সম্পাদকীয়


সম্পাদকীয়

নৈরাজ্যবাদীরা সমাজের অর্থনৈতিক সংগঠনের রূপরেখা যেভাবে ভেবেছেন, তার থেকে সমাজবাদীদের চিন্তা খুব একটা ভিন্ন নয়; শাসনের প্রক্রিয়া সম্বন্ধে তাঁদের ধারণাটাই শুধু আলাদা। নৈরাজ্যবাদীরা মনে করেন যে, সরকার সমস্ত শাসিত জনগণের মতের উপরে ভিত্তি করে চলবে, শুধুমাত্র সংখ্যা গরিষ্ঠের নয়। অস্বীকার করা যায় না যে, সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসনও সংখ্যালঘিষ্ঠের শাসনের মতোই মানবিক স্বাধীনতার পরিপন্থী। সংখ্যাগরিষ্ঠের 'অনুপম' ক্ষমতার কারণ মতবাদের গোঁড়ামি ছাড়া আর কিছুই নয়। একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তার সেই সমস্ত শ্রেষ্ঠ নাগরিকদের দমন-পীড়নে পর্যুদস্ত করতে পারে, বিশেষত যাঁদের স্বাধীন চিন্তার বিকাশ প্রগতির পক্ষে অপরিহার্য উপাদান হিসাবে পরিগণিত হয়, যা অবশ্যই অত্যন্ত গুরুতর এক চিন্তার বিষয়। তবে এ ইতিহাস নতুন নয়। এই গভীর দুশ্চিতার পরিপ্রেক্ষিতে এনকাউন্টার বা এন আর সি/ক্যাব ঠিক কিনা-কে উপলক্ষ্য বলেই প্রতিভাত করা যায়, মূল উদ্দেশ্য কখনই নয়! এমতাবস্থায় শুধু প্রত্যাশা এইটুকুই যে, দেরিতে হলেও সব কিছু সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই সমস্ত পক্ষেরই নিদ্রা ভঙ্গ হবে।

সচেতন থাকুন, সাবধান থাকুন

শুভেচ্ছা নিরন্তর

1 comment: