কবিতা - অর্পিতা দে









কবিতা


স্বপ্নবাসর


অর্পিতা দে




মোহনা ভিজিয়ে দিচ্ছে নাগকেশর।
আর কথারাত ডুবে যাচ্ছে স্বপ্নের আদরে।
কোনও এক বয়েস ভোলা রাজপুত্তুর
নদী মেখে সারা গায়ে
ফেরি করছে গভীরতা।
ফেরি করছে অনন্ত কৈশোর।
আমি দর্শক এখন।
আমি দেখতে পাচ্ছি, এক বাউণ্ডুলে মেয়েবেলা
চন্দন গাছের নীচে সাজিয়ে বসেছে সংসার।
সমাজের কোনও দাগ তাতে নেই।
নিষিদ্ধ শব্দের রঙ সেখানে ব্রাত্য।
সম্পর্কের নাম ফিরে দেখেনা কেউ।
আমি দেখতে পাচ্ছি
কথাদের আড়াল ভেঙে একটা এলোপাথাড়ি কিশোরীসময়
ছুঁয়ে দিচ্ছে রাজপুত্তুর।
আর মেয়েটি ঠোঁটে হাত রেখে কখনও সখি হচ্ছে,
কখনও প্রিয়া।
আবেশে কখনও রাধা হচ্ছে,
কখনও শাসনে যশোদা।
আমি দেখতে পাচ্ছি মেয়েটির নোলক দুলছে হাওয়ায়,
আমি দেখতে পাচ্ছি রাজপুত্তুরের গহন চোখে তখন
বনদেবতার আহ্বান।
আতর, আবেশ, আদর, আলাপ আলাদা করা যাচ্ছে না কিছুতেই।
সমস্ত পৃথিবীর পাণ্ডুলিপিতে তখন রাত।
সমস্ত পৃথিবীর গা জুড়ে তখন ঘুম সোহাগ।
শুধু আমি দেখতে পাচ্ছি
আঙুলে আঙুল জড়িয়ে
রাজপুত্তুর মিশে যাচ্ছে মেয়েবেলা মনে।
কিশোরীসময় মিলিয়ে যাচ্ছে পুরুষবেলায়।
আমি, একা আমি দেখতে পাচ্ছি
সেই দু'ফোঁটা শিশির-মিলন........
স্বপ্নে।



2 comments:

  1. খুব ভাল লাগল। আরও অনেক ভাললাগায় আবিষ্ট হতে চাই।

    ReplyDelete
  2. অনেকদিন পরে মন ভালো হয়ে উঠলো। এমন এক একটা কবিতা আমাদের স্নান করিয়ে দেয় পবিত্র মন্ত্রোচ্চারণে। ধন্যবাদ অর্পিতা। আরো আরো মহত্তর স্নানের আশা নিয়ে রইলাম। - পল্লববরন।

    ReplyDelete