অণুগল্প
সাইলেন্ট
উৎসব দত্ত
ঠিক রাত দশটা বাজলে নীল বাড়ি ঢুকবে। আর তারপর থেকেই চিৎকার চ্যাঁচামেচি শুরু হবে বউয়ের সাথে। এমনিতেই তুই তোকারি করে। আর ঝগড়া শুরু হলে ইংরেজিতে কথা বলতে শুরু করে দুজনে।
কিছুক্ষণ চ্যাঁচামিচির পর জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলার দুমদাম আওয়াজ তারপর হঠাৎ সব নিস্তব্ধ। পিন ড্রপ সাইলেন্স। পরের দিন সকালে আবার সবকিছু নর্মাল।
অফিস বেরনোর আগে নীলের বউ চন্দ্রিমা নীলের জামাকাপড়, ব্যাগ গুছিয়ে রাখে। নীলকে টাই পরিয়ে দ্যায়। নীলও গ্যারাজ থেকে বাইক বের করার আগে চন্দ্রিমার দিকে আদর মুখে বলে, আজ আগে ফিরব।
এই সব কিছু পাশের ফ্ল্যাটের মধ্যবয়সী ভদ্রমহিলা জানলা দিয়ে দেখেন। এক মেয়ে আছে। বিয়ে হয়ে গ্যাছে। হায়দ্রাবাদে থাকে। এখানে উনি একাই থাকেন। চারবছর আগে হাসব্যান্ডের ব্লাড ক্যান্সারের পর থেকে ওনার গোটা দুনিয়াটাই এখন সাইলেন্ট।
No comments:
Post a Comment