কবিতা - কুমকুম বৈদ্য







তুই যদি গাছের পাতার নৌকা বানাস
যদি তুই জ্বরের দিনে আলতো বাতাস
যদি তুই অঙ্ক খাতায় শূন্য পেতিস
অথবা একের পিঠের দুইটা হতিস
আমি তবে সামলে যেতাম
বারোটা বাজার আজে ঠিক জাগতাম
শূণ্যে চড়ে চাঁদের পিঠে ঢাক বাজাতাম
সে ঢাক শুনে যদি বা উঠত নড়ে মেঘের বাড়ি
অথবা মেঘের কানের গোলাপী দুল, জুড়িগাড়ি
তবে তুই বৃষ্টি দিয়ে শিলেট মুছে
যা লিখতিস সবটুকু ভুল
ভুলটা সবই
তুই যদি হঠাৎ করে রাস্তা হারাস
ভুলে যাস ফুচকা ওলার পয়সা দিতে
যদি তুই ছাদের দিকে দু পা বাড়াস
আরেক জোড়া নাই বা দিল সঙ্গ তোকে
খসে পড়া একটা তারা পূব আকাশে
ওয়েট করুক বাইশ মিনিট তোর উইশের
তখন আমার উদাস চোখে দেখস যদি ঘাড় ঘুরিয়ে
যা পড়বি সবটুকু ভুল
ভুলটা সবই
যদি তোর ভুলো মনে লিখিস কিছু
ভুলে যাস তারপরে ঐ জল ন্যাকড়া
তারপর আরশিনগর মনের ঘুঁড়ি
ফিরে যাস পিছন দিকে বছর কুড়ি
লাটাই ছেঁড়া সুতোর মতন লুটলে খানিক
রেখে দিস ভরবে উড়ান পরের বারে
আসলে তুই মনের খাতায় শূন্য পেলি
আমাকে আগাপাছতল ভুল ভাবলি
ভাবনার সবটুকু ভুল
ভুলটা সবই

No comments:

Post a Comment