প্রবন্ধ - ইন্দ্রনীল মজুমদার





















ইতালি এমনকি সারা বিশ্বের অন্যতম নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয় হল পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় ও বটে কেননা ২০২২ এ এই বিশ্ববিদ্যালয় তার ৮০০ বছর অতিক্রম করেছে। অনেক উল্লেখযোগ্য ইতিহাসের সাক্ষী এই বিশ্ববিদ্যালয় তা বলাই বাহুল্য। জগৎবিখ্যাত জ্যোতির্বিদ, গণিতজ্ঞ তথা ‘আধুনিক বিজ্ঞানের জনক’ গ্যালিলিও গ্যালিলি পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনাকালীন তিনি অনেক যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক গবেষণা করেছিলেন। ‘সেক্টর’ নামে একটি গণনাকারী যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন। একটি অতিশক্তিশালী টেলিস্কোপ বা দূরবীন তৈরি করেছেন এবং তা চোখে লাগিয়ে রাতের পর রাত আকাশ পর্যবেক্ষণ করতে লাগলেন। আর তাঁর ওইসব পর্যবেক্ষণই উন্মোচন হতে শুরু করল আকাশের একের পর এক রহস্য, আসতে লাগলো একের পর এক নিত্য নতুন চিন্তাভাবনা। যখন গ্যালিলিও বিজ্ঞানের অন্যতম প্রাচীনতম শাস্ত্র জ্যোতির্বিদ্যার নানা অন্ধকারময় বিষয়ে আলোকপাত করে চলেছেন তখন চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক নতুন দিক উন্মোচন হতে চলেছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাবিদ্যার এক ইংরেজ ছাত্রের হাত ধরে। যার সূত্রপাত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শব-ব্যবচ্ছেদ ঘর (Anatomy dissection room)।


সেই শব-ব্যবচ্ছেদ ঘরের গ্যালারিতে ডাক্তারিবিদ্যার অনেক পড়ুয়ার সাথে বসে শব-ব্যবচ্ছেদ দেখছেন এক ইংরেজ ছাত্র৷ তাঁর কৌতূহলী তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রয়েছে অপারেশন টেবিলে অর্থাৎ যেখানে শব-ব্যবচ্ছেদ হচ্ছে। আর শব-ব্যবচ্ছেদ করছেন উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরস্থান বা অ্যানাটমি বিষয়ের অধ্যাপক ফ্যাব্রিসিয়াস‌‌। এই ফ্যাব্রিসিয়াস সাহেব অসাধারণ বোঝান। তিনি শারীরবিদ্যার নামজাদা অধ্যাপক আবার বিখ্যাত শল্যচিকিৎসক। তাঁর পড়ানোর বিশেষত্ব হল এই যে তিনি বই দেখে অ্যানাটমি পড়াতেন না গতানুতিকভাবে‌। তিনি বহু বছর ধরে শব-ব্যবচ্ছেদ করছেন তাই দীর্ঘদিনের শব-ব্যবচ্ছেদ সম্পর্কিত যে পরীক্ষালব্ধ জ্ঞান তিনি অর্জন করেছেন তা দিয়েই তিনি অ্যানাটমির অধ্যাপনা করতেন। তিনি তখন সবেমাত্র আবিষ্কার করেছিলেন যে, মানবদেহের শিরার মধ্যে একদিক-বন্ধ দরজা যাকে বলা হয় ভালভ তা আছে। কিন্তু সেই ভালভের কাজ কি বা তা কেমন করে কাজ করে তা অধ্যাপক ফ্যাব্রিসিয়াস জানাতে পারেননি। অধ্যাপক মহাশয়ের এই অসম্পূর্ণ কাজটি সম্পন্ন করেছিলেন তাঁরই সেই সুযোগ্য ইংরেজ ছাত্রটি সেদিন যিনি অধ্যাপক ফ্যাব্রিসিয়াসের ক্লাসে শারীরতত্ত্ব অধ্যয়ন করছিলেন। হয়তো, অধ্যাপক ফ্যাব্রিসিয়াসের কাছে সেই সুদূর লন্ডন থেকে আসার কারণ হচ্ছে অ্যানাটমি শেখার প্রবল ইচ্ছা। তাই হবে, নয়তো নিজের দেশ ইংল্যান্ডের একাধিক নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে সুদূর ইতালির পাদুয়াতে কে যায়? তো, সেই ছাত্রটি হলেন উইলিয়াম হার্ভে। যিনি জন্মেছিলেন ১৫৭৮ সালের ১লা এপ্রিল। তাঁর পিতা ছিলেন একজন ব্যবসাদার। ১৫৯৭ সালে মাত্র উনিশ বছর বয়স বয়সে মেধাবী ছাত্র উইলিয়াম হার্ভে বিখ্যাত কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। স্নাতক ডিগ্রি লাভ করার পর তিনি ইতালির পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন ডাক্তারী পড়তে।


