নারীলোভী বৃষ্টি যেদিন গর্ভবতী মেঘ থেকে ঝড়ে পড়ছিল, তৃণা আমাকে ডেকেছিল। আমি বলেছিলাম , তুমি ঘরেই থাকো। নরম হাতের বেষ্টনীকে আমি প্রেম বলি না। যৌনতা প্রেম নয় তৃণা।
সে ভেবেছিল, বৃষ্টির সাথে সাথে আমার আদর উপভোগ করবে। না, এত পক্ক আমি নই। আমি জানতাম বৃষ্টি আমাকে কিছুই দেবে না। শুধু ফোঁটা ফোঁটা আশ্লেষে জ্বর এনে দেবে।
বালিশ বুকে তৃণার কথা ভাবলেও কখনোই বিবাহ- পূর্ব শয্যাসম্পর্কে আমি বিশ্বাসী নই। তৃণা ভুল বুঝেছিল আমায়। কষ্ট পেয়েছিলাম। কিন্তু আদর্শচ্যুত হতে পারিনি।
বৃষ্টির জগতে আমি হয়তো বেমানান। তাই বৃষ্টি এলেই জলহীন দেশে দৌড়ে পালাই। তৃণা অন্যকে খুঁজেছিল। সর্বনাশী নেশা তাকে নরকের দিকে টেনেছিল। আমার কথা বোঝেনি।
বৃষ্টি এসে যখন আমাদের ঘিরে ধরত তখন বদনামের ভয়টাও আমাকে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলতো। আমি মেঘ উঠলেই তৃণার কাছ থেকে দূরে চলে যেতাম একদৌড়ে। তৃণা আমাকে ভীতু বলতো। আমি জানি বৃষ্টির স্বভাবই হল গোপন অভিসারকে পাঁচকান করা। তৃণা বোঝেনি।
তারপর তৃণা হারিয়ে গেছে। তৃণা আজও বৃষ্টি এসেছে। তুমি এস। আমি আজ অনেক সাহসী। কত আর বদনাম দেবে? সতর্ক আজ আমি অনেক। আমাদের মধ্যবর্তী শ্বাসে যাতে বৃষ্টি না প্রবেশ করতে পারে তার জন্য আমি বর্ম পড়েছি।
আজ আমার শূণ্যঘরে বৃষ্টি এসেছে। আমি শুধু তোমাকেই ভাবছি তৃণা। এসো আমার ঘরে।
ReplyForward
No comments:
Post a Comment