সম্পাদকীয়






































সম্পাদকীয়


ধর্মপত্নী হবে নারী?
শ্রেষ্ঠ কবিতা হবো
যুগপৎ সঙ্গম শয্যায়...

ধন্য বাঙালি! গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর প্রকোপে প্রাণ অতীষ্ঠ। তবুও বাঙালি তার প্রিয় নারীর মুখশ্রীতে খোঁজে সহস্র বছরের ভাষ্কর্য, বিচারে বসে ওষ্ঠচাপা হাসির ণত্বষত্ব ব্যাকরণ নিয়ে, বয়ঃসন্ধি রসায়নে আদর তন্দ্রার জন্মবীজ আহরণে নিষ্ঠ হয়! বাঙালি এমনই। 

প্রসঙ্গক্রমে, গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর কথা যখন উঠেই পড়লো, তখন এ বিষয়ে একটি ইন্টারেস্টিং পয়েন্ট অফ ভিউ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার না করে পারছি না। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে আমরা সকলেই জানি, গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়নের মূল কারণ দূষণ তথা গ্রীনহাউস এফেক্ট - যার ফলে প্রতিনিয়ত পৃথিবীর সামগ্রিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে, মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাবে, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পাবে এবং অবশ্যম্ভাবী ফলস্বরূপ পৃথিবী তথা মানব সভ্যতা সময়ের বহু আগে ধ্বংস হবে। 

এই পুরো ডিক্লারেশনটার মধ্যে কেমন যেন একটা "যেমন পাপ করেছিস, তেমন ফল ভোগ" - বা "দেখ কেমন লাগে" - গোছের বার্তা লুকিয়ে রয়েছে। প্রকৃত ঘটনাটি কি, একবার তথ্য-পরিসংখ্যানে চোখ বুলিয়ে দেখা যাক। 

বিশ্ব উষ্ণায়নের মূল কারণ গ্রীনহাউস গ্যাসের প্রতিক্রিয়ায় দূষিত হয় জলীয় বাষ্প ৩৬%, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ৯%, মিথেন ৪%, ওজোন ৩% (ন্যুনতম)। তার মানে, সাকুল্যে ৫২% দায় মানুষের। তাহলে বাকি দায় কার? শুনলে অবাক হবেন, বাকি দায় প্রকৃতির নিজের। 

আসুন, পৃথিবীর ইতিহাসের দিকে একবার ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখি। মনে রাখবেন, আমরা মানব সভ্যতার ইতিহাস দেখতে চাইছি না, দেখতে চাইছি পৃথিবীর ইতিহাস। আজ থেকে আনুমানিক ১৫/২০ কোটি বছর আগে, ডাইনোসররা তখনও পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করছে দাপটে। বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা এখনকার তুলনায় ১২ গুণ বেশী, পৃথিবীর সামগ্রিক তাপমাত্রা এখনকার তুলনার কয়েক গুণ বেশী, মেরু প্রদেশে নেই বরফ, সমুদ্রের উচ্চতাও এখনকার তুলনায় ১০০ থেকে ২৫০ মিটার উঁচু।

তাহলে? তাহলে বিষয়টা হলো এই যে, পৃথিবীর তাপমাত্রা হ্রাস বা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হলো সোলার ভ্যারিয়েশন বা সূর্যের তাপমাত্রার হ্রাস বা বৃদ্ধি, যা মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আসলে বলতে বাধ্য হচ্ছি, বিশ্ব উষ্ণায়ন এখন নিজেই একটা সিস্টেম ও ইন্ডাস্ট্রি এবং আধুনিক পপ কালচারের একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গও বটে। গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ন্ত্রণের যে গাইড লাইন দেওয়া হচ্ছে, তা স্রেফ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রপাগান্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়। এর পিছনে পুরোদমে কাজ করছে বিশ্বরাজনীতির একটা নোংরা চক্র যার টিকিটি বাধা আছে অর্থ নামক এক অনর্থের কোল আঁচলে। 

এমতাবস্থায়, প্রাকৃতিক সম্পদকে যথেচ্ছ নষ্ট না করে যত্ন করে কিপটের মতো রেখে রেখে ব্যবহার করা, আর সম্পদগুলির পুনঃপ্রতিস্থাপন (সৌরশক্তি, জল, বন ও বায়ু সম্পদ, মূলত)করা ছাড়া আমাদের আর কিছু করার আছে বলে মনে হয় না। 

তাই, বাঙালি যা করছে, ঠিক করছে। তাইই করা উচিৎ। নিজের বসতবাটি সামলাও আর সাহিত্য করো।

শুভেচ্ছা নিরন্তর


তথ্য- গুগলমামা

No comments:

Post a Comment