১৬০২ সালে চব্বিশ বছর বয়সে ডাক্তারী পাশ করেন এবং তাঁর মাতৃভূমি ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন। তিনি একটি চিকিৎসাকেন্দ্র খোলেন লন্ডনে। বহু রোগী তাঁর চিকিৎসার জন্য আসত। এইবার তিনি তাঁর জিজ্ঞাসা অর্থাৎ অর্থাৎ অধ্যাপক ফ্যাব্রিসিয়াসের অমীমাংসীত, রহস্যাবৃত প্রশ্নের উন্মোচনের কাজে মন দেন। অর্থাৎ, ভালভ কিভাবে কাজ করে? এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য তিনি রোগীদের হৃদযন্ত্র ও রক্তপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করার এক সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যান। তিনি রোগীদের যা পরীক্ষা করে দেখতেন তার সবই খুব যত্নসহকারে ভালো করে একটি নোট বইতে লিখে রাখতেন। শুধু তাই নয়, অবসর সময়ে বিভিন্ন জীবজন্তুদের নিয়ে তিনি নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতেন। পাখি, ব্যাঙ, ইঁদুর সহ নানান প্রাণীর দেহ ব্যবচ্ছেদ করে সেগুলোর রক্তনালী পরীক্ষা করে রক্ত চলাচলের ব্যাপারটা পর্যবেক্ষণ করতেন। আসলে, যে সময়ের কথা বলছি সেই সময় মানুষের দেহের গঠনকৌশল খুব একটা ভালো জানা ছিল না। অনেক কিছুই ছিল অধরা। এমনকি হৃদযন্ত্রের কাজ ও রক্ত-সংবহন তন্ত্র (blood circulatory system) সম্পর্কে মানুষের তো দূর অস্ত খোদ চিকিৎসকদের ধারণাও ছিল না। কেউ কেউ চিকিৎসকেরা বলতেন যে, একমাত্র ঈশ্বরই জানেন হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াকলাপ সম্বন্ধে। আবার কেউ কেউ বলতেন যে রক্ত দুই রকমের রয়েছে। একরকম রক্ত ধমনী দিয়ে যাতায়াত করে, আর একরকম রক্ত শিরা দিয়ে।আবার রক্তের উৎস সম্পর্কে কেউ কেউ বলতেন যে, রক্ত উৎপাদিত হয় আমাদের লিভারে। আবার কারুর মতে রক্তের উৎসস্থল হল পেট। কি আর বলা যাবে? অবশ্য বলাই বাহুল্য যে, এইসব কথা শুনে আজকালকার চিকিৎসকেরা হেসে উঠলেও তখন ব্যাপারটা মোটেও হাস্যকর ছিল না। যে হৃদপিণ্ড নিয়ে আমাদের বাঁচা তার কার্যকলাপ এবং যে রক্তের সম্পর্ক নিয়ে আমাদের এত্ত মাতামাতি তার সঞ্চালন কোনও জ্ঞান ছিল না সাধারণ মানুষদের থেকে শুরু করে খোদ চিকিৎসকদের। আর যিনি এই রক্তের বয়ে চলা বা সঞ্চালন ক্রিয়ার নির্ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন ও হৃদপিণ্ডের কাজ সম্পর্কে সক্ষমতার সাথে জানিয়েছিলেন তিনি আমাদের এই প্রবন্ধের নায়ক উইলিয়াম হারভে।


