গল্প - মৌসুমী ভট্টাচার্য্য



গল্প


গোল্ডেন জুবিলী 
মৌসুমী ভট্টাচার্য্য 


ভোর সাড়ে চারটায় এ্যালার্ম বেজে ওঠে, রোজকার রুটিন মতো। আধ ঘন্টার মধ্যে প্রাতঃকৃত্য সেরে মনোজ বাবু ও তার স্ত্রী মর্নিং ওয়াকে যান। এই রুটিন চলছে আজ বহু বছর। রিটায়ার হয়ে কলকাতায় চলে আসেন,যাদবপুরে ফ্ল্যাট কিনে নেন, বেশ কিছু সমবয়স্ক পেনশনার্স বৃদ্ধ বৃদ্ধা একসঙ্গে প্রাতঃভ্রমণ করেন। কেউ কেউ সকালের চা রবির দোকানে পান করেন। রবি ঝাঁপ খুলে চা বানাতে বানাতে ওরা এসে যান, সামনের কাঠের বেঞ্চিতে বসে চা-য়ে চুমুক দিতে দিতে খবরের কাগজে চোখ বোলান। মনোজ কোনওদিনই বসেন না সেখানে, বাড়ি এসে ফ্রেশ হয়ে স্ত্রী রাধিকার সঙ্গে লেমন টি পান করেন। কিন্তু আজ দিনটি একদম ভিন্ন, অন্যরকম। এ্যালার্মটা বন্ধ করে বিছানায় চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকেন। আজ হাঁটতে যাবেন না। আজ নিয়ম ভাঙ্গার দিন, এত বছর ধরে নিয়মের দাস হয়ে সবকিছু ধরে রেখেছেন। সুগার থাকা সত্বেও কঠোর অনুশাসন, নিয়মানুবর্তিতা ওঁকে সুস্থ, কর্মক্ষম রেখেছে। সুদীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের দাম্পত্যজীবন কমপ্লিট করতে যে ধৈর্য্যের, সহ্যশক্তির পরিচয় তিনি দিয়েছেন, তা কেবল নীলকন্ঠধারী মহাদেবের সঙ্গে তুলনীয়। রাধিকা মুখে ময়শ্চারাইজিং ক্রীম লাগাতে লাগাতে এই ঘরে এসে বলল, “কি গো, উঠে পড়ো। মন্দিরে যাবো, মনে নেই? মোনারা এসে যাবে”। আজ রাধিকা খুব খুশী, ভোরেই স্নান সারা, যে কটা চুল আছে, তাতে কিসব হেয়ার ক্রীম লাগাচ্ছে। সুবাসে ঘর ম ম করছে। মন্দিরে যেতে কোন্ তাঁতের শাড়ি পরবে, রাতেই ঠিক করে বের করে রেখেছে। হরেক রকম কৌটো বাটা খোলা ড্রেসিং টেবিলের সামনে। সব কিছুর আপ ডেট দেবে মোনা, তাদের মধ্য চল্লিশের কন্যাটি। গতকাল কন্যা জামাতা দুবাই থেকে পৌঁচেছে। বড়োলোক শ্বশুর বাড়িতে উঠেছে। “এই শুনছ! আমি ঘরের পুজো দিচ্ছি, তুমি চান করে রেডি হয়ে নাও। তোমার পায়জামা পাঞ্জাবি রাখা আছে”। কখন কোন্ ড্রেস পরা হবে, সব সুচারুভাবে ঠিক করা আছে। মোবাইল বেজে ওঠল, “হ্যাপি গোল্ডেন জুবিলী, বাপি, দি মোস্ট ওয়ান্ডারফুল কাপল আই হ্যাভ এভার কাম এক্রস”, মোনা কলকলিয়ে বলে। “এক সারপ্রাইজ গিফ্ট আছে তোমাদের জন্য। আসছি আমরা”। মনোজ উঠে পড়েন, ঠিকে কাজের মহিলাকে বলেন একটু চা দিতে। 

