবেশ হয়ে উঠেছিল থমথমে। কিছু একটা যে ঘটতে চলেছে, আমরা অনুমান করছিলাম কিন্তু কী সেই 'কিছু', তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা না থাকলেও চায়ের কাপে ঝড়ও কিছু কম ওঠেনি।
অবশেষে ঘটল সেই প্রত্যাঘাত। অবশ্যম্ভাবীভাবে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ল সংশ্লিষ্ট সকলে। আবার ফিরে এল মূল সেই জিজ্ঞাসা। সত্যিই কি দরকার ছিল পাল্টা এই আগ্রাসন? যুদ্ধের জিগির? এখানেই যুক্ত হয়ে যায় সেই যুক্তি, আত্মরক্ষার্থে যদি গড়ে তোলা হয় প্রতিরোধ, যার পরিণতি আক্রমণে, তার সঙ্গে অন্যায় চক্রান্ত আর আগ্রাসনকে কি একই আসনে বসানো উচিত? অন্যদের তো বটেই, 'শুভবুদ্ধি সম্পন্ন' মানুষরদের মনেও এই ধন্দের নিরসন কি খুব কঠিন?
বিষয়টা আদপে তাই যুদ্ধের স্বপক্ষে কিংবা যুদ্ধবিরোধী নয়, ধারাবাহিক এক অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। তথাকথিত বুদ্ধিজীবী মহল এই সত্যটি মেনে না নিলে বা সেটিকে তাৎক্ষণিক রাজনীতির হাতিয়ার করে তুললে, তার পরিণাম হতে পারে ভয়ংকর!
সুস্থ থাকুন। দায়বদ্ধ থাকুন।
শুভেচ্ছা অফুরান।
No comments:
Post a Comment