যাইহোক, যে কথাটা বলছিলাম, সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে উইলিয়াম হার্ভে পর্যবেক্ষণ করে দেখলেন যে, শিরাতে যে ভালবগুলো আছে সেগুলো হৃদযন্ত্রের দিকে খোলা এবং ধমনীতে যে ভালভগুলো আছে সেগুলি হৃদযন্ত্র থেকে বাইরে যাবার দিকে খোলা রয়েছে। অর্থাৎ শিরার রক্ত সর্বদা হৃদযন্ত্রের দিকে চলে যায় এবং ধমনীর রক্ত সব সময় হৃদযন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসে। আচ্ছা, এই হৃদযন্ত্রটি কেমন? ডাক্তার হার্ভে পর্যবেক্ষণ করে দেখলেন যে, হৃদযন্ত্র এক ফাঁপা মাংসপেশী বিশেষ এবং এটির প্রধান কাজ হল রক্তকে পাম্প করা। আমাদের হৃদযন্ত্র বা হার্ট পাম্প করে ধমনীর মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অংশে রক্ত পাঠিয়ে থাকে। হৃদযন্ত্র থেকে রক্ত ধমনীতে যায় ও তার শাখা প্রশাখার মধ্যে দিয়ে গিয়ে কৌশিকনালী বা ক্যাপিলারিতে পৌঁছায়। এরপর আবার দূষিত রক্ত বা অক্সিজেনহীন রক্ত শিরার মাধ্যমে হৃদপিণ্ডে ফিরে আসে। তিনি গণনা করেছেন যে, যখন হৃদযন্ত্রের পুরো সংকোচন হয় তখন তার থেকে প্রায় দুই আউন্স (প্রায় ০.০৫৯ লিটার) রক্ত ধমনী বেয়ে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। সংকোচনের পরেই স্বাভাবিক নিয়মে হৃদযন্ত্রের প্রসারণ ঘটে। প্রসারণের সময় শিরা বেয়ে রক্ত ধাবিত হয় বা চলে যায় হৃদযন্ত্রের দিকে। প্রসারণের পর হৃদযন্ত্রের আবার সংকোচন ঘটে। এই নিরন্তর সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমেই হৃদযন্ত্র অবিরাম পাম্পের মত কাজ করে চলেছে। আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালনের যে প্রক্রিয়া তা চক্রাকারে হয়ে থাকে। পাম্প যেমন গোটা বাড়ি বা ফ্ল্যাটের কলে জল ছড়িয়ে দেয় একইভাবে হৃদযন্ত্র ও রক্ত শরীরে ছড়িয়ে দেয়। হৃদযন্ত্রের যে সংকোচন হচ্ছে তার ফলে পাম্প করা রক্তের বর্ধিত চাপ তৈরি হচ্ছে। আর সেই চাপ বোঝা যায় আমাদের নাড়ী টিপে। ডাক্তার হার্ভে নাড়ী টিপে ধরে প্রতি মিনিটে ওই নাড়ীর স্পন্দন কত তা গুণে ছিলেন। এইভাবে হৃদযন্ত্রের স্পন্দন তিনি নির্ণয় করতে পেরেছিলেন। এই স্পন্দনের সংখ্যা কম বা বেশি হলে বুঝতে হবে যে হৃদযন্ত্রের অবস্থা বা শরীরের অবস্থা ভালো নয়। ঠিক এই কারণে, ডাক্তার হার্ভে এই নাড়ীর স্পন্দন অনুভব করে রোগ নির্ণয় করার ক্ষেত্রেও পথিকৃৎ হয়ে রইলেন।


তিনি দেখেছিলেন যে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক হৃদস্পন্দন মিনিটে ৬০ থেকে ৯০ বার হয়। তিনি নির্ণয় করে পেয়েছিলেন যে, আমাদের হৃদযন্ত্র প্রতিঘণ্টায় ৬৫ গ্যালন (প্রায় ২৯৫.৫ লিটার) রক্তকে পাম্প করতে পারে। কিন্তু এই হিসেবটা এখানে থেমে নেই। আমাদের দেহে রক্তের পরিমাণ ওই পাওয়া হিসেবের চেয়ে চার কি পাঁচ কোয়ার্ট (প্রায় ৩.৭৮৫ লিটার কি ৪.৭৩২ লিটার) কম। তাহলে, হৃদযন্ত্র অবিরামভাবে যে রক্ত পাম্প করে চলেছে তার কি হল? সেটাই বা কোথায় গেল?




