সম্পাদকীয়




একটা বিষয় আজকাল বেশ ভাবিয়ে তুলছে। একথা আমরা সবাই জানি, সমাজের সমসাময়িক বিষয় নিয়েই নির্মিত হয় সাহিত্য। আবার ভাষা হলো সভ্যতা ও সংস্কৃতির অন্যতম ধারক এবং বাহক। অর্থাৎ, বিষয়গুলি পরস্পর নির্ভরশীল। সংশয়টা ঠিক এইখানেই। সাহিত্য যদি সমসাময়িক সমাজের চিত্র হয় এবং তা প্রকাশের মাধ্যম যদি হয় ভাষা, তবে এই পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভাষা প্রয়োগের স্বাধীনতা কতটা আছে এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃত সমাজচিত্র কতটা সাহিত্যে প্রতিফলিত হতে পারছে, তা সংশয়াতীত নয়। আজকের পরিস্থিতিটির কথাই ভাবুন। ভ্যাক্সিন আবিষ্কৃত, মে মাস থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়স্ক সকলকেই ভ্যাক্সিন নিতে হবে, এই মর্মে সরকার নির্দেশ জারি করেছেন। নিঃসন্দেহে সাধু উদ্যোগ। অর্থাৎ, ধরে নিতে পারি, ভ্যাক্সিন এখন বাজারজাত এবং সহজলভ্য। অতিমারিকে কাবু করা গেছে – এমনটা ভাবাই যেত; যদি না এই অতিমারিরই নতুন একটি প্রবাহ আবার আছড়ে পড়ত প্রবল বিক্রমে। আগেরটাকেও চিনতাম না, আন্দাজে ঢিল ছোঁড়াছুঁড়ি চলছিলো, আলটপকা সে ঢিল লেগেও যাচ্ছিল প্রায়ই, এখন এই দ্বিতীয় প্রবাহ আরও অচেনা। সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা। জীবন তো থেমে থাকতে পারে না! অথচ দেখুন, নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে প্রস্তাবিত কর্মসূচী এতটুকু সঙ্কুচিত না করেই। এদিকে কিন্তু ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা ডকে উঠেছে। তারা চিহ্নিত হয়ে যাচ্ছে ‘ওপেন বুক’ পরীক্ষা দেওয়া ব্যাচ হিসেবে, পরবর্তীকালে এদের চাকরি দেওয়ার দায় আর কারোর থাকছে না, স্বভাবতই! এই পরিস্থিতির কথা সাহিত্যের ‘প্রহসন’ধারায় লিপিবদ্ধ হচ্ছে কি? জাতীয় মূল্যবোধ, নৈতিকতা-অনৈতিকতা, শিক্ষা-কুশিক্ষা, সংস্কৃতি-অসংস্কৃতি, শালীনতা-অশালীনতা, ন্যায়-অন্যায়, সহযোগিতা-অসহযোগিতা, সেবা, আনুগত্য, ভ্রাতৃত্ববোধ, সহানুভূতি, সহমর্মিতা, ভালোবাসা সব ঘেঁটে ঘ! তবুও হতাশ হবো না, ঠিক করেছি। আসুন, সমবেত হয়ে লড়াই করি, সচেতন হই। জিততে আমাদের হবেই!

সুস্থ থাকুন, সৃজনে থাকুন

শুভেচ্ছা নিরন্তর

No comments:

Post a Comment