চায়ে চুমুক দিতে দিতে মনোজ ভাবেন, এই যে জীবন! এ ক’জনের ভাগ্যে জোটে! ছেলে নামকরা রেস্টুরেণ্ট বুক করে রেখেছে, রাতে বেশ জম্পেশ পার্টি হবে। পুত্র, পুত্রবধূ, নাতি, কন্যা, জামাতা, কলেজ পড়ুয়া নাতনী, সবমিলিয়ে সুন্দর সংসার। স্বামী স্ত্রী দুজনেই সক্ষম, স্বচ্ছল, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। বছরে দু’বার ভ্রমণে যান। আজকের এই দিনটি দেখার জন্য এত সহ্য করেছিলেন, বুক ফেটেছে, মুখ ফোটেনি। ছেলেমেয়ে দুটো ও বড় কারণ ছিলো, সংসার না ভাঙ্গার। না, আজ বড়ো পেছন পানে মন ছুটছে। কিন্তু সময় পেলেন না। পুত্রবধূ অমি এসে বলে, ‘সেকি, আপনি তৈরী হননি? গাড়ি রেডি, দিভাইরাও এসে যাবে।’ ম্লান হেসে মনোজ বাথরুমের দিকে এগোন। অনেকটা সময় ধরে চান করেন। মেয়ে মোনার কলকল শুনতে পান, “বাপি, বেরিয়ে এসো। আমরা রেডি, তোমার অপেক্ষায়।’’ মনোজ বেরিয়ে আসতে মোনা দেখাতে লাগলো কি সব উপহার এনেছে! মা-র জন্য হীরের দুল, বাবার জন্য ‘রাডো’ ঘড়ি! রাধিকা উল্লসিত, সবাইকে দেখানো যাবে। একসময় মনোজের সখ ছিলো এমন ঘড়ি পরার, কিন্তু এখন অপচয় মনে হয়। মেয়ে একেবারে মায়ের কার্বন কপি, বড়োলোকি চালে জুরি নেই। জামাইটাও ভালো মানুষ, সব কিছুই মেনে নেয়। এক শংকা বুকের ভিতর খামচে ধরে। সব কিছুতেই মোনা তার মাকে অনুকরণ করে না তো! না, আদরের কন্যা সম্বন্ধে এ সব ভাবতে মন চায় না। ব্যভিচারিনী মোনা হতে পারে না, মনোজের রক্তও বইছে ওর শরীরে। একটু হেসে মেয়েকে বলেন,“কেন মা, এত খরচা করিস? এত দামী উপহার দেবার কি দরকার? এমনিতেই এত খরচা করে এসেছিস! সেই তো পরম পাওয়া”। 

“কি যে বলো না বাপী! গোল্ডেন জুবিলী কি রোজ হয়? তা ছাড়া আমি অ্যাফোর্ড করতে পারি। তোমাদের সারপ্রাইজ গিফ্ট তো সন্ধ্যার জন্যে রাখা”। 

মোনার বডি ল্যাংগুয়েজ এ দম্ভ প্রকাশ পাচ্ছে। মনোজ দেখলেন, পুত্র আর পুত্রবধূর মধ্যে অর্থপূর্ণ দৃষ্টি বিনিময় হলো। পুত্রবধূ দিয়া বলতে চাইছে, “দেখ, তোমার বোনের ফুটুনি!” এর প্রতিক্রিয়া ছেলের পকেটে পড়বে, সন্দেহ নেই। দিয়া ও তার মা বাবার বিবাহ বার্ষিকীতে মোনার অনুকরণ করবে যা রাধিকার ভালো লাগবে না, বেশ অশান্তি হবে। পুত্র নীলের, মা আর স্ত্রীর চাপে বেসামাল অবস্থা হবে। দৃশ্যটা চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আর নয়, তার প্রশ্রয়েই রাধিকা এতসব বাড়াবাড়ি করতে পেরেছে। 

সবাই মিলে হৈ হৈ করে মন্দির দর্শন করা হলো। বাড়ি ফিরে জম্পেশ মধ্যাহ্ন ভোজন, আগেই মেনু ঠিক করে সেই অনুযায়ী দুদিন ধরে বাজার গুছিয়ে রাখা হয়েছে। মোনা বললো, “মা, আমরা সন্ধ্যায় ডিরেক্ট ওখানে চলে যাবো। তোমরা রেস্ট নাও। তুমি কি পার্লারে যাবে?” 

“না, এখন বিশ্রাম নেবো। পার্লারের রিনি আসবে, এপ্যয়মেন্ট নেয়া আছে”, হেসে জানালো রাধিকা। বহু দিন ধরেই পরিকল্পনা হচ্ছিলো, আজকের এই দিনটি সাফল্যমন্ডিত করার জন্য। রাধিকা দক্ষ গৃহিনী, এ বয়সেও ঘষে মেজে নিজেকে আধুনিকা করে রাখে। 

মনোজ বিছানায় গা এলায়, সন্ধ্যার জন্য মানসিক প্রস্তুতি ও দরকার। আজ রাতে উনি ও সবাইকে সারপ্রাইজ দেবেন। এই দিনটির জন্য তিনি অপেক্ষা করে ছিলেন, রাধিকার একাধিক পরকীয়া জেনেও না জানার ভান করেছেন, রাধিকার গুণগুলিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। গুণবতী মহিলা, স্বীকার করতেই হবে। পরকীয়া সামলে, চাকরী সামলে, সংসার সুচারু ভাবে করা, এক বিরাট শিল্প। ঐ শয়তান লোকটার কি খবর কে জানে! এখনও কি রাধিকার যোগাযোগ আছে? এ নিয়ে কোনওদিন কিছু বলেননি, কোনও প্রশ্ন করা হয়নি, প্রতিবাদ করেননি। অন্তরের রক্তক্ষরণ তিনিই অনুভব করেছেন। ভয়ে চুপ থেকেছেন, যদি ছেড়ে চলে যেতো! ছেলেমেয়ে দুটোকে নিয়ে আতান্তরে পড়তেন তাহলে। রাধিকা তাকে স্বামীর অধিকার সব দিয়েছে, বিছানায় একই রকম আগ্রহে ঝড় তুলেছে। সবই কি নাটক ছিল! কতবার মনে হয়েছে, এ এটোঁ শরীর না তো! যন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন, কিন্তু মূক আর বধির হয়ে থেকেছেন। মন বিদ্রোহী হয়, যে দিন মিসেস মিত্র দেখা করে বলেছিলেন, “কেমন পুরুষ মানুষ আপনি, স্ত্রীকে একদম কন্ট্রোল করতে পারেন না? সারা শহর থু থু করছে, কানে আসে না আপনার! আমার নাহয় উপায় নেই, কোথায় যাবো!আপনার কি অসহায়তা!” 

চোখের জল মুছে আবার বলেন, “এমন বেবুশ্যে মেয়েছেলেকে লাথি মেরে বের করতে হয়। আপনি প্রশ্রয় দেন বলেই পারছে বেলেল্লাপনা করতে।’’ 

কিন্তু তখনও মনোজ মিসেস মিত্র আর রাধিকার তুলনা করে জয়মাল্য রাধিকাকেই পরিয়েছেন। মিসেস মিত্রের থলথলে মেদবহুল চেহারা, ধ্যাবড়ে সিদুঁর দেয়া মুখমণ্ডল, ভীষণ রিপালসিভ মনে হয়েছিলো। এ কী তার অন্ধ অনুরাগ, না কাপুরুষতা, নাকি দুয়ের মেলবন্ধন, বোঝেননি। মাঝে মাঝে এক প্রতিশোধস্পৃহা, তাকে ভয়ংকর কিছু ঘটাতে উস্কে দিতো। কিন্তু বাইরে শান্ত থেকেছেন, ছোট্ট শহরে লোকজন তাকে মেরুদণ্ডহীন আখ্যা দিয়েছে, সে সব সমালোচনা সহ্য করা...উফ্! 

রাধিকা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে হেসে কথা বলছে, হয়ত বান্ধবী কেউ। ওদের বলতে হবে, ফুটুনি দেখাতে হবে। শুধু যথেষ্ট বয়স হওয়ায় এখন ‘বারমুখো’ মন ঘরমুখো হয়েছে। মনোজকেও যত্ন করে, পূজো আচ্চাও করে। এই রহস্যময়ী নারীর মন আজও বোঝা গেল না, এ জন্যই হয়তো তিনি এত অন্ধ অনুরক্ত থেকেছেন, কোনওদিন আকর্ষণ হারাননি। ক্ষমা, ভালোবাসা সবটুকু দিয়ে অপেক্ষা করেছেন, যেন তার কাছে ফিরে আসে না, আর ভাববেন না, চোখ বন্ধ করে ঘুমোতে চেষ্টা করলেন। 

রাধিকা মোবাইল রেখে খাটে এসে শুলো, একটু ‘বিউটি ন্যাপ’ দরকার। নতুন কাঞ্জিভরমের সঙ্গে হীরের নেকলেস! উফফ্! মোনা আবার কি সারপ্রাইজ দেবে যেন। সবই প্ল্যান মতো হচ্ছে, শুধু মনোজকে আজ ভীষণ অন্যমনস্ক, অখুশী লাগছে। বয়সের ক্লান্তি!আড়চোখে ঘুমন্ত মনোজকে দেখে। তার সব অপরাধ ক্ষমা করেছে, সব চাহিদা পূরণ করেছে, জীবন কানায় কানায় ভরে দিয়েছে, এই পুরুষ আর্শীবাদের মতই তার জীবনে থেকেছে। রাধিকা কৃতজ্ঞ বোধ করে।খুব কম পুরুষই সহ্য করবে, যা মনোজ করেছেন। যেখানে মনোজ নিজেও আকর্ষণীয় ছিলেন, ইচ্ছে করলেই অনেক মহিলাঘটিত স্ক্যাণ্ডালে জড়াতে পারতেন। কিন্তু রাধিকার প্রতি বিশ্বস্ত থেকেছেন। 

তার একাধিক পরকীয়ার মধ্যে সীরিয়াস যেটা ছিলো শান্তনুর সঙ্গে, বাকি গুলো খুচরো। শান্তনু মিত্র জাহাঁবাজ লোক ছিলো, তাকে আমড়ার মতো চুষে ছিবড়ে করে দিয়েছিলো। নিত্য নুতন শরীরী খেলায় মেতে ওঠতো দু’জনেই। হ্যাঁ, দামী দামী উপহারের বন্যা বইয়ে দিতো, যা পেতে খুবই ভালো লাগতো রাধিকার। খুবই বর্ণময়, রঙ্গীন জীবন কেটেছে, কোনও খেদ নেই। ছেলেমেয়ে দুটোর সাধারণ মেধা ছিলো, কিন্তু পয়সা ঢেলে প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়িয়ে দাঁড় করানো গেছে। এ ক্ষেত্রে শান্তনুর পয়সা, ক্ষমতা কাজে এসেছে। মেয়ে তার মতোই চতুর, বড়োলোকের ছেলে দেখেই প্রেম করেছে। খুবই ভালো ছেলেটি, এমন জামাই ভাগ্য করে পায় লোকে। কিন্তু ছেলেকে তার পছন্দ মতো বিয়ে করতে দেয়নি রাধিকা। মেয়েটির মাকে পছন্দ ছিলো না, একই পাড়ায় থাকতো পরিবারটি। যাক, সবকিছুতেই মনোজের সমর্থন পেয়েছেন। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর কেটে গেলো, নিন্দুকেরা নিন্দা করেছে, মহিলারা স্বামীভাগ্যে ঈর্ষা করেছে, রাধিকা তাতে ভ্রুক্ষেপ করেননি। 

অতীত রোমন্থন করতে করতে হারিয়ে গেছিলো, সম্বিৎ ফিরলো কলিং বেলের আওয়াজে। পার্লারের মেয়েটি এসে গেছে, আরেকটু শুতে পারলে ভালো হতো। রিনি হেসে বললো, “যা সাজাবো না কাকিমা, সবাই চেয়ে থাকবে। কিন্তু ফ্রেশ লাগছে না।’’ 

“হা রে, সময় পেলাম না বিশ্রাম নেবার তেমন। তোকে একটু পরে বললেই হতো।’’ 

সন্ধ্যায় সাজুগুজু করে রেস্তোঁরাতে যাওয়া হলো, মনোজও ধূতি পাঞ্জাবি পরেছেন। ধূতি পছন্দ ছিলো না, কিন্তু কে কবে তাঁর কথা শুনেছে! জুন মাসের ভ্যাপসা গরমে যা আরামদায়ক ছিলো না। সকাল থেকে এক চাপা উৎকণ্ঠা, গরম সব মিলিয়ে ভালো বোধ হচ্ছে না। কেক কাটা হলো। অতিথি ভর্তি হলো। ছেলে নীল কিছু বললো, মোনা খুব কায়দা করে সারপ্রাইজ গিফ্ট দিলো, মা বাবাকে সাত দিনের কুলু মানালী সফরের প্যাকেজ ট্রিপ। রাধিকা গরবিনী, খুশীতে উচ্ছল। এবার এসেছে সেই কাঙ্খিত মুহূর্ত! মনোজ মাইক হাতে নিলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন যে, তিনি বাণপ্রস্থে যাবেন, একা। যোশীমঠের এক আশ্রম ঠিক করে ফেলেছেন। কাউকে জানাননি। 

কথার শুরুতে নিজেদের নিয়ে সংক্ষিপ্ত ভাষণ রাখলেন, সুবক্তা কোনওদিনই নন। এবার তিনি বোমাটি ফাটালেন, মানে ঘোষণা করলেন তাঁর সিদ্ধান্তের কথা। পুরো হল স্তম্ভিত! অতিথিরা এ ওর মুখের দিকে তাকাচ্ছে, মৃদু গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। রাধিকার দিকে তাকাচ্ছেন না, যদি মন দুর্বল হয়! যদিও রাধিকার স্তম্ভিত অভিব্যক্তি দেখার লোভ হচ্ছিলো। বড্ড গরম বোধ হচ্ছে, পাঞ্জাবীর বোতামটা খুললেন। কথা শেষ করে দৃপ্ত ভঙ্গীতে নিজের সীটে আসার পথে মাথাটা কি টলে গেলো? পুরো ব্ল্যাক আউট। “এম্বুলেন্স বল, কুইক”, নীলের কন্ঠ শুনতে পেলেন। “বাপি, কি হলো তোমার?” মোনার কান্নাভেজা গলা! কোথায় যেন তলিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু যেতে ইচ্ছে করছে না। “ও মাই গড! হি ইজ সিংকিং”, কেউ কিছু বলছে, সবাই ব্যাস্ত, ত্রস্ত। মনোজের বোজা চোখের কোল বেয়ে দু ফোঁটা জল সবার অলক্ষ্যে গড়িয়ে পড়লো।

4 comments:

  1. Aprreciate your skill of expression ...

    ReplyDelete
  2. দারুণ। খুব ভাল লাগল।

    ReplyDelete
  3. খুব ভালো লাগল পড়ে গল্পটা

    ReplyDelete