উইলিয়াম হার্ভে ও তাঁর সই



ডাক্তার হার্ভের মতে, আমাদের শরীরের মধ্যেই ওই চার বা পাঁচ কোয়ার্ট রক্ত চক্রাকারে আবর্তিত হচ্ছে। তারা হৃদযন্ত্র থেকে বেরিয়ে ধমনীর ভেতর দিয়ে সঞ্চরণ করছে ও শিরা বেয়ে আবার হৃদযন্ত্রেই ফিরে আসছে। ধমনীর ভালব রক্তকে হৃদযন্ত্র থেকে বের করে দিচ্ছে এবং শিরার ভালভ রক্তকে হৃদযন্ত্রের দিকে সঞ্চালিত করছে। বারংবার পরীক্ষা করে হার্ভে নিশ্চিত হয়েছিলেন রক্তের এই সঞ্চালন বা বয়ে যাওয়া সম্পর্কে। তিনি হার্টের সংকোচন ও প্রসারণের ব্যাপারটা খুব ভালোমতোনভাবে লক্ষ্য করেছিলেন। তিনি এও জানিয়েছিলেন যে শুধু হার্টের মধ্যেই নয়, হার্টের বাইরে শরীরের সর্বত্র ও সবসময়ই রক্ত একইদিকে প্রবাহিত হয়। আর তিনি আগের হিসেব অনুযায়ী এও জানাতে পেরেছিলেন যে নির্দিষ্ট পরিমাণ রক্ত দেহের মধ্যে নিরন্তর চক্রাকারে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি দেখলেন যে তাঁর সিদ্ধান্তই নির্ভুল ও যথার্থ। আর এই বিষয়টি চিকিৎসক মহল সহ সকলকে জানাতে তিনি একটি বই লিখলেন যার নাম ‘ট্রিটিজ অন দি মোশান অফ দি হার্ট অ্যাণ্ড ব্লাড’ যা ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে গোটা চিকিৎসাজগতে‌। তবে, হার্ভের হৃদযন্ত্র ও রক্ত সঞ্চালন সম্পর্কে এই নতুন আবিষ্কার বা ধ্যান-দারণা বহু চিকিৎসকই প্রথমে মেনে নেননি তাঁদের পুরাতন চিন্তাভাবনার দরুণ। তাঁদের কাছে ডাক্তার হার্ভের ধারণা ভ্রান্ত মনে হলেও শেষ পর্যন্ত দেখা যায় হার্ভের সিদ্ধান্তই সঠিক ও অভ্রান্ত। ডাক্তার উইলিয়াম হার্ভের অসামান্য অবদান তখনই বুঝি যখনই দেখি যে, আজকাল যে সুস্থ মানুষের শিরা থেকে রক্ত নিয়ে তা বিশেষ প্রয়োজনে রুগ্ন মানুষের দেহে দিয়ে তাকে বাঁচাচ্ছে। আজকাল ব্লাড ডোনেশন প্রায়শই হচ্ছে। অনেক রক্তের চাহিদাসম্পন্ন মানুষকে রক্ত দিয়ে সেই চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা চলছে কোনও জাতি-ধর্ম সহ সমস্ত ভেদাভেদ না দেখেই‌। এমনকি হার্ট অপারেশনের ক্ষেত্রেও অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে রোগীর দেহের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে। পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে গ্যালিলিও যেমন জ্যোতির্বিদ্যার নবদিক উন্মোচন করেছিলেন ঠিক তেমনি চিকিৎসাবিদ্যারও নবদিক উন্মোচনের সলতেটা ওই পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শব-ব্যবচ্ছেদ ঘরে বসে পাকিয়েছিলেন বা ধরেছিলেন উইলিয়াম হার্ভে।


১৬৫৭ সালের ৩রা জুন উইলিয়াম হার্ভের হৃদযন্ত্র থেমে গেলেও তাঁর রক্তসঞ্চালন সম্পর্কে অভ্রান্ত ও বৈজ্ঞানিক ধারণাগুলো বা সিদ্ধান্তগুলো হৃদযন্ত্র বা হার্টের মতো পাম্পের কাজ করেছে। কেননা সেগুলোই চিকিৎসাবিজ্ঞানকে মধ্যযুগের অন্ধকার থেকে এক অসামান্য অগ্রগতির দিকে ধাবিত করে নিয়ে গেছে।


রক্ত যে বয়ে যায় নব জীবনের দিকে ঠিক তেমনি চিকিৎসাবিজ্ঞানও হৃদযন্ত্র ও রক্ত ধরেই বয়ে যায় অগ্রগতির দিকে।



তথ্যসূত্রঃ-
দেশ বিদেশের বিজ্ঞানী– অমরনাথ রায়, আনন্দ পাবলিশার্স
আবিষ্কারের গল্প– পার্থসারথি চক্রবর্তী, আনন্দ পাবলিশার্স
উইকিপিডিয়া

No comments:

Post a Comment