সম্পাদকীয়


সম্পাদকীয়



সবে পয়লা বৈশাখ গেলো। ঘরে ঘরে দেওয়ালে দেওয়ালে রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দ-নেতাজী-লক্ষ্মী-গনেশ-নারায়ণের ছবি সমেত ১৪২৬ বঙ্গাব্দের নতুন ক্যালেন্ডার ১৪২৫কে সরিয়ে জায়গা করে নিয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই। মনটা কেমন সংস্কৃতি-পরায়ণ  হয়ে উঠছে মাঝেমাঝেই। চওড়া পাড় সুতির শাড়ী, বড়ো টিপ, ঘন কাজল, খোঁপায় জুঁইয়ের মালা! আহা আহা!!

কিছুটা আগের প্রজন্মের বয়োবৃদ্ধদের মুখে প্রয়শঃই  শুনি, 'আমাদের সেই সময়টাই ছিলো নক্ষত্রপ্রসবা স্বর্ণযুগ, এখনকার ছেলেপুলেরা...' -বিকৃত মুখভঙ্গীর আক্ষেপসূচক অসমাপ্ত সংলাপ ফলোড বাই চরাচর কাঁপানো গভীর দীর্ঘশ্বাস -  এ অভিজ্ঞতা কমবেশি আমাদের সকলের আছে। না, তুল্যমূল্য করতে চাই না। শুধু ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, ওঁরা যদি 'নাক্সাত্রা ডায়ামন্ড'-খচিত স্বর্ণযুগের মানুষ হন, তবে আমরা নিঃসন্দেহে শুধু সলিটেয়ার সেটিং প্ল্যাটিনাম এজে বিলং করি। হ্যাঁ, আমরা অনেক ভালো আছি। পঞ্চাশ বছর, এমনকি ত্রিশ বছর আগের তুলনাতেও।

আপনি বলবেন, 'মানেটা কি? যা হচ্ছে, সব ভালো?'

আরে উত্তেজিত হবেন না। যা খারাপ, তা খারাপই। আমি বলছি না, যা হচ্ছে, তা সবই ভালো। আমি বলছি, আমরা অনেকটা এগিয়েছি। সব দিক দিয়ে। আবার পেছিয়ে যাওয়াটা বিশেষ বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। সেটা চাই না। আর আমাদের আগের প্রজন্মের এই যে মনোভাব, তাই নিয়েও বিশেষ চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কেননা, তাঁদের বাপ-জ্যাঠাও এমনই বলতেন। কারণ, যুগযুগ ধরে বাপ-জ্যাঠাদের কাজই এটা! তাই বলি কি, শুধু ক্যালেন্ডার নয়, পাল্টাক দিন! আসুন, এগোই সামনের দিকে!!

শুভেচ্ছা নিরন্তর... 

No comments:

Post